ঢাকা , মঙ্গলবার, ০৫ অগাস্ট ২০২৫, ২১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
Logo শান্তিগঞ্জে এসইডিপি প্রকল্পের উদ্যােগে কৃতি শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ Logo শান্তিগঞ্জে আসন্ন ঝুলন যাত্রা সফল করতে প্রশাসন ও সব মহলের ঐক্যবদ্ধ প্রতিশ্রুতি Logo পশ্চিম বীরগাঁও বিএনপি কমিটিতে তোফায়েল ও জসীম, ফুলেল শুভেচ্ছায় বরণ Logo বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী ব্যারিস্টার আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে শান্তিগঞ্জে তৃণমূলের জাগরণ Logo পাথারিয়া ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হলেন মোঃ আক্কাস মিয়া Logo সেনাসদরে ‘ক্যাপস্টোন ২০২৫/০২’ কোর্সের অংশগ্রহণকারীদের পরিদর্শন Logo দোয়ারাবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স’র উদ্যোগে জুলাই পুনর্জাগরণ উপলক্ষে স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচী পালিত Logo পাথারিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে “জুলাই পুনর্জাগরণ” অনুষ্ঠান মালা সম্পন্ন Logo সাতগাঁও জীবদারা উচ্চ বিদ্যালয়ে কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত Logo সুরমা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজে একাদশ শ্রেণিতে মানবিক শাখায় ভর্তি চলছে

মা এবং আমাকে হত্যা করতে চেয়েছিল: জাহাঙ্গীর আলম

গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী জায়েদা খাতুনের (টেবিল ঘড়ি প্রতীক) প্রধান সমন্বয়ক জাহাঙ্গীর আলম বলেছেন, ‘গত চার দিন টঙ্গীতে আমরা যেসব এলাকায় গিয়েছি সেসব এলাকায় আজমত উল্লার লোক আমাকে এবং আমার মা জায়েদা খাতুনকে হত্যা করতে চেয়েছিল। তারা কৌশলে বিভিন্ন রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে আমাদের ওপর আক্রমণ করেছে। আল্লাহ এবং জনগণ আমাদের বাঁচিয়ে রেখেছেন।’শুক্রবার (১৯ মে) দুপুর সাড়ে ১২টায় গাজীপুরের ছয়দানা (মালেকের বাড়ি) এলাকায় নিজ বাড়িতে এক সংবাদ সম্মেলনে সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর এসব অভিযোগ করেন। জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘প্রশাসন, নির্বাচন কমিশনার এবং সরকারের দায়িত্ব নিরপেক্ষ ভোট করা। প্রশাসনের কিছু লোক আছে যারা এলাকাভিত্তিক দায়িত্ব পালন করছেন। তারা আমাদের নেতাকর্মীদের বাসায় গিয়ে তাদের যেকোনোভাবে উঠিয়ে এনে হুমকি দিচ্ছেন। ভয় দেখানো হচ্ছে এবং অনেকের কাছ থেকে টাকাও নিচ্ছেন। তারা বলছেন, কোনোভাবেই জায়েদা খাতুন যেন ভোট না করতে পারেন। তারা আজমত উল্লা খানের ভোট করার নির্দেশ দিচ্ছেন। এটা কি নির্বাচনি পরিবেশ? গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া?’তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচনে আমার মা জায়েদা খাতুনের প্রধান সমন্বয়ক হিসেবে কাজ করছি। মা সন্তানকে বলেছেন, “সন্তান হিসেবে আমার পাশে থেকো”। সেই হিসেবে আমি মার প্রচারণার কাজের দেখভাল করছি। আমি যখন কোনও প্রচারণায় যাই তখন প্রতিটি ওয়ার্ড, মহল্লায় কর্মী ও সমর্থককে বিভিন্নভাবে আজমত উল্লা এবং তার লোকরা বাধা দিচ্ছেন। আমাদের নেতাকর্মীদের হয়রানি করছেন।’নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশ্যে জাহাঙ্গীর বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন আমরা যেসব জায়গায় পোস্টার লাগাই, লিফলেট বিতরণ করি– সেসব তারা রাতে গিয়ে ছিঁড়ে ফেলে। সেই হিসেবে ভোট এখানে নিরপেক্ষ হচ্ছে না। সেজন্য নিরপেক্ষ হওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনের দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। ভোট মানুষের মতামতের জায়গা। যদি মনে করেন এখানে সুষ্ঠুভাবে ভোট করাতে পারবেন না, তাহলে সব প্রার্থীকে ডেকে বলেন, আমরা আজমত উল্লাকে ছেড়ে দিই। কিন্তু এই ভোটকে আপনারা অসম্মান করবেন না। নিরপেক্ষ ভোটের জন্য একজন প্রার্থীকে নির্বাচন কমিশন এবং সরকারের পক্ষ থেকে সাপোর্ট দেওয়ার কথা।’এ সময় স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা খাতুন অভিযোগ করে বলেন, ‘আমরা মা-ছেলে ভোট চাওয়ার জন্য যে কয়দিনই বের হয়েছি টঙ্গীতে, সে কয়দিনই হামলা করা হয়েছে। গতকাল গাড়ির সামনে যে হামলা করলো, তা আমাদের জীবন বাঁচানোর জন্য করেনি। আমি যদি ভোটই না চাইতে পারি, ভোট দেওয়ার জন্য লোকজনের কাছে না যেতে পারি, তাহলে ভোট কীভাবে কালেকশন করবো। ওরা ভোটের জন্য আমাকে আর আমার ছেলেকে মারার প্রস্তুতি নিয়েছে। আজমত উল্লা খান লোক সেট করেছে, আমরা বেরুলেই হামলা করবে।আমার দাবি আমি এবং আমার জনগণ যেন নিরাপত্তা পায়, ভোট দিতে পারে। আমার ভোট চাইতে গেলে কেন হামলা হয়? আমার লোকরা তো কারও ওপর হামলা করে না। আমি এর বিচার চাই। ভোটারদের নিরাপত্তা চাই।’

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

Janasarthe 24

আপনাদের আশে পাশে ঘটে যাওয়া প্রতি মুহুর্তের খবর দিয়ে আমাদের সহযোগীতা করুন। আমরা আমাদের অনলাইনে তা প্রকাশ করে কৃতজ্ঞ হবো। আমাদের প্রতি মুহুর্তের খবর জানতে আমাদের সাথে থাকুন

শান্তিগঞ্জে এসইডিপি প্রকল্পের উদ্যােগে কৃতি শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ

মা এবং আমাকে হত্যা করতে চেয়েছিল: জাহাঙ্গীর আলম

আপডেট সময় ০৬:২২:৪১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ মে ২০২৩

গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী জায়েদা খাতুনের (টেবিল ঘড়ি প্রতীক) প্রধান সমন্বয়ক জাহাঙ্গীর আলম বলেছেন, ‘গত চার দিন টঙ্গীতে আমরা যেসব এলাকায় গিয়েছি সেসব এলাকায় আজমত উল্লার লোক আমাকে এবং আমার মা জায়েদা খাতুনকে হত্যা করতে চেয়েছিল। তারা কৌশলে বিভিন্ন রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে আমাদের ওপর আক্রমণ করেছে। আল্লাহ এবং জনগণ আমাদের বাঁচিয়ে রেখেছেন।’শুক্রবার (১৯ মে) দুপুর সাড়ে ১২টায় গাজীপুরের ছয়দানা (মালেকের বাড়ি) এলাকায় নিজ বাড়িতে এক সংবাদ সম্মেলনে সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর এসব অভিযোগ করেন। জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘প্রশাসন, নির্বাচন কমিশনার এবং সরকারের দায়িত্ব নিরপেক্ষ ভোট করা। প্রশাসনের কিছু লোক আছে যারা এলাকাভিত্তিক দায়িত্ব পালন করছেন। তারা আমাদের নেতাকর্মীদের বাসায় গিয়ে তাদের যেকোনোভাবে উঠিয়ে এনে হুমকি দিচ্ছেন। ভয় দেখানো হচ্ছে এবং অনেকের কাছ থেকে টাকাও নিচ্ছেন। তারা বলছেন, কোনোভাবেই জায়েদা খাতুন যেন ভোট না করতে পারেন। তারা আজমত উল্লা খানের ভোট করার নির্দেশ দিচ্ছেন। এটা কি নির্বাচনি পরিবেশ? গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া?’তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচনে আমার মা জায়েদা খাতুনের প্রধান সমন্বয়ক হিসেবে কাজ করছি। মা সন্তানকে বলেছেন, “সন্তান হিসেবে আমার পাশে থেকো”। সেই হিসেবে আমি মার প্রচারণার কাজের দেখভাল করছি। আমি যখন কোনও প্রচারণায় যাই তখন প্রতিটি ওয়ার্ড, মহল্লায় কর্মী ও সমর্থককে বিভিন্নভাবে আজমত উল্লা এবং তার লোকরা বাধা দিচ্ছেন। আমাদের নেতাকর্মীদের হয়রানি করছেন।’নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশ্যে জাহাঙ্গীর বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন আমরা যেসব জায়গায় পোস্টার লাগাই, লিফলেট বিতরণ করি– সেসব তারা রাতে গিয়ে ছিঁড়ে ফেলে। সেই হিসেবে ভোট এখানে নিরপেক্ষ হচ্ছে না। সেজন্য নিরপেক্ষ হওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনের দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। ভোট মানুষের মতামতের জায়গা। যদি মনে করেন এখানে সুষ্ঠুভাবে ভোট করাতে পারবেন না, তাহলে সব প্রার্থীকে ডেকে বলেন, আমরা আজমত উল্লাকে ছেড়ে দিই। কিন্তু এই ভোটকে আপনারা অসম্মান করবেন না। নিরপেক্ষ ভোটের জন্য একজন প্রার্থীকে নির্বাচন কমিশন এবং সরকারের পক্ষ থেকে সাপোর্ট দেওয়ার কথা।’এ সময় স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা খাতুন অভিযোগ করে বলেন, ‘আমরা মা-ছেলে ভোট চাওয়ার জন্য যে কয়দিনই বের হয়েছি টঙ্গীতে, সে কয়দিনই হামলা করা হয়েছে। গতকাল গাড়ির সামনে যে হামলা করলো, তা আমাদের জীবন বাঁচানোর জন্য করেনি। আমি যদি ভোটই না চাইতে পারি, ভোট দেওয়ার জন্য লোকজনের কাছে না যেতে পারি, তাহলে ভোট কীভাবে কালেকশন করবো। ওরা ভোটের জন্য আমাকে আর আমার ছেলেকে মারার প্রস্তুতি নিয়েছে। আজমত উল্লা খান লোক সেট করেছে, আমরা বেরুলেই হামলা করবে।আমার দাবি আমি এবং আমার জনগণ যেন নিরাপত্তা পায়, ভোট দিতে পারে। আমার ভোট চাইতে গেলে কেন হামলা হয়? আমার লোকরা তো কারও ওপর হামলা করে না। আমি এর বিচার চাই। ভোটারদের নিরাপত্তা চাই।’