সুদানে বিমান হামলায় নারী ও শিশুসহ অন্তত ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। হামলার তাৎক্ষণিক নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘ। শনিবার (৮ জুলাই) দেশটির রাজধানী খার্তুমের পার্শ্ববর্তী শহর ওমদুরমানে এ হামলা চালানো হয়। ক্ষমতা দখলে নিতে সুদানের সেনাবাহিনী ও আধাসামরিক বাহিনীর লড়াইয়ে এই হামলাকে সবচেয়ে মারাত্মক হামলার মধ্যে একটি বলে উল্লেখ্য করা হয়েছে।
এদিকে, ভয়াবহ এই হামলা জন্যও সেনাবাহিনীকে দায়ী করেছে আধাসামরিক বাহিনী। তারা বলছে, হামলা ৩১ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের তথ্যমতে, গত ১৫ এপ্রিল দুই পক্ষের মধ্যে লড়াই শুরুর পর আধাসামরিক বাহিনী দেশটির রাজধানী খার্তুম, ওমদুরমান এবং বাহরির নিয়ন্ত্রণ নেয়। এরপর থেকে এসব এলাকায় প্রতিনিয়ত বিমান ও কামান হামলা শুরু করে সেনাবাহিনী। এর আগে, গত মাসে খার্তুমে একটি বিমান হামলায় পাঁচ শিশুসহ অন্তত ১৭ জন নিহত হয়।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের অক্টোবরে সামরিক অভ্যুত্থানের পর সুদানের নেতৃত্ব দিচ্ছেন জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান। তার সঙ্গে উপনেতা হিসেবে রয়েছেন আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) প্রধান মোহাম্মদ হামদান হেমেডটি দাগালো। আগামীতে দেশটি কিভাবে পরিচালিত হবে তা নিয়ে এই দুই নেতার মধ্যে বিরোধ তৈরি হয়। বিশেষ করে দেশটির বেসামরিক শাসনে ফিরে যাওয়ার প্রস্তাবনা নিয়ে তারা ভিন্ন অবস্থান গ্রহণ করেন।
এছাড়া এক লাখ সদস্যের র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসকে সেনাবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা এবং পরে নতুন এই বাহিনীর নেতৃত্বে কে থাকবে সে বিষয়ে দুই জেনারেলের মধ্যে মতবিরোধের জেরে লড়াই শুরু হয়। সূত্র : বিবিসি, সিএনএন