ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৫, ১৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
Logo শান্তিগঞ্জে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধিতে পোনামাছ অবমুক্ত Logo শান্তিগঞ্জে ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমে গতিশীলতা আনয়নে প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত Logo বিয়ের কনে দেখতে গিয়ে নৌকা ডুবে ২জনের মৃত্যু Logo শান্তিগঞ্জে জামায়াতের প্রতিনিধি সম্মেলন ও দাঁড়িপাল্লার প্রচার মিছিল অনুষ্ঠিত Logo সুনামগঞ্জ ৩ আসনের সর্বস্তরের জনগণের ভালবাসায় সিক্ত হাম্মাদ গাজিনগরী Logo দিরাই সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের কমিটি গঠন সভাপতি: বিশ্বজিৎ চৌধুরী সম্পাদক: শাহজাহান সিরাজ Logo ফুলেল শুভেচ্ছায় জমিয়ত প্রার্থী হাম্মাদ আহমদের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন Logo স্বীকৃত শিক্ষকতায় রাহমান তৈয়বের পথ চলা Logo শান্তিগঞ্জে ২ কেজি গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক Logo স্বপ্নের বিনোদনই আজ বিষক্রিয়ায় পরিণত শান্তিগঞ্জে উভয় পক্ষের সংঘর্ষে আহত ২৬

দিরাই উপজেলা আওয়ামিলীগের সাধারণ সম্পাদক আটক

  • আনোয়ার হোসাইন
  • আপডেট সময় ০৫:০২:০৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ জুলাই ২০২৫
  • ৫৩৫ বার পড়া হয়েছে

দিরাই(সুনামগঞ্জ)প্রতিনিধি :
নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রদীপ রায়কে আটক করেছে স্থানীয় জনতা । পরে পুলিশ তাকে নিজেদের হেফাজতে নেয়। আজ রাত আড়াইটার দিকে সিলট নগরীর সুবিদবাজারের লন্ডনি রোড এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে তাকে আটক করা হয়।
সিলেট জালালাবাদ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আওয়ামী লীগ নেতা প্রদীপ রায়কে আটক করেছে স্থানীয় জনতা। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে থানায় নিয়ে আসে।
তিনি আরও জানান, প্রদীপ রায়ের বিরুদ্ধে সুনামগঞ্জে একাধিক মামলা রয়েছে। তাকে সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার কুলঞ্জ ইউনিয়নের জারুলিয়া জলমহালের দখল নিয়ে ২০১৭ সালের ১৭ জানুয়ারি দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় ৩ জন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। এই ঘটনায় প্রদীপ রায়কে আসামি করা হয়েছিলো। তবে পুলিশের চার্জশীটে তাকেসহ আরও কয়েকজনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিলো। এছাড়া ২০২১ সালের ১৮ অক্টোবর দিরাইয়ের ভাটিপাড়া জলমহালের দখল নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনার একজন খুন হন। এই মামলায়ও তাকে আসামি করা হয়েছিলো।
প্রদীপ রায় বিগত ১৫ বছর দিরাই শাল্লায় ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা ছিলেন। নানা ঘটনায় স্থানীয়ভাবে সমালোচিতও ছিলেন তিনি। সর্বশেষ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন তিনি। তার ভাই বিশ্বজিৎ রায় আওয়ামী লীগের মনোনয়নে দিরাই পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে নির্বাচিত হয়েছিলেন। সরকার পতনের পর প্রদীপ রায় ও তার ভাই আত্মগোপনে ছিলেন। তার অবস্থান নিশ্চিত হয়ে বিএনপি কর্মীরা স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

Janasarthe 24

আপনাদের আশে পাশে ঘটে যাওয়া প্রতি মুহুর্তের খবর দিয়ে আমাদের সহযোগীতা করুন। আমরা আমাদের অনলাইনে তা প্রকাশ করে কৃতজ্ঞ হবো। আমাদের প্রতি মুহুর্তের খবর জানতে আমাদের সাথে থাকুন
জনপ্রিয় সংবাদ

শান্তিগঞ্জে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধিতে পোনামাছ অবমুক্ত

দিরাই উপজেলা আওয়ামিলীগের সাধারণ সম্পাদক আটক

আপডেট সময় ০৫:০২:০৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ জুলাই ২০২৫

দিরাই(সুনামগঞ্জ)প্রতিনিধি :
নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রদীপ রায়কে আটক করেছে স্থানীয় জনতা । পরে পুলিশ তাকে নিজেদের হেফাজতে নেয়। আজ রাত আড়াইটার দিকে সিলট নগরীর সুবিদবাজারের লন্ডনি রোড এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে তাকে আটক করা হয়।
সিলেট জালালাবাদ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আওয়ামী লীগ নেতা প্রদীপ রায়কে আটক করেছে স্থানীয় জনতা। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে থানায় নিয়ে আসে।
তিনি আরও জানান, প্রদীপ রায়ের বিরুদ্ধে সুনামগঞ্জে একাধিক মামলা রয়েছে। তাকে সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার কুলঞ্জ ইউনিয়নের জারুলিয়া জলমহালের দখল নিয়ে ২০১৭ সালের ১৭ জানুয়ারি দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় ৩ জন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। এই ঘটনায় প্রদীপ রায়কে আসামি করা হয়েছিলো। তবে পুলিশের চার্জশীটে তাকেসহ আরও কয়েকজনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিলো। এছাড়া ২০২১ সালের ১৮ অক্টোবর দিরাইয়ের ভাটিপাড়া জলমহালের দখল নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনার একজন খুন হন। এই মামলায়ও তাকে আসামি করা হয়েছিলো।
প্রদীপ রায় বিগত ১৫ বছর দিরাই শাল্লায় ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা ছিলেন। নানা ঘটনায় স্থানীয়ভাবে সমালোচিতও ছিলেন তিনি। সর্বশেষ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন তিনি। তার ভাই বিশ্বজিৎ রায় আওয়ামী লীগের মনোনয়নে দিরাই পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে নির্বাচিত হয়েছিলেন। সরকার পতনের পর প্রদীপ রায় ও তার ভাই আত্মগোপনে ছিলেন। তার অবস্থান নিশ্চিত হয়ে বিএনপি কর্মীরা স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।