ঢাকা , বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
Logo জুলাই-আগষ্টের ছাত্র-জনতার গণঅদ্ভুত্থানে আহত ও শহীদদের স্মরণে ছাতকে স্মরণ সভা Logo বালি মহালে ইজারা পদ্বতি বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন Logo ছাতকে আওয়ামিলীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার Logo পিলখানা হত্যাকান্ডের সুষ্ঠ তদন্ত ও নিরপরাধ বিডিআর সদস্যদের চাকুরিতে পুনর্বহালের দাবীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত Logo জগন্নাথপুরের ওসি মোখলেছুর রহমান আকন্দকে শিবির কর্মী বলে প্রচারণা চালানোয় জগন্নাথপুর উপজেলা জামায়াতের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ। Logo শান্তিগঞ্জের জয়সিদ্ধি-বসিউয়াখাউরী গ্রামে বিএনপির কর্মী সভা Logo জগন্নাথপুরে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত Logo জগন্নাথপুর উপজেলার ৬ নং রাণীগঞ্জ ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর কমিটি গঠন Logo পরিবেশ নষ্ট করে কোন বাঁধ নির্মাণ হবেনা – পরিবেশ উপদেষ্টা Logo হাওরের জন্য সরকারের মাস্টার প্লান আছে- উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান

থাইল্যান্ডের নতুন প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিন

থাইল্যান্ডের নতুন প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন দেশটির রিয়েল এস্টেট মোঘল-খ্যাত স্রেথা থাভিসিন। মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) দেশটির পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠ আইনপ্রণেতার সমর্থন পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন তিনি।

এর মধ্য দিয়ে দেশটিতে প্রায় তিন মাসের রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা ও অচলাবস্থার অবসান ঘটেছে। স্রেথা এমন একদিনে থাইল্যান্ডের সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের সমর্থন পেয়ে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হলেন, যেদিন কয়েক বছরের নির্বাসন থেকে দেশে ফিরেই কারাবন্দী হয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রা।

স্রেথা থাভিসিনের রাজনৈতিক দল ফেউ থাই পার্টি গত মে মাসে অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনে দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল। কিন্তু তারপরও থাইল্যান্ডের সংসদের উভয়কক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে দেশটির ৩০তম প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন তিনি।

মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) দেশটির সংসদ টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচারিত ভোটের গণনা অনুযায়ী, থাইল্যান্ডের সংসদের নিম্নকক্ষের সদস্য এবং সর্বশেষ থাই জান্তার নিয়োগকৃত উচ্চকক্ষ সিনেটরদের সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজনীয় ৩৭৪ ভোটের সীমা পেরিয়ে যান স্রেথা।

প্রায় এক ডজন দলকে নিয়ে ফেউ থাইয়ের গড়া জোট সংসদের নিম্নকক্ষের ৫০০ আসনের মধ্যে ৩১৪টি দখল করেছে। তবে সাবেক বিরোধী শক্তি ও শত্রুদের জোটে নেওয়া নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে ফেউ থাই পার্টি। এমনকি এই জোটের মধ্যে ফেউ থাইয়ের সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষমতাচ্যুত করা সেনা-সমর্থিত রাজনৈতিক দলও রয়েছে।

প্রায় এক দশকের সেনা-সমর্থিত শাসনের কারণে দেশটির শহুরে এবং গ্রামীণ যুবকদের মাঝে তীব্র অসন্তোষ তৈরি হয়েছে; যার ফল দেশটির মে মাসের নির্বাচনে মুভ ফরোয়ার্ড পার্টি পেয়েছে। অবাক করার মতো জনপ্রিয়তা পেয়ে দেশটির ওই নির্বাচনে প্রথম স্থান দখল করে দলটি।

তবে সেনাবাহিনী ও রক্ষণশীল আইনপ্রণেতাদের সমর্থন না পাওয়ায় সরকার গঠনে ব্যর্থ হয় এমএফপি। যে কারণে দ্বিতীয় স্থানে থাকা স্রেথার ফেউ থাই পার্টির সরকার গঠনের পথ পরিষ্কার হয়ে যায়।

 

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

Janasarthe 24

আপনাদের আশে পাশে ঘটে যাওয়া প্রতি মুহুর্তের খবর দিয়ে আমাদের সহযোগীতা করুন। আমরা আমাদের অনলাইনে তা প্রকাশ করে কৃতজ্ঞ হবো। আমাদের প্রতি মুহুর্তের খবর জানতে আমাদের সাথে থাকুন
জনপ্রিয় সংবাদ

জুলাই-আগষ্টের ছাত্র-জনতার গণঅদ্ভুত্থানে আহত ও শহীদদের স্মরণে ছাতকে স্মরণ সভা

থাইল্যান্ডের নতুন প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিন

আপডেট সময় ০৭:১৫:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ অগাস্ট ২০২৩

থাইল্যান্ডের নতুন প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন দেশটির রিয়েল এস্টেট মোঘল-খ্যাত স্রেথা থাভিসিন। মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) দেশটির পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠ আইনপ্রণেতার সমর্থন পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন তিনি।

এর মধ্য দিয়ে দেশটিতে প্রায় তিন মাসের রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা ও অচলাবস্থার অবসান ঘটেছে। স্রেথা এমন একদিনে থাইল্যান্ডের সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের সমর্থন পেয়ে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হলেন, যেদিন কয়েক বছরের নির্বাসন থেকে দেশে ফিরেই কারাবন্দী হয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রা।

স্রেথা থাভিসিনের রাজনৈতিক দল ফেউ থাই পার্টি গত মে মাসে অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনে দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল। কিন্তু তারপরও থাইল্যান্ডের সংসদের উভয়কক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে দেশটির ৩০তম প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন তিনি।

মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) দেশটির সংসদ টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচারিত ভোটের গণনা অনুযায়ী, থাইল্যান্ডের সংসদের নিম্নকক্ষের সদস্য এবং সর্বশেষ থাই জান্তার নিয়োগকৃত উচ্চকক্ষ সিনেটরদের সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজনীয় ৩৭৪ ভোটের সীমা পেরিয়ে যান স্রেথা।

প্রায় এক ডজন দলকে নিয়ে ফেউ থাইয়ের গড়া জোট সংসদের নিম্নকক্ষের ৫০০ আসনের মধ্যে ৩১৪টি দখল করেছে। তবে সাবেক বিরোধী শক্তি ও শত্রুদের জোটে নেওয়া নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে ফেউ থাই পার্টি। এমনকি এই জোটের মধ্যে ফেউ থাইয়ের সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষমতাচ্যুত করা সেনা-সমর্থিত রাজনৈতিক দলও রয়েছে।

প্রায় এক দশকের সেনা-সমর্থিত শাসনের কারণে দেশটির শহুরে এবং গ্রামীণ যুবকদের মাঝে তীব্র অসন্তোষ তৈরি হয়েছে; যার ফল দেশটির মে মাসের নির্বাচনে মুভ ফরোয়ার্ড পার্টি পেয়েছে। অবাক করার মতো জনপ্রিয়তা পেয়ে দেশটির ওই নির্বাচনে প্রথম স্থান দখল করে দলটি।

তবে সেনাবাহিনী ও রক্ষণশীল আইনপ্রণেতাদের সমর্থন না পাওয়ায় সরকার গঠনে ব্যর্থ হয় এমএফপি। যে কারণে দ্বিতীয় স্থানে থাকা স্রেথার ফেউ থাই পার্টির সরকার গঠনের পথ পরিষ্কার হয়ে যায়।