ঢাকা , বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
Logo জুলাই-আগষ্টের ছাত্র-জনতার গণঅদ্ভুত্থানে আহত ও শহীদদের স্মরণে ছাতকে স্মরণ সভা Logo বালি মহালে ইজারা পদ্বতি বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন Logo ছাতকে আওয়ামিলীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার Logo পিলখানা হত্যাকান্ডের সুষ্ঠ তদন্ত ও নিরপরাধ বিডিআর সদস্যদের চাকুরিতে পুনর্বহালের দাবীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত Logo জগন্নাথপুরের ওসি মোখলেছুর রহমান আকন্দকে শিবির কর্মী বলে প্রচারণা চালানোয় জগন্নাথপুর উপজেলা জামায়াতের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ। Logo শান্তিগঞ্জের জয়সিদ্ধি-বসিউয়াখাউরী গ্রামে বিএনপির কর্মী সভা Logo জগন্নাথপুরে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত Logo জগন্নাথপুর উপজেলার ৬ নং রাণীগঞ্জ ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর কমিটি গঠন Logo পরিবেশ নষ্ট করে কোন বাঁধ নির্মাণ হবেনা – পরিবেশ উপদেষ্টা Logo হাওরের জন্য সরকারের মাস্টার প্লান আছে- উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান

দিরাইয়ের আব্দুল আলীম হত্যা মামলার রায় ঘোষণা

বুধবার (৯ নভেম্বর) সিলেটের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত ১৯ বছর পূর্বে দায়েরকৃত আব্দুল আলীম হত্যা  মামলার রায় ঘোষণা করেন। ঘোষিত রায়ে  সবজুল ইসলাম ও আইনজীবী নুরুল ইসলামকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং আইনজীবীর সহোদর মইনুল হককে ১০ বছরের দণ্ড হয়েছে। সেই সাথে মামলা থেকে খালাশ প্রদান করা হয়েছে ৩৮ জনকে।  বিচারক শায়লা শারমিন চাঞ্চল্যকর এই মামলার রায় ঘোষণা করেন।

রায়ে সুনামগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য ও দিরাই উপজেলার টংগর গ্রামের মৃত মদরিছ আলীর ছেলে নুরুল ইসলামকে যাবজ্জীবন ও ৪০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই বছরের দণ্ডাদেশ দেয়া হয়। ২য় আসামী একই গ্রামের মৃত আবদুল রহিমের ছেলে সবজুল ইসলামকে যাবজ্জীবন ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৩ বছরের দণ্ডাদেশ দেয়া হয়। অপর দণ্ডপ্রাপ্ত আসামী ময়নুল হককে ১০ বছরের সাজা এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের দণ্ড দেন বিচারক। রায় ঘোষণার সময় সবজুল ইসলাম ও ময়নুল হক পলাতক ছিলেন।

উল্লেখ্য যে ২০০৩ সালের ১৭ ডিসেম্বর প্রতিপক্ষের গুলিতে নিহত হন দিরাই উপজেলার টংগর গ্রামের জামিন খানের ছেলে আব্দুল আলীম। এ ঘটনায় নিহতের ভাই আজমল খান বাদী হয়ে পরদিন হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দিরাই থানার ওসি সুভাষ চন্দ্র সাহা ৪১ জনকে অভিযুক্ত করে ২০০৪ সালের ৩ সেপ্টেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অভিযোগপত্রের বিরুদ্ধে আসামীপক্ষ অভিযোগ তুললে মামলাটি সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত। পরবর্তীতে সিআইডি তদন্ত শেষে ৪১ জনকে অভিযুক্ত করে ২০০৯ সালের ২৭ জানুয়ারি আদালতে সম্পূরক চার্জশীট দাখিল করে। বারবার তারিখ ধার্য্যরে পরও চার্জ গঠন না হওয়ায় বাদি পক্ষের রিটের প্রেক্ষিতে ২০১২ সালে মামলাটি সুনামগঞ্জ থেকে সিলেট জেলা ও দায়রা জজ আদালতে স্থানান্তর করা হয়। সিলেট আদালতে ওই বছরের ১৪ মে ৪১ আসামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচারকার্য শুরু হয়। মামলার দীর্ঘ শুনানি ও স্বাক্ষ্য গ্রহণ শেষে গতকাল বুধবার রায় ঘোষণা করা হয়।

বাদী পক্ষের আইনজীবী এমাদ উল্লাহ শহিদুল ইসলাম শাহীন জানান, মামলার প্রধান আসামী নুরুল ইসলামের বন্দুকের গুলিতে আব্দুল আলীম নিহত হয়ে ছিলেন। আদালতের রায়ে বাদীপক্ষ সঠিক বিচার পেয়েছেন।

 

জনস্বার্থে নিউজ24.কম

 

 

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

Janasarthe 24

আপনাদের আশে পাশে ঘটে যাওয়া প্রতি মুহুর্তের খবর দিয়ে আমাদের সহযোগীতা করুন। আমরা আমাদের অনলাইনে তা প্রকাশ করে কৃতজ্ঞ হবো। আমাদের প্রতি মুহুর্তের খবর জানতে আমাদের সাথে থাকুন
জনপ্রিয় সংবাদ

জুলাই-আগষ্টের ছাত্র-জনতার গণঅদ্ভুত্থানে আহত ও শহীদদের স্মরণে ছাতকে স্মরণ সভা

দিরাইয়ের আব্দুল আলীম হত্যা মামলার রায় ঘোষণা

আপডেট সময় ১০:২৩:২৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ নভেম্বর ২০২২

বুধবার (৯ নভেম্বর) সিলেটের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত ১৯ বছর পূর্বে দায়েরকৃত আব্দুল আলীম হত্যা  মামলার রায় ঘোষণা করেন। ঘোষিত রায়ে  সবজুল ইসলাম ও আইনজীবী নুরুল ইসলামকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং আইনজীবীর সহোদর মইনুল হককে ১০ বছরের দণ্ড হয়েছে। সেই সাথে মামলা থেকে খালাশ প্রদান করা হয়েছে ৩৮ জনকে।  বিচারক শায়লা শারমিন চাঞ্চল্যকর এই মামলার রায় ঘোষণা করেন।

রায়ে সুনামগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য ও দিরাই উপজেলার টংগর গ্রামের মৃত মদরিছ আলীর ছেলে নুরুল ইসলামকে যাবজ্জীবন ও ৪০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই বছরের দণ্ডাদেশ দেয়া হয়। ২য় আসামী একই গ্রামের মৃত আবদুল রহিমের ছেলে সবজুল ইসলামকে যাবজ্জীবন ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৩ বছরের দণ্ডাদেশ দেয়া হয়। অপর দণ্ডপ্রাপ্ত আসামী ময়নুল হককে ১০ বছরের সাজা এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের দণ্ড দেন বিচারক। রায় ঘোষণার সময় সবজুল ইসলাম ও ময়নুল হক পলাতক ছিলেন।

উল্লেখ্য যে ২০০৩ সালের ১৭ ডিসেম্বর প্রতিপক্ষের গুলিতে নিহত হন দিরাই উপজেলার টংগর গ্রামের জামিন খানের ছেলে আব্দুল আলীম। এ ঘটনায় নিহতের ভাই আজমল খান বাদী হয়ে পরদিন হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দিরাই থানার ওসি সুভাষ চন্দ্র সাহা ৪১ জনকে অভিযুক্ত করে ২০০৪ সালের ৩ সেপ্টেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অভিযোগপত্রের বিরুদ্ধে আসামীপক্ষ অভিযোগ তুললে মামলাটি সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত। পরবর্তীতে সিআইডি তদন্ত শেষে ৪১ জনকে অভিযুক্ত করে ২০০৯ সালের ২৭ জানুয়ারি আদালতে সম্পূরক চার্জশীট দাখিল করে। বারবার তারিখ ধার্য্যরে পরও চার্জ গঠন না হওয়ায় বাদি পক্ষের রিটের প্রেক্ষিতে ২০১২ সালে মামলাটি সুনামগঞ্জ থেকে সিলেট জেলা ও দায়রা জজ আদালতে স্থানান্তর করা হয়। সিলেট আদালতে ওই বছরের ১৪ মে ৪১ আসামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচারকার্য শুরু হয়। মামলার দীর্ঘ শুনানি ও স্বাক্ষ্য গ্রহণ শেষে গতকাল বুধবার রায় ঘোষণা করা হয়।

বাদী পক্ষের আইনজীবী এমাদ উল্লাহ শহিদুল ইসলাম শাহীন জানান, মামলার প্রধান আসামী নুরুল ইসলামের বন্দুকের গুলিতে আব্দুল আলীম নিহত হয়ে ছিলেন। আদালতের রায়ে বাদীপক্ষ সঠিক বিচার পেয়েছেন।

 

জনস্বার্থে নিউজ24.কম