স্টাফ রিপোর্টার:
শান্তিগঞ্জ(সুনামগঞ্জ)
সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার সদরপুর মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির নামে ইজারাকৃত সদরপুর খাল ও গুড়াডুবা জলমহাল মৎস্যনীতিমালার শর্ত লঙ্ঘন করে বিভিন্ন ব্যক্তির নামে সাবলিজ প্রদান করার অভিযোগ উঠেছে। গত রোববার শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর এমন অভিযোগ দিয়ে নিয়মনীতি না মানায় এই ইজারা বাতিলের আবেদন করেন উপজেলার সদরপুর শাপলা মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লি: সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাকেশ বিশ্বাস৷
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সদরপুর মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি চন্দন বিশ্বাস ও সাধারণ সম্পাদক গোপেশ বিশ্বাস এবং এই সমিতির দুইজন সদস্য শুশান্তি বিশ্বাস ও আনন্দ বিশ্বাস দীর্ঘদিন যাবৎ সদরপুর থেকে গিয়ে অন্য জায়গায় বসবাস করছেন। বিশখা রানী দাস নামের আরেকজন মৃত্যুবরণ করেছেন৷ একজন সদস্য বেসরকারি স্কুলের শিক্ষিকা। সদরপুর মৎস্যজীবী সমিতিতে দুইটি পরিবারের লোকজনের মধ্যেই সমিতির সদস্য সংখ্যা সীমিত। বর্তমানেও তাদের সমিতির নামে সদরপুরের খাল ও গুড়াডুবা জলমহাল ইজারা রয়েছে৷ মৎস্যনীতিমালা অনুযায়ী জলমহাল সাবলিব না দেয়ার নিয়ম থাকলে তারা কোন প্রকার নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে সাবলিজ দিচ্ছেন৷ এতে মৎস্যনীতিমালা লঙ্ঘন করা হয়েছে। এই পরিবার ছাড়াও সদরপুর গ্রামে শাপলা সমিতি নামে আরেকটি সমিতি আছে যারা জন্মসূত্রেই মৎস্যজীবী৷ তাই নিয়ম নীতি না মানায় এবং ওই মৎস্যজীবী সমিতির সদস্যরা এলাকার বাইরে বসবাস করায় তাদের ইজারা বাতিলের জন্য এই আবেদন করা হয়েছে৷
অভিযোগের ব্যাপারে সদরপুর মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি চন্দন বিশ্বাসের মুঠোফোনে কল দিলেও কল রিসিভ না করায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা হোসনে আরা খাতুন বলেন, অভিযোগের অনুলিপি পেয়েছি৷ উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ ব্যাপারে শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুকান্ত সাহা বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।