ঢাকা , মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
Logo ঢাকায় পাচার কালে সুনামগঞ্জ থেকে ইয়াবাসহ একজন গ্রেফতার Logo সেফটির হাওরে হীরা-৯ জাতের ধানের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি Logo সুনামগঞ্জ মেডিকেল কলেজে অ্যাকাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা Logo সুনামগঞ্জ মেডিকেল কলেজের আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত Logo সুনামগঞ্জে মেডিকেল কলেজ শিক্ষার্থীদের দেড়ঘণ্টা সড়ক অবরোধ, পরে সরিয়ে দিল সেনাবাহিনী Logo বিমানবন্দরে নেতাকর্মীদের ভালোবাসায় সিক্ত যুক্তরাজ্য বিএনপির সহ সভাপতি এম এ ছাত্তার Logo শান্তিগঞ্জের আসামমুড়ায় ​ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত Logo কলিম উদ্দিন আহমেদ মিলনের সুস্থতা কামনায় ছাতকের বিভিন্ন এলাকায় দোয়া মাহফিল Logo দোয়ারাবাজারে অপারেশন ডেভিল হান্টে যুবলীগ নেতা গ্রেফতার Logo শান্তিগঞ্জে কেন্দ্র ঘোষিত শ্রমিক যোগাযোগ পক্ষ পালন

মূল্যস্ফীতির বড় ধাক্কা গ্রামে

ফেব্রুয়ারি মাসে সামগ্রিক মূল্যস্ফীতি পর্যালোচনায় শহরের তুলনায় গ্রামীণ এলাকায় এর বেশি প্রভাব পড়েছে।পরিসংখ্যান ও গবেষণা বলছে, গ্রামীণ মূল্যস্ফীতি যথেষ্ট দ্রুত হারে বৃদ্ধি পাবে।প্রায় সকল দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো শহরের তুলনায় গ্রামীণ এলাকায় বেশি ব্যয়বহুল, যার মধ্যে খাদ্য সবচেয়ে ব্যয়বহুল।বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য অনুযায়ী, ফেব্রুয়ারিতে পয়েন্ট-টু-পয়েন্ট মূল্যস্ফীতির হার ০.২১% বেড়ে ৮.৭৮% হয়েছে।ফেব্রুয়ারী মাসে বিশ্বব্যাপী পণ্যের দাম কম হওয়া সত্ত্বেও, খাদ্য মূল্য সূচক জানুয়ারিতে ৭.৭৬% থেকে ৮.১৩% বেড়েছে, যেখানে খাদ্য বহির্ভূত মূল্য সূচক ৯.৮৪% থেকে ৯.৮২%-এ সামান্য হ্রাস পেয়েছে।গবেষণা বলছে, খাদ্য মূল্যস্ফীতি গ্রামীণ সম্প্রদায়ের উদ্বেগের একটি ক্রমবর্ধমান উৎস হয়ে উঠেছে। গ্রামীণ খাদ্য মূল্য সূচক ফেব্রুয়ারিতে ৮.১৯% এ পৌঁছেছে, যা আগের মাসে ছিল ,এরপরও ২০২২ সালের জুলাই থেকে গত সাত মাসে মুদ্রাস্ফীতি ৮% -এর উপরে রয়ে গেছে।গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে সামগ্রিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৬.১৭%।মার্চে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৬.২২%, এপ্রিলে ৬.২৯%, মে ৭.৪২%, জুন ৭.৫৬%, জুলাই ৭.৪৮%, আগস্ট ৯.৫২%, সেপ্টেম্বর ৯.১০%, অক্টোবর ৮.৯১%, নভেম্বর ৮.৮৫%, ডিসেম্বর ৮.৭১% এবং জানুয়ারিতে ৮.৫৭%।গ্রামীণ এলাকায় ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতির বিষয়ে জানতে চাইলে অর্থনীতিবিদ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক আর্থিক উপদেষ্টা এবি মির্জা আজিজুল ইসলাম ঢাকা ট্রিবিউনকে বলেন, “জবাবদিহিতার অভাব, পণ্য পরিবহনের দূরত্বসহ নানা কারণে মূল্যস্ফীতির সবচেয়ে বড় সমস্যায় ভুগছে গ্রামাঞ্চলের মানুষ।”যদিও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম বলেছেন, “দেশে মূল্যস্ফীতি অস্বস্তিকর পর্যায়ে পৌঁছায়নি।”নিজের বক্তব্যের পক্ষে উদাহরণ টেনে প্রতিমন্ত্রী জিম্বাবুয়ে ও পাকিস্তানের যথাক্রমে ৩০০% এবং ৪০% মূল্যস্ফীতির কথা উল্লেখ করেন।আমাদের মুদ্রাস্ফীতি আছে কিন্তু হাইপার লেভেলে নয়। এটা মূলত উৎপাদন খরচ ভিত্তিক। এমনকি ভারতের মুদ্রাস্ফীতিও আমাদের চেয়ে বেশি,” যোগ করেন তিনি।তিনি বলেন, যদিও ফেব্রুয়ারিতে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে, রিপোর্ট করছে ৮.৭৮%, গত কয়েক মাসে নিম্নমুখী প্রবণতা বিরাজ করছে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

Janasarthe 24

আপনাদের আশে পাশে ঘটে যাওয়া প্রতি মুহুর্তের খবর দিয়ে আমাদের সহযোগীতা করুন। আমরা আমাদের অনলাইনে তা প্রকাশ করে কৃতজ্ঞ হবো। আমাদের প্রতি মুহুর্তের খবর জানতে আমাদের সাথে থাকুন
জনপ্রিয় সংবাদ

ঢাকায় পাচার কালে সুনামগঞ্জ থেকে ইয়াবাসহ একজন গ্রেফতার

মূল্যস্ফীতির বড় ধাক্কা গ্রামে

আপডেট সময় ০৬:৫৫:৩৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ মার্চ ২০২৩

ফেব্রুয়ারি মাসে সামগ্রিক মূল্যস্ফীতি পর্যালোচনায় শহরের তুলনায় গ্রামীণ এলাকায় এর বেশি প্রভাব পড়েছে।পরিসংখ্যান ও গবেষণা বলছে, গ্রামীণ মূল্যস্ফীতি যথেষ্ট দ্রুত হারে বৃদ্ধি পাবে।প্রায় সকল দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো শহরের তুলনায় গ্রামীণ এলাকায় বেশি ব্যয়বহুল, যার মধ্যে খাদ্য সবচেয়ে ব্যয়বহুল।বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য অনুযায়ী, ফেব্রুয়ারিতে পয়েন্ট-টু-পয়েন্ট মূল্যস্ফীতির হার ০.২১% বেড়ে ৮.৭৮% হয়েছে।ফেব্রুয়ারী মাসে বিশ্বব্যাপী পণ্যের দাম কম হওয়া সত্ত্বেও, খাদ্য মূল্য সূচক জানুয়ারিতে ৭.৭৬% থেকে ৮.১৩% বেড়েছে, যেখানে খাদ্য বহির্ভূত মূল্য সূচক ৯.৮৪% থেকে ৯.৮২%-এ সামান্য হ্রাস পেয়েছে।গবেষণা বলছে, খাদ্য মূল্যস্ফীতি গ্রামীণ সম্প্রদায়ের উদ্বেগের একটি ক্রমবর্ধমান উৎস হয়ে উঠেছে। গ্রামীণ খাদ্য মূল্য সূচক ফেব্রুয়ারিতে ৮.১৯% এ পৌঁছেছে, যা আগের মাসে ছিল ,এরপরও ২০২২ সালের জুলাই থেকে গত সাত মাসে মুদ্রাস্ফীতি ৮% -এর উপরে রয়ে গেছে।গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে সামগ্রিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৬.১৭%।মার্চে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৬.২২%, এপ্রিলে ৬.২৯%, মে ৭.৪২%, জুন ৭.৫৬%, জুলাই ৭.৪৮%, আগস্ট ৯.৫২%, সেপ্টেম্বর ৯.১০%, অক্টোবর ৮.৯১%, নভেম্বর ৮.৮৫%, ডিসেম্বর ৮.৭১% এবং জানুয়ারিতে ৮.৫৭%।গ্রামীণ এলাকায় ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতির বিষয়ে জানতে চাইলে অর্থনীতিবিদ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক আর্থিক উপদেষ্টা এবি মির্জা আজিজুল ইসলাম ঢাকা ট্রিবিউনকে বলেন, “জবাবদিহিতার অভাব, পণ্য পরিবহনের দূরত্বসহ নানা কারণে মূল্যস্ফীতির সবচেয়ে বড় সমস্যায় ভুগছে গ্রামাঞ্চলের মানুষ।”যদিও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম বলেছেন, “দেশে মূল্যস্ফীতি অস্বস্তিকর পর্যায়ে পৌঁছায়নি।”নিজের বক্তব্যের পক্ষে উদাহরণ টেনে প্রতিমন্ত্রী জিম্বাবুয়ে ও পাকিস্তানের যথাক্রমে ৩০০% এবং ৪০% মূল্যস্ফীতির কথা উল্লেখ করেন।আমাদের মুদ্রাস্ফীতি আছে কিন্তু হাইপার লেভেলে নয়। এটা মূলত উৎপাদন খরচ ভিত্তিক। এমনকি ভারতের মুদ্রাস্ফীতিও আমাদের চেয়ে বেশি,” যোগ করেন তিনি।তিনি বলেন, যদিও ফেব্রুয়ারিতে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে, রিপোর্ট করছে ৮.৭৮%, গত কয়েক মাসে নিম্নমুখী প্রবণতা বিরাজ করছে।