মোটামুটি সারাদেশেই শীতের তীব্রতা বেড়েছে। তাপমাত্রা কমে গিয়ে রাজশাহী, রংপুর ও খুলনা বিভাগের পাঁচ জেলায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে। এ শৈত্যপ্রবাহ আগামী দুদিন অব্যাহত থাকতে পারে।
বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) সকালে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে এ তথ্য জানা গেছে। বৃহস্পতিবার সকালে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমেছে চুয়াডাঙ্গায়।
অন্যদিকে গত কয়েকদিন ধরে যে বৃষ্টির প্রবণতা ছিল তা আপাতত কেটে গেছে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ। আবহাওয়াবিদ কাজী জেবুন্নেসা জাগো নিউজকে বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় হয় ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তিনি বলেন, রাজশাহী, পাবনা, নওগাঁ, নীলফামারী ও চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আগামী দুদিন এ শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত এবং পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে বিস্তার লাভ করতে পারে। এরপর আবার তাপমাত্রা বাড়তে পারে।
বৃহস্পতিবার সকালে রাজশাহীতে ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি, পাবনার ঈশ্বরদীতে ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি, নওগাঁর বদলগাছীতে ১০ ডিগ্রি, নীলফামারীর সৈয়দপুরে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি।
বৃষ্টির প্রবণতা ছিল সেটি আপাতত দূর হয়েছে বলেও জানান আবহাওয়াবিদ কাজী জেবুন্নেছা।
বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। শেষ রাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে।
এ সময় সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলেও পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকায় ঘন কুয়াশা দেখা গেছে। সকাল ১০টার পর ধীরে ধীরে কুয়াশা কেটে রোদের দেখা মিলছে।
বুধবার সকাল ৬টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় কক্সবাজারে ১৫, চট্টগ্রামে ১০ ও সন্দ্বীপে ১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।