জাপানের এই ছুটে চলা ফুটবল বিশ্বের কাছে অনেকটা অবিশ্বাস্য। এশিয়ার এই দেশটি একের পর বাঝিমাত করে এগিয়ে যাচ্ছে তাদের মূল লক্ষ্যে। ফেভারিট স্পেনের নিপুন ফুটবল কৌশলীও হার মানল জাপানীদের কাছে। বৃহস্পতিবার দিনগত রাত ১টায় শুরু হওয়া ম্যাচের শুরু থেকেই বল দখলে নিজেদের আধিপত্যের জানান দেয় স্পেন। মাত্র ৮ মিনিটেই সুযোগ পেয়েছিল তারা। কিন্তু বুসকেটসের শট চলে যায় গোলবারের বাইরে দিয়ে। তবে গোলের জন্য বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি স্পেনকে। ১১ মিনিটের মাথায় আজপিলইকুয়েতার ক্রস থেকে দারুণ হেড করে দলকে এগিয়ে দেন মোরাতা। জাতীয় দলের জার্সি গায়ে ৬০ ম্যাচে এটি তার ৩০তম গোল।
ম্যাচের বাকিটা সময় বল নিজেদের দখলে রেখে মাঝ মাঠ দিয়ে আক্রমণের অনেক চেষ্টা চালায় স্পেন। ২৬ মিনিটে দানি ওলমোর শট বাইরে দিয়ে চলে যায় গোলবার ঘেঁষে। জাপান বলার মত তেমন কোনোই আক্রমণ করতে পারেনি। ৮২ শতাংশ বল পজিশন নিয়ে স্পেনের আধিপত্য বিস্তারই প্রমাণ করে ম্যাচ কতটা এক পেশে ছিল। ১-০ গোলের ব্যবধানে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় স্পেন।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে সর্বশক্তি উজাড় করে দিয়ে মাঠে খেলতে থাকে জাপান। ৪৭ মিনিটের মাথাতেই বদলি হিসেবে নামা দোয়ানের দুর্দান্ত গোলে সমতায় ফেরে। এই গোলের রেশ কাটতে না কাটতে আবার গোল জাপানের৷ এবারের গোলটা অবশ্য কিছুটা বিতর্কিত মনে হয়েছে খালি চোখে।
বাম পাশ থেকে করা আক্রমণে মিতোমার ক্রস থেকে গোল করেন তানাকা। কিন্তু মিতোমা বলটি ক্রস দেওয়ার আগে সেটি গোল লাইন অতিক্রম করে বাইরে গিয়েছিল কিনা সেটি দেখতে রেফারি ভিএআর প্রযুক্তির সহায়তা নেয়। যেখানে খালি চোখে বলটি বাইরে গেছে দেখালেও রেফারি এটিকে বৈধ বলে ঘোষণা দেয়। ফলে জাপানও পায় ২-১ গোলের লিড।
৭১ মিনিটে আবারও গোলের সুযোগ পায় জাপান। কিন্তু গোলরক্ষককে একা পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ হন আসানো। শেষের দিকে স্পেন গোল শোধে মরিয়া হয়ে আক্রমণ করলেও গোলমুখে তেমন চাপ সৃষ্টি করতে পারেনি। ফলে হেরেও গ্রুপে রানার্সআপ হয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠলো স্পেন। অন্যদিকে সাবেক দুই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নকে হারিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই নক আউট রাউন্ডে পা রাখলো জাপান।