ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর পর্তুগালের দাপুটে পারফরম্যান্সে সুইজারল্যান্ডকে উড়িয়ে কোয়ার্টার-ফাইনালে উঠল পর্তুগাল। কাতার বিশ্বকাপে লুসাইল স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার রাতে শেষ ষোলোর ম্যাচটি ৬-১ গোলে জিতেছে ২০১৬ ইউরো চ্যাম্পিয়ন দলটি।
এই ম্যাচে শুরুর একাদশে রোনালদোকে দলে রাখেননি কোচ সান্তোস। তার পরিবর্তে একাদশে সুযোগ পান গন্সালো রামোস। এটা নিয়েও কম আলোচনা হচ্ছিল না ম্যাচ শুরুর আগে। কিন্তু সব আলোচনায় ঘি ঢেলে দিলেন এই বেনফিকা স্ট্রাইকার।
ম্যাচের শুরুতেই ম্যচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় পর্তুগাল। ১৭ মিনিটেই প্রথম গোল পায় পর্তুগাল। বা পায়ের বুলেট গতির শটে গোলরক্ষকের মাথার ওপর দিয়ে কোনাকুনি শটে দারুণ গোল করে দলকে এগিয়ে দেন রামোস।
পর্তুগিজদের দারুণ রক্ষণভাগের কাছে পেরে উঠছিল না সুইসরা। ম্যাচের ৩৩ মিনিটে আবার গোল খেয়ে বসে সুইজারল্যান্ড। কর্নার থেকে দারুণ হেডে গোল করেন ৩৯ বছর বয়সী ডিফেন্ডার পেপে। বিশ্বকাপের ইতিহাসে পেপেই সবচেয়ে বয়স্ক ফুটবলার যিনি নকআউট রাউন্ডে গোল করলেন।
বিরতিতে যাওয়ার আগে সুইজারল্যান্ডের শাকিরি ও জাকা গোলের চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হন। ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় পর্তুগাল।
বিরতি থেকে ফিরে আক্রমণের মাত্রা বাড়িয়ে দেয় পর্তুগাল। ৫২ মিনিটে আবারো গোল দেন রামোস। ডান পাশ থেকে দিয়েগো দালোতের বাড়ানো ক্রসে দারুণ ফিনিশিংয়ের মাধ্যমে পর্তুগালকে ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে দেন। ৫৫ মিনিটে আবারো গোল দেয় পর্তুগাল। এবার স্কোরশিটে নাম লেখান রাফায়েল গুয়েরেরো। রামোসের বাড়ানো বল থেকে দারুণ শটে গোল করেন তিনি।
ম্যাচের ৬৭ মিনিটে পর্তুগালের হয়ে নিজের তৃতীয় ও দলের ৫ম গোলটি করে নিজের হ্যাটট্রিক পূরণ করেন রামোস। পেলের পর তিনিই সবচেয়ে কমবয়সী ফুটবলার হিসেবে বিশ্বকাপের নক আউট রাউন্ডে হ্যাটট্রিক করলেন।
৭৩ মিনিটে বদলি হিসেবে মাঠে নামেন রোনালদো। ৮৫ মিনিটে গোলও করেন তিনি। তবে অফসাইডের কারণে রেফারি গোলটি বাতিল করে দেন। ম্যাচের যোগ করা অতিরিক্ত সময়ে রাফায়েল লেয়ো আরো একটি গোল করলে ৬-১ গোলের বিশাল ব্যবধানে জয় পায় পর্তুগাল। কোয়ার্টার ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ মরক্কো।