ঢাকা , মঙ্গলবার, ০১ অক্টোবর ২০২৪, ১৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
Logo শান্তিগঞ্জে কৃষি প্রযুক্তি মেলার উদ্বোধন Logo শান্তিগঞ্জে বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের সাথে জেলা প্রশাসকের মতবিনিময়  Logo সুনামগঞ্জের জিল্লুর রহমান সহ ছয় অতিরিক্ত সচিবকে ওএসডি Logo দিরাইয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নাম ব্যবহার করে কোন অনিয়ম দালালির সাথে জড়িতদের কঠোর হস্তে দমন করা হবে Logo ল্যাব সংস্কারের টাকা আত্মসা শাল্লায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে তুলে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোব! Logo শান্তিগঞ্জে জামায়াতের উদ্যোগে সিরাত মাহফিল ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান Logo অনৈতিক প্রস্তাবে রাজি নয়, বিধবা কার্ড বাতিলের অভিযোগ Logo বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় সীমান্তিকের উদ্যাগে বিশ্ব গর্ভনিরোধ দিবস উদযাপন Logo সিলেটে পাথরবাহী ট্রাকের নিচে চাপা পড়ে ঔষধ কোম্পানীর এরিয়া ম্যানেজার নিহত Logo পাথারিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃআলী নেওয়াজের ইন্তেকাল

সার্টিফিকেট পোড়ানো যুবক বললেন, ‘একজনকে চাকরি না দিয়ে সবার জন্য বয়সসীমা বাড়ান’

ফেসবুকে লাইভে এসে নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতার সব সার্টিফিকেট আগুনে পুড়িয়েছেন নেত্রকোনার মোহনগঞ্জের যুবক আব্দুস সালাম (৩২)। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজের সনদ পুড়িয়ে ফেলার ঘটনাটি ছড়িয়ে পড়লে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। নেত্রকোনা মোহনগঞ্জ পৌরশহরের দেওথান এলাকার শামসুর রহমানের ছেলে সালাম ঢাকা কলেজের সাবেক ছাত্র।

এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে সালাম বলেন, ‘এর আগে সরকারি ইডেন কলেজের এক ছাত্রী সার্টিফিকেট পুড়িয়ে ফেলার পর সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগে চাকরির সুযোগ মেলে তার। আমার দাবি, একজনকে জন্য চাকরি না দিয়ে সবার জন্য সরকারি চাকরির বয়সসীমা বাড়ান। তাহলে সবাই চাকরির সুযোগটা পাবে।’

ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘২০০৬ সালে মোহনগঞ্জ পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং ২০০৮ সালে ময়মনসিংহের আলমগীর মনসুর (মিন্টু) মেমোরিয়াল কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করি। পরে ঢাকা কলেজ থেকে দর্শনশাস্ত্রে অনার্স ও মাস্টার্স করে সরকারি বিভিন্ন দফতরে চাকরির জন্য দীর্ঘদিন চেষ্টা করি। চাকরি না হওয়ায় অ্যাকাডেমিক সার্টিফিকেট পারিবারিক ও সামাজিকভাবে আমার কোনও কাজে আসছে না।

‘স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করেছি। রেজাল্টও ভালো। কিন্তু অনেক আবেদন করেও চাকরি হয়নি। অথচ অপেক্ষাকৃত কম মেধারিরাও লবিং-তদবির ও ঘুষের মাধ্যমে চাকরি পেয়েছেন। তাই সার্টিফিকেটের বয়সসীমা পেরিয়ে যাওয়ায় আমি এই কাজ করেছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘চাকরি না পেয়ে বর্তমানে শহরের স্টেশন রোডে “কুটুমবাড়ি” নামে একটি রেস্টুরেন্ট দিয়েছি। মোহনগঞ্জ পৌরশহরে রেস্টুরেন্টের ভেতরে গত মঙ্গলবার রাতে আমি সব সার্টিফিকেট আগুনে পুড়িয়ে ছবি ও ভিডিও নিজের ফেসবুকে পোস্ট করি।’

এ বিষয়ে মোহনগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাব্বির আহমেদ আকুঞ্জি বলেন, ‘এভাবে সার্টিফিকেট পুড়িয়ে ফেলা ঠিক নয়। পড়াশোনা আসলে চাকরি পাওয়ার জন্য নয়, জ্ঞান অর্জনের জন্য। এ জ্ঞান জীবনের সব ক্ষেত্রেই কাজে লাগবে। সবার তো চাকরি হয় না। তাই চাকরির চেষ্টার পাশাপাশি উদ্যোক্তা হওয়ার চেষ্টা করতে হবে। তাহলে এই হতাশাগুলো আর থাকবে না।’

সচেতনতা বাড়াতে প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এই বিষয় নিয়ে আলোচনা ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান তিনি।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

Janasarthe 24

আপনাদের আশে পাশে ঘটে যাওয়া প্রতি মুহুর্তের খবর দিয়ে আমাদের সহযোগীতা করুন। আমরা আমাদের অনলাইনে তা প্রকাশ করে কৃতজ্ঞ হবো। আমাদের প্রতি মুহুর্তের খবর জানতে আমাদের সাথে থাকুন

শান্তিগঞ্জে কৃষি প্রযুক্তি মেলার উদ্বোধন

সার্টিফিকেট পোড়ানো যুবক বললেন, ‘একজনকে চাকরি না দিয়ে সবার জন্য বয়সসীমা বাড়ান’

আপডেট সময় ০৫:০৫:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ জুন ২০২৩

ফেসবুকে লাইভে এসে নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতার সব সার্টিফিকেট আগুনে পুড়িয়েছেন নেত্রকোনার মোহনগঞ্জের যুবক আব্দুস সালাম (৩২)। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজের সনদ পুড়িয়ে ফেলার ঘটনাটি ছড়িয়ে পড়লে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। নেত্রকোনা মোহনগঞ্জ পৌরশহরের দেওথান এলাকার শামসুর রহমানের ছেলে সালাম ঢাকা কলেজের সাবেক ছাত্র।

এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে সালাম বলেন, ‘এর আগে সরকারি ইডেন কলেজের এক ছাত্রী সার্টিফিকেট পুড়িয়ে ফেলার পর সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগে চাকরির সুযোগ মেলে তার। আমার দাবি, একজনকে জন্য চাকরি না দিয়ে সবার জন্য সরকারি চাকরির বয়সসীমা বাড়ান। তাহলে সবাই চাকরির সুযোগটা পাবে।’

ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘২০০৬ সালে মোহনগঞ্জ পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং ২০০৮ সালে ময়মনসিংহের আলমগীর মনসুর (মিন্টু) মেমোরিয়াল কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করি। পরে ঢাকা কলেজ থেকে দর্শনশাস্ত্রে অনার্স ও মাস্টার্স করে সরকারি বিভিন্ন দফতরে চাকরির জন্য দীর্ঘদিন চেষ্টা করি। চাকরি না হওয়ায় অ্যাকাডেমিক সার্টিফিকেট পারিবারিক ও সামাজিকভাবে আমার কোনও কাজে আসছে না।

‘স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করেছি। রেজাল্টও ভালো। কিন্তু অনেক আবেদন করেও চাকরি হয়নি। অথচ অপেক্ষাকৃত কম মেধারিরাও লবিং-তদবির ও ঘুষের মাধ্যমে চাকরি পেয়েছেন। তাই সার্টিফিকেটের বয়সসীমা পেরিয়ে যাওয়ায় আমি এই কাজ করেছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘চাকরি না পেয়ে বর্তমানে শহরের স্টেশন রোডে “কুটুমবাড়ি” নামে একটি রেস্টুরেন্ট দিয়েছি। মোহনগঞ্জ পৌরশহরে রেস্টুরেন্টের ভেতরে গত মঙ্গলবার রাতে আমি সব সার্টিফিকেট আগুনে পুড়িয়ে ছবি ও ভিডিও নিজের ফেসবুকে পোস্ট করি।’

এ বিষয়ে মোহনগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাব্বির আহমেদ আকুঞ্জি বলেন, ‘এভাবে সার্টিফিকেট পুড়িয়ে ফেলা ঠিক নয়। পড়াশোনা আসলে চাকরি পাওয়ার জন্য নয়, জ্ঞান অর্জনের জন্য। এ জ্ঞান জীবনের সব ক্ষেত্রেই কাজে লাগবে। সবার তো চাকরি হয় না। তাই চাকরির চেষ্টার পাশাপাশি উদ্যোক্তা হওয়ার চেষ্টা করতে হবে। তাহলে এই হতাশাগুলো আর থাকবে না।’

সচেতনতা বাড়াতে প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এই বিষয় নিয়ে আলোচনা ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান তিনি।