রাশিয়ায় বিমান দূর্ঘটনা নিহত রুশ ভাড়াটে বাহিনী ওয়াগনারের প্রধান ইয়েভগিনি প্রিগোজিনসহ ১০ আরোহীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে বিধ্বস্ত বিমানের ফ্লাইট রেকর্ডার। শুক্রবার মস্কোর তদন্ত কমিটির বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।
এদিকে প্রিগোজিনকে হত্যার নির্দেশ দেয়ার পশ্চিমা অভিযোগ অস্বীকার করেছে ক্রেমলিন। একে ডাহা মিথ্যা দাবি করে ক্রেমলিন মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ জানান, প্রিগোজিনের মৃত্যুর ব্যাপারে এখনও তদন্ত চলছে।
গত বুধবার বিমান দুর্ঘটনায় রুশ ভাড়াটে সেনাদল ওয়াগনার প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিনের মৃত্যুর পর চলছে নানা জল্পনা কল্পনা। তার মৃত্যুর পেছনে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে পশ্চিমা বিশ্ব। তবে এমন অভিযোগ ডাহা মিথ্যা বলে প্রত্যাখ্যান করেছে ক্রেমলিন।
এ নিয়ে ক্রেমলিন মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, পশ্চিমাদের এসব জল্পনা কল্পনা নির্দিষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি থেকেই এসেছে, তবে তা সত্য নয়।
দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিচয় নিশ্চিত করতে ডিএনএ পরীক্ষা চলছে বলেও জানান পেসকভ। সংবাদ সম্মেলনে তিনি পুতিনের দেয়া ভাষণের কথাও তুলে ধরেন।
বিমান দুর্ঘটনায় প্রিগোজিনের মৃত্যুর একদিন পর রুশ রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে ভাষণ দেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সেখানে তিনি শোক জানিয়ে প্রিগোজিন একজন মেধাবী ব্যক্তি এবং দেশপ্রেমিক ছিলেন বলে উল্লেখ করেন।
এদিকে বিমান দুর্ঘটনায় ওয়াগনার প্রধান ইয়েভিজেনি প্রিগোজিন যে নিহত হয়েছেন তার কোনো সুস্পষ্ট প্রমাণ এখনো মেলেনি বলে দাবি যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের। এছাড়া প্রিগোজিন দুর্ঘটনায় মারা গেলেও ওয়াগনারের জন্য নতুন দলনেতা খুঁজে বের করা কঠিন হবে বলে মনে করছে যুক্তরাজ্য।
অন্যদিকে রুশ জঙ্গি সংগঠন রাশিয়ান ভলান্টিয়ার কর্পস ওয়াগনার গ্রুপকে প্রিগোজিন হত্যার প্রতিশোধ নেয়ার আহ্ববান জানিয়েছে।