বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সম্প্রতি বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপরে সরকারের জুলুম-নির্যাতন ও বিভিন্ন কৌশল বেড়েই চলেছে। তিনি বলেন, ‘নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে, ততই বিএনপিকে রাজনীতির মাঠ থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বিচার বিভাগকে ব্যবহার করে— খুন, হত্যা, মিথ্যা মামলা, উচ্চ আদালতের নির্দেশ অমান্য করে মিথ্যা মামলায় নাম-ভুক্ত নেতাকর্মীদের কারাগারে প্রেরণ করা হচ্ছে।’
বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) বিকালে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘‘গতকাল (বুধবার) চট্টগ্রামে ‘তারুণ্যের সমাবেশে’ আসা ও যাওয়ার সময় যুবদলের ওপর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালায়। আমাদের কয়েকজন নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। কী একটা অবস্থা, আমাদের ওপর হামলা করে, আবার আমাদের নামেই মামলা করে।’
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘পুরনো মামলাগুলো আবার সচল করা হচ্ছে। তড়িঘড়ি করে মামলার রায়গুলো দিতে চেষ্টা করে যাচ্ছে সরকার। এ সরকারের মূল উদ্দেশ্য— বিএনপিকে মাঠে নামতে না দেওয়া, মাঠছাড়া করা। আগের মতো একতরফা নির্বাচন করে ক্ষমতায় থেকে যাওয়ার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে সরকার।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আওয়ামী লীগের কাজই হচ্ছে সংঘাত সৃষ্টি করা, সংঘাত সৃষ্টি করে আমাদের নামে মামলা দেবে। আমাদের নেতাকর্মীদের আটক ও গ্রেফতার করে দমনের লক্ষ্য এই সরকারের।’
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকনের নরসিংদীর বাড়িতে সন্ত্রাসী হামলা ও বিএনপি কার্যালয়ে আগুন দেওয়ার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘শুধু তাই নয়, চক্রান্তমূলকভাবে খোকনের নরসিংদীর বাসভবন ও বিএনপি কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করা হয়েছে। এই ঘটনা কোনও সাধারণ ঘটনা নয়। সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রত্যক্ষ যোগ সাজশে এবং সমর্থনে কিছু সন্ত্রাসী দিয়ে এই হামলা ও পরে অগ্নিসংযোগ ঘটানো হয়েছে।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজজামান দুদু, উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক কামরুজ্জামান রতন প্রমুখ।