ট্রাইবেকারে মরক্কান গোলকিপার ইয়াসিন বোনু’র দূর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখল ফুটবল বিশ্ব। অসধারণ নিপুনতায় এবং দাপুটের সাথে স্পানিশ ফুটবলারদের শর্ট রুখে দিলেন এই গোলকিপার। সেই সাথে প্রথম বারের মতো আফ্রিকার দেশটিকে নকআউট পর্বে উঠার স্বাদ এনে দিলেন তিনি।
খেলায় ম্যাচের নির্ধারিত ৯০ মিনিটে গোল দিতে পারেনি কেউই। অতিরিক্ত ৩০ মিনিটের খেলাতেও ফলাফল না এলে ম্যাচটি গড়ায় টাইব্রেকারে। সেখানে শক্তিশালী স্পেনকে ৩-০ গোল ব্যবধানে হারিয়ে বিশ্বকাপের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠল আফ্রিকান দল মরক্কো।
টাইব্রেকারে মোট তিনটি শট নেওয়ার সুযোগ পেয়েছে স্পেন। কিন্তু গোল মরক্কোর জালে একটি বলও স্পর্শ করাতে পারেননি স্প্যানশি ফুটবলাররা। প্রথম শট বারে লাগে এবং পরের দুটি শট রুখে দেন মরক্কান গোলকিপার। এদিকে প্রথম দুই শটে গোল পায় মরক্কো। তৃতীয় শটে গোল না হলেও পরেরবার ঠিক পায় দলটি। তাতেই জয় নিশ্চিত হয় মরক্কোর।
ইডুকেশন সিটি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে বল দখলে স্পেন এগিয়ে থাকলেও আক্রমণে দুদলের সমান আধিপত্য ছিল। পুরো ম্যাচের ৭৪ শতাংশ সময় নিজেদের নিয়ন্ত্রণে বল রাখতে সক্ষম হয় স্পানিশ ফুটবলাররা। আর মরক্কোর গোলবার বরাবর শট নিতে পেরেছে মাত্র একটি।
অন্যদিকে বল দখলে স্পেনের চেয়ে ঢের পিছিয়ে ছিল আফ্রিকান দলটির ফুটবলাররা। পুরো ম্যাচের কেবল ২৬ শতাংশ সময় ধরে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে বল রাখতে পারে মরক্কো। আর স্পেনের গোলবার বরাবর শট নিয়েছে একটি। কিন্তু পায়নি কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা।
ম্যাচের ১২তম মিনিটে ভালো সুযোগ পায় মরক্কো। আশরাফ হাকিমির ফ্রি-কিক ক্রসবারের উপর দিয়ে যায়। আর ২২তম মিনিটে ডানদিক থেকে মরক্কোর জিয়েচের বাজে ফ্রি-কিক, ওলমো হেড করে বিপদমুক্ত করেন।
অন্যদিকে ২৬তম মিনিটে অ্যাসেনসিও নেটের সাইডে ধাক্কা দেন। বাজেভাবে গোল মিস হয়। ৩৩তম মিনিটেও সুযোগ পায় মরক্কো। তোরেসের কাছ থেকে বলটি ছিনিয়ে নেন মাজরাউই। এবং তারপর বক্সের বাইরে থেকে জোরালো শট নেন তিনি। সিমন কোনও মতে সেভ করেন।
দ্বিতীয়ার্ধ উত্তেজনা ছড়িয়েছে আরও বেশি। ম্যাচের ৭০তম মিনিটে ওলমোর নেয়া শট দারুণভাবে ব্লক করে অগার্ড। এদিকে ম্যাচের শেষ মুহূর্তে দানি ওলমোর বাকান ফ্রি কিকে কোন স্প্যানিশ খেলোয়াড়ই মাথা ছোঁয়াতে পারেননি; উলটো বল গোলমুখে গেলে দারুণভাবে কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন বৌনৌ। কর্নার থেকে দারুণ বলে হেড করেছিলেন লাপোর্ত কিন্তু মরক্কোর জমাট রক্ষণভাগের কাছে তা পরাস্ত হলে গোলশূন্য অবস্থাতেই শেষ ম্যাচ হয়।
অতিরিক্ত ৩০ মিনিটের খেলায় চলেছে খালি আক্রমণ ও পাল্টা আক্রমণ। একবার গোল পেয়েই গিয়েছিল মরক্কো। স্প্যানিশ গোলকিপারকে একাই পেয়ে গিয়েছিলেন করক্কোন তারকা ফুটবলার ওনাহি। কিন্তু তার নেয়া শট নিজের পা দিয়ে রুখে দেন সিমোন। অন্যদিকে স্পেন তো আক্রমণ চালিয়েছে মিনিটে মিনিটে। কিন্তু পায়নি গোলের দেখা। ফলে শেষ পর্যন্ত কোনো গোল না পেলে ম্যাচটি গড়ায় পেনাল্টিতে।