ঢাকা , শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
Logo জগন্নাথপুরে জুলাই বিপ্লব ২৪ ডটকম এর আত্ম প্রকাশ Logo শান্তিগঞ্জে ‘আব্দুন নূর চেয়ারম্যান স্মৃতি প্রাথমিক মেধা বৃত্তির পরীক্ষা কাল শনিবার (৩০ নভেম্বর) Logo শান্তিগঞ্জে হাওরের ১০০ বছর ও আমাদের করণীয় শীর্ষক কর্মশালা Logo মধ্যনগরে আওয়ামী লীগ নেতার দখল থেকে সরকারী ভুমি পুনরুদ্ধার Logo সুনামগঞ্জের দিরাইয়ের রফিনগর গ্রামের সাজ্জাতুলের বাড়িঘরে হামলা,ভাংচুর লুটপাঠসহ মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধ ভাংচুরের ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধন Logo বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত -নিহতদের স্মরণে দোয়ারাবাজারে স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত Logo অন্তবর্তীকালীন সরকার পতনের ষড়যন্ত্র গোপন বৈঠকে থাকা ছাত্রলীগের ৩৮ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেফতার জেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি Logo শান্তিগঞ্জে বিনামূল্যে গরু বিতরণের লক্ষ্যে অবহিতকরণ সভা ও প্রশিক্ষণ Logo দোয়ারাবাজারে সরকারি গাছ কর্তন।। জব্দ করলো প্রশাসন Logo শান্তিগঞ্জে আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা 

নীলফামারীতে জমে উঠেছে ঈদ বাজার

নীলফামারীতে ঈদের বাজার জমে উঠেছে। বেড়েছে ক্রেতা সমাগমও। তবে ক্রেতারা বলছেন, দাম বাড়তি থাকায় কেনাকাটা করতে গিয়ে বিপাকে পড়তে হচ্ছে তাদের। শহরের বড় বাজার, মকবুল হোসেন সুপার মার্কেট, পৌর সুপার মার্কেট, এবাদত প্লাজা, স্মৃতি গার্মেন্টস, রকসি ক্লথ স্টোর, সিমলা গার্মেন্টস এবং মুরাদ আলী প্লাজার ব্যবসায়ীরা জানান, রমজানের প্রথম দিকে ক্রেতা সমাগম কম থাকলেও এখন বেড়েছে। নিজেদের পছন্দের জামা-কাপড়, প্রসাধনী ও জুতা কিনিতে বিভিন্ন দোকানে বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত ক্রেতাদের ভিড় থাকছে। জমে উঠেছে ঈদ বাজারশহরের বড় বাজারের কাপড়ের দোকান ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি দোকানে কেনাকাটার ধুম পড়েছে। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ক্রেতা সরগম দোকানগুলো। কেনাবেচা ভালো হওয়ায় খুশি দোকানদাররা। নতুন জামা-কাপড় ও জুতার পাশাপাশি কসমেটিকস দোকান গুলোতেও ভিড় দেখা গেছে। তবে সব পণ্যের দামই দোকানিরা অনেক বেশি নিচ্ছেন এমন অভিযোগ ক্রেতাদের। গ্রাহকদের আকৃষ্ট করতে অনেক দোকানে দেওয়া হয়েছে নির্দিষ্ট মূল্যের ছাড়।ক্রেতা সাহিদা সরকার বলেন, ‘অল্প আয়ের মানুষের জন্য বর্তমান বাজারে কেনাকাটা কঠিন হয়ে পড়েছে। কিছু কিছু অসাধু কাপড় ব্যবসায়ী বঙ্গ বাজার ও ঢাকা নিউ সুপার মার্কেট আগুনে পুড়ে যাওয়ার দোহাই দিয়ে সাধারণ মানুষের কাছে অতিরিক্ত মুনাফা নিচ্ছে। গার্মেন্টসের মালিক মো. মকবুল হোসেন বলেন, ‘সাধারণত শবে বরাতের পর থেকেই কেনাকাটার শুরু হয়। তবে এ বছর একটু দেরিতেই শুরু হয়েছে। রোজার প্রথম দশদিন অনেক ক্রেতা বাজার যাচাই বাচাই ও জামাকাপড় দেখেন। তবে গত বছরের চেয়ে এবার কেনাবেচা ভালো। মহাজনের বকেয়াসহ কর্মচারীর বেতন, বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করে কিছু লাভ থাকবে।’তিনি আরও বলেন, ‘ঈদ যতো এগিয়ে আসছে ততই বিক্রি বাড়ছে। এখন গড়ে প্রতিদিন দুই থেকে আড়াই লাখ টাকা বিক্রি হচ্ছে। রমজানের শুরু থেকে বাজারে বেশি বিক্রি হয় শিশু ও নারীদের জামা-কাপড়।’জেলা শহরের ডাল পট্টি রোড সংলগ্ন চন্দন বস্ত্রালয়ের মালিক তুলশি চরণ রায় বলেন,‘ক্রেতারা পরিবারসহ বাজারে আসলেও চড়া বাজার দেখে মন খারাপ করে চলে যাচ্ছে। দাম একটু কম হলে ভালোই ব্যবসা হতো।’জমে উঠেছে ঈদ বাজারক্রেতা আইয়ব আলী বলেন, ‘ঈদের আর কয়েকদিন বাকি এখন বাজারে ক্রেতার অনেক ভিড়। বাড়ির ছোট ছেলে মেয়ে ও দুই নাতিসহ নিজের জন্য জামা-কাপড় কিনতে এসেছি। সব কাপড়ের দাম অনেক বেশি। তাই কম করে কোনও রকমে শিশুদের জামা কাপড় কিনলাম। নিজেরটা আরও দুইদিন পরে কিনবো।’আরেক ক্রেতা গোলাপী বেগম বলেন, ‘সাতদিন আগে যে কাপড় ৬০ টাকা গজ ছিল, আজ তা ৯০-৯৫ টাকা গজে কিনতে হচ্ছে। ৮ হাজার টাকা নিয়ে এসেছি দুই মেয়ে ও নিজের জামা কাপড় কিনতে। কিন্ত গজ প্রতি ৩০-৩৫ টাকা বেশি দাম যাচ্ছে। দুই মেয়ের ড্রেস কেনতেই সব টাকা শেষ।’রকসি ক্লথ স্টোরের মালিক জালাল উদ্দিন বলেন, ‘মার্কেট বেশি হলে আমাদের করার কিছুই নেই। ঢাকায় এক গজ কাপড় ১২০ টাকা কিনে নীলফামারী আসা পর্যন্ত প্রতি গজে খরচ পরে ১৫০টাকা। এদিকে, দোকানের বিদ্যুৎ বিল, কর্মচারীর বেতন, পরিবহন খরচ আছে। সব খরচ পরিশোধ করে এবার কিছু লাভ করা যাবে। তবে বাজার কম হলে বিক্রি বেশি হয়, এতে লাভও বেশি হয়। করোনার পরে আর একটি সংকট তৈরি হয়েছে।’নীলফামারী সদর থানার ওসি মো. মুক্তারুল আলম বলেন, ‘ঈদকে সামনে রেখে শহরের বিভিন্ন বিপণিবিতান, দোকান ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পুলিশ টহল দিচ্ছে।’

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

Janasarthe 24

আপনাদের আশে পাশে ঘটে যাওয়া প্রতি মুহুর্তের খবর দিয়ে আমাদের সহযোগীতা করুন। আমরা আমাদের অনলাইনে তা প্রকাশ করে কৃতজ্ঞ হবো। আমাদের প্রতি মুহুর্তের খবর জানতে আমাদের সাথে থাকুন
জনপ্রিয় সংবাদ

জগন্নাথপুরে জুলাই বিপ্লব ২৪ ডটকম এর আত্ম প্রকাশ

নীলফামারীতে জমে উঠেছে ঈদ বাজার

আপডেট সময় ০১:১৮:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৩

নীলফামারীতে ঈদের বাজার জমে উঠেছে। বেড়েছে ক্রেতা সমাগমও। তবে ক্রেতারা বলছেন, দাম বাড়তি থাকায় কেনাকাটা করতে গিয়ে বিপাকে পড়তে হচ্ছে তাদের। শহরের বড় বাজার, মকবুল হোসেন সুপার মার্কেট, পৌর সুপার মার্কেট, এবাদত প্লাজা, স্মৃতি গার্মেন্টস, রকসি ক্লথ স্টোর, সিমলা গার্মেন্টস এবং মুরাদ আলী প্লাজার ব্যবসায়ীরা জানান, রমজানের প্রথম দিকে ক্রেতা সমাগম কম থাকলেও এখন বেড়েছে। নিজেদের পছন্দের জামা-কাপড়, প্রসাধনী ও জুতা কিনিতে বিভিন্ন দোকানে বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত ক্রেতাদের ভিড় থাকছে। জমে উঠেছে ঈদ বাজারশহরের বড় বাজারের কাপড়ের দোকান ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি দোকানে কেনাকাটার ধুম পড়েছে। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ক্রেতা সরগম দোকানগুলো। কেনাবেচা ভালো হওয়ায় খুশি দোকানদাররা। নতুন জামা-কাপড় ও জুতার পাশাপাশি কসমেটিকস দোকান গুলোতেও ভিড় দেখা গেছে। তবে সব পণ্যের দামই দোকানিরা অনেক বেশি নিচ্ছেন এমন অভিযোগ ক্রেতাদের। গ্রাহকদের আকৃষ্ট করতে অনেক দোকানে দেওয়া হয়েছে নির্দিষ্ট মূল্যের ছাড়।ক্রেতা সাহিদা সরকার বলেন, ‘অল্প আয়ের মানুষের জন্য বর্তমান বাজারে কেনাকাটা কঠিন হয়ে পড়েছে। কিছু কিছু অসাধু কাপড় ব্যবসায়ী বঙ্গ বাজার ও ঢাকা নিউ সুপার মার্কেট আগুনে পুড়ে যাওয়ার দোহাই দিয়ে সাধারণ মানুষের কাছে অতিরিক্ত মুনাফা নিচ্ছে। গার্মেন্টসের মালিক মো. মকবুল হোসেন বলেন, ‘সাধারণত শবে বরাতের পর থেকেই কেনাকাটার শুরু হয়। তবে এ বছর একটু দেরিতেই শুরু হয়েছে। রোজার প্রথম দশদিন অনেক ক্রেতা বাজার যাচাই বাচাই ও জামাকাপড় দেখেন। তবে গত বছরের চেয়ে এবার কেনাবেচা ভালো। মহাজনের বকেয়াসহ কর্মচারীর বেতন, বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করে কিছু লাভ থাকবে।’তিনি আরও বলেন, ‘ঈদ যতো এগিয়ে আসছে ততই বিক্রি বাড়ছে। এখন গড়ে প্রতিদিন দুই থেকে আড়াই লাখ টাকা বিক্রি হচ্ছে। রমজানের শুরু থেকে বাজারে বেশি বিক্রি হয় শিশু ও নারীদের জামা-কাপড়।’জেলা শহরের ডাল পট্টি রোড সংলগ্ন চন্দন বস্ত্রালয়ের মালিক তুলশি চরণ রায় বলেন,‘ক্রেতারা পরিবারসহ বাজারে আসলেও চড়া বাজার দেখে মন খারাপ করে চলে যাচ্ছে। দাম একটু কম হলে ভালোই ব্যবসা হতো।’জমে উঠেছে ঈদ বাজারক্রেতা আইয়ব আলী বলেন, ‘ঈদের আর কয়েকদিন বাকি এখন বাজারে ক্রেতার অনেক ভিড়। বাড়ির ছোট ছেলে মেয়ে ও দুই নাতিসহ নিজের জন্য জামা-কাপড় কিনতে এসেছি। সব কাপড়ের দাম অনেক বেশি। তাই কম করে কোনও রকমে শিশুদের জামা কাপড় কিনলাম। নিজেরটা আরও দুইদিন পরে কিনবো।’আরেক ক্রেতা গোলাপী বেগম বলেন, ‘সাতদিন আগে যে কাপড় ৬০ টাকা গজ ছিল, আজ তা ৯০-৯৫ টাকা গজে কিনতে হচ্ছে। ৮ হাজার টাকা নিয়ে এসেছি দুই মেয়ে ও নিজের জামা কাপড় কিনতে। কিন্ত গজ প্রতি ৩০-৩৫ টাকা বেশি দাম যাচ্ছে। দুই মেয়ের ড্রেস কেনতেই সব টাকা শেষ।’রকসি ক্লথ স্টোরের মালিক জালাল উদ্দিন বলেন, ‘মার্কেট বেশি হলে আমাদের করার কিছুই নেই। ঢাকায় এক গজ কাপড় ১২০ টাকা কিনে নীলফামারী আসা পর্যন্ত প্রতি গজে খরচ পরে ১৫০টাকা। এদিকে, দোকানের বিদ্যুৎ বিল, কর্মচারীর বেতন, পরিবহন খরচ আছে। সব খরচ পরিশোধ করে এবার কিছু লাভ করা যাবে। তবে বাজার কম হলে বিক্রি বেশি হয়, এতে লাভও বেশি হয়। করোনার পরে আর একটি সংকট তৈরি হয়েছে।’নীলফামারী সদর থানার ওসি মো. মুক্তারুল আলম বলেন, ‘ঈদকে সামনে রেখে শহরের বিভিন্ন বিপণিবিতান, দোকান ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পুলিশ টহল দিচ্ছে।’