গত সাত বছরে সরকারি খরচে এক হাজার ৯১৮ জনকে হজে পাঠানো হয়েছে বলে জাানিয়েছেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান।
রোববার (২২ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে আওয়ামী লীগের দলীয় সংসদ সদস্য দিদারুল আলমের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এ তথ্য জানান। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্ন-উত্তর টেবিলে উপস্থাপিত হয়।
দিদারুল আলমের প্রশ্নের জবাবে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী জানান, সর্বপ্রথম ২০১৪ সাল থেকে সরকার নির্দিষ্ট সংখ্যক ধর্মপ্রাণ মুসলমানকে ঘোষিত সর্বনিম্ন প্যাকেজ মূল্যে সরকারি অর্থে হজ পালনের উদ্দেশ্যে সৌদি আরব পাঠানোর কার্যক্রম শুরু হয়। এর মধ্যে ২০২০ ও ২০২১ সালে করোনার কারণে হজে পাঠানো হয়নি।
গত সাত বছরে এক হাজার ৯১৮ জনকে হজে পাঠানো হয়েছে সরকারি খরচে বলে জানান তিনি। এর মধ্যে ২০১৪ সালে ১২৫, ২০১৫ সালে ২৬৮ জন, ২০১৬ জনকে ২৮৩, ২০১৭ সালে ৩৩৪, ২০১৮ সালে ৩৪০জন, ২০১৯ সালে ৩১৪ ও ২০২২ সালে ২৫৪ জন।
ফরিদপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য মনজুর হোসেনের প্রশ্নের জবাবে ফরিদুল হক খান জানান, পরিসংখ্যান ব্যুরোর ২০১১ সালের তথ্য অনুযায়ী দেশে সনাতন ধর্মালম্বীদের সংখ্যা প্রায় এক কোটি ২৫ লাখ।
সরকার দলীয় সংসদ সদস্য এ কে এম রহমতুল্লাহের প্রশ্নের জবাবে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী জানান, জেলা ও উপজেলায় একটি করে ‘৫৬৪টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় একজন ইমাম ও একজন মুয়াজ্জিনকে বর্তমানে পর্যায়ক্রমে সম্মানীর ভিত্তিতে নিয়োগ করা হচ্ছে। এখানে এক হাজার ১২৮ জন ইমাম ও মুয়াজ্জিনের সরকারীভাবে সম্মানী দেওয়ার প্রক্রিয়া চলমান। এছাড়াও বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ ঢাকা, আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ এবং জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদ চট্টগ্রামে তিনজন খতিব, ছয়জন পেশ ইমাম ও বেতন ভাতা রাজস্ব খাতভুক্ত সরকারিভাবে দেওয়া হয়।
সরকার দলীয় সংসদ সদস্য মোহাম্মদ হাবিব হাসানের প্রশ্নের জবাবে ফরিদুল হক খান বলেন, জাকাত ফান্ডের বর্তমান স্থিতি চার কোটি ৯৭ লাখ ২১ হাজার ৩২৭ টাকা।