সিলেটে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় সর্বশেষ ১৫ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে ঘটনাস্থলে মারা যান ১১ জন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে নিলে আরও ৪ জন প্রাণ হারান। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
আজ বুধবার সকাল সাড়ে ৫টার দিকে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের দক্ষিণ সুরমার নাজির বাজার এলাকার কুতুবপুর নামক স্থানে একটি বালুবাহী ট্রাক ও শ্রমিক বহনকারী পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। নিহতদের মধ্যে ১৪ জনের পরিচয় মিলেছে। তারা সবাই নির্মাণশ্রমিক। নিহতদের মধ্যে বেশিরভাগ সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই উপজেলার বাসিন্দা।
তারা হলেন- সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার ভাটিপাড়া গ্রামের মো. সিজিল মিয়া (৫৫), একলিম মিয়া (৫৫), হারিছ মিয়া (৬৫), সৌরভ মিয়া (২৭), সাজেদুর (৬০), বাদশা মিয়া (৩০), সাধু মিয়া (৫০), রশিদ মিয়া (৫০) ও মেহের (২৫); সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার শাহীন মিয়া (৪০), দুলাল মিয়া (২৬) ও আওলাদ হোসেন (৫০); হবিগঞ্জের চুনারুঘাটের আমিনা বেগম (৪৫) এবং নেত্রকোণার বারহাট্টার আওলাদ মিয়া (৪০)।
পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, সিলেট মহানগর থেকে পিকআপভ্যানে করে প্রায় ৩০ জন নির্মাণশ্রমিক জেলার ওসমানীনগর উপজেলার গোয়ালাবাজার যাচ্ছিলেন। সকাল সাড়ে ৫টার দিকে দক্ষিণ সুরমার নাজিরবাজার এলাকার কুতুবপুর নামক স্থানে পৌঁছালে মুনশীগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা সিলেটগামী বালুবাহী ট্রাকের সঙ্গে শ্রমিক বহনকারী পিকআপের সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই ১১ জন মারা যান।
খবর পেয়ে দক্ষিণ সুরমা থানা পুলিশ এবং সিলেট ও ওসমানীনগরের ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের একাধিক ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় হতাহতদের উদ্ধার করে ওসমানী হাসপাতালে পাঠায়।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সিলেটের উপ-পরিচালক মনিরুজ্জামান বলেন, সিলেট ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স উপ-পরিচালক মনিরুজ্জামান বলেন, আমরা খবর পেয়েই ঘটনাস্থলেই ছুটে আসি। সকাল ৭টা পর্যন্ত ১১ জনের মৃতদেহ ও অন্তত ১০ জন গুরুতর আহতকে উদ্ধার করে ওসমানী হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আমরা আসার আগে স্থানীয়রা আরও আহত কয়েকজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছেন। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।