ঢাকা , বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
Logo জগন্নাথপুরের ওসি মোখলেছুর রহমান আকন্দকে শিবির কর্মী বলে প্রচারণা চালানোয় জগন্নাথপুর উপজেলা জামায়াতের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ। Logo শান্তিগঞ্জের জয়সিদ্ধি-বসিউয়াখাউরী গ্রামে বিএনপির কর্মী সভা Logo জগন্নাথপুরে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত Logo জগন্নাথপুর উপজেলার ৬ নং রাণীগঞ্জ ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর কমিটি গঠন Logo পরিবেশ নষ্ট করে কোন বাঁধ নির্মাণ হবেনা – পরিবেশ উপদেষ্টা Logo হাওরের জন্য সরকারের মাস্টার প্লান আছে- উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান Logo জগন্নাথপুরে কমিউনিটি ক্লিনিক এর মাসিক সভা অনুষ্ঠিত Logo মাটিয়াইন ও টাঙুয়ার হাওর পরিদর্শন….. আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের পথ খুঁজতে হবে -স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Logo নিরাপদ অভিবাসন ও বিদেশ-ফেরতদের পুনরেকত্রীকরণ শীর্ষক ইউনিয়ন কর্মশালা Logo ২০২৫–২৬ সেশনের জন্য ২নং পাটলী ইউনিয়ন জামায়াতের কমিটি ঘোষণা।

ছাতকে শিক্ষক কর্তৃক শিক্ষার্থী নির্যাতিত

পাপলু মিয়া ছাতক(সুনামগঞ্জ)
থেকে

সুনামগঞ্জের ছাতকে একাধিক বিদ্যালয়ের ছাত্রদের নির্যাতনের ভয়াবহ অভিযোগ উঠেছে হাজী কমর আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শাহিন আহমদের বিরুদ্ধে। বিদ্যালয়ের বারান্দা থেকে টেনে হেছড়ে ক্লাস রুমে নিয়ে স্কেল, পেয়ারা গাছের ডাল দিয়ে নির্যাতন করে ক্ষান্ত না হয়ে নিজের পায়ের জুতা দিয়ে শিক্ষার্থীদের শারিরিক নির্যাতন করেন ওই সহকারী শিক্ষক। তার এমন নির্মম নির্যাতনে দুই ছাত্র গুরুতর আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় উপজেলা জুড়ে নিন্দার ঝড় বইছে। মানসিক বিকারগ্রস্থ ওই শিক্ষকের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন ভূক্তভোগি শিক্ষার্থীদের পরিবার।

জানা যায়, উপজেলার কালারুকা ইউনিয়নের হাজী কমর আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শাহিন আহমদ ২০১৫ সালে যোগদান করেন। এখানে যোগদানের পর থেকে বিভিন্ন সময় শিক্ষার্থীদের শাসনের নামে শারিরিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠে তার বিরুদ্ধে। তার অমানবিক নির্মম-নির্যাতন এবং নিপিড়নের শিকার হয়ে ইতো মধ্যে ওই স্কুল থেকে ঝড়ে পড়েছে অনেক শিক্ষার্থী। বিকৃতি মস্তিস্কের ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে কার্যত কোন প্রদক্ষেপ গ্রহণ না করায় দিনদিন নিপিড়নের মাত্রা বেড়েই চলছে। গত বুধবার(১৩নভেম্বর) বেলা ৩টার দিকে বিদ্যালয়ের বারান্দা থেকে ৭ম শ্রেনির ছাত্র মাহিন আহমদ ও রবিউল হাসান শাওনকে টেনে হেচড়ে ক্লাসে নিয়ে স্ট্রীলের স্কেল ও পেয়ারা গাছের ডাল দিয়ে তাদেরকে নির্যাতন করেন ওই শিক্ষক। এক পর্যায়ে নিজের পায়ের জুতা দিয়ে ছাত্র দুইজনকে তিনি পিটিয়ে আহত করেন। নির্যাতনে আহত মাহিন আহমদকে ছাতক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার আহত শিক্ষার্থী মাহিন আহমদের মা, স্থানীয় হাসনাবাদ গ্রামের শাহেদ আলীর স্ত্রী হাছনা বেগম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। ওই অভিযোগের অনুলিপি জেলা ও উপজেলা উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, ছাতক সেনা ক্যাম্প এবং ছাতক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বরাবরেও দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগ উঠেছে, গত ৪দিন আগে ৭ম শ্রেনির ছাত্রী, স্থানীয় কালারুকা গ্রামের উপমা বেগমকেও শারিরিক নির্যাতন করেন ওই বিকৃতি মস্তিস্কের শিক্ষক শাহিন আহমদ। বিষয়টি সরী বলে ধাঁমাচাপা দেওয়া হয়েছে। প্রায় ৩ বছর আগে ৭ম শ্রেনির শাহরিয়ার আহমদ সামি নামের আরেক শিক্ষার্থীকে বেদড়ক পিটিয়েছিলেন ওই শিক্ষক। যে কারণে সে লেখা পড়া ছেড়ে দিয়েছে। নির্যাতনকারী ওই শিক্ষকের নির্যাতনের ভয়ে এলাকার একাধিক শিক্ষার্থীরা ঝড়ে পড়েছে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল হাই মোহাম্মদ কামাল ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, শিক্ষক কর্তৃক এমন ভাবে নির্যাতন করা ঠিক হয়নি। এটি খুবই দুঃখ জনক। এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার পুলিন চন্দ্র রায় বলেন, ওই অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণেন জন্য বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে বলা হয়েছে। অভিযোগ প্রাপ্তির কথা স্বীকার করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

Janasarthe 24

আপনাদের আশে পাশে ঘটে যাওয়া প্রতি মুহুর্তের খবর দিয়ে আমাদের সহযোগীতা করুন। আমরা আমাদের অনলাইনে তা প্রকাশ করে কৃতজ্ঞ হবো। আমাদের প্রতি মুহুর্তের খবর জানতে আমাদের সাথে থাকুন
জনপ্রিয় সংবাদ

জগন্নাথপুরের ওসি মোখলেছুর রহমান আকন্দকে শিবির কর্মী বলে প্রচারণা চালানোয় জগন্নাথপুর উপজেলা জামায়াতের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ।

ছাতকে শিক্ষক কর্তৃক শিক্ষার্থী নির্যাতিত

আপডেট সময় ০৫:৪৩:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪

পাপলু মিয়া ছাতক(সুনামগঞ্জ)
থেকে

সুনামগঞ্জের ছাতকে একাধিক বিদ্যালয়ের ছাত্রদের নির্যাতনের ভয়াবহ অভিযোগ উঠেছে হাজী কমর আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শাহিন আহমদের বিরুদ্ধে। বিদ্যালয়ের বারান্দা থেকে টেনে হেছড়ে ক্লাস রুমে নিয়ে স্কেল, পেয়ারা গাছের ডাল দিয়ে নির্যাতন করে ক্ষান্ত না হয়ে নিজের পায়ের জুতা দিয়ে শিক্ষার্থীদের শারিরিক নির্যাতন করেন ওই সহকারী শিক্ষক। তার এমন নির্মম নির্যাতনে দুই ছাত্র গুরুতর আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় উপজেলা জুড়ে নিন্দার ঝড় বইছে। মানসিক বিকারগ্রস্থ ওই শিক্ষকের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন ভূক্তভোগি শিক্ষার্থীদের পরিবার।

জানা যায়, উপজেলার কালারুকা ইউনিয়নের হাজী কমর আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শাহিন আহমদ ২০১৫ সালে যোগদান করেন। এখানে যোগদানের পর থেকে বিভিন্ন সময় শিক্ষার্থীদের শাসনের নামে শারিরিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠে তার বিরুদ্ধে। তার অমানবিক নির্মম-নির্যাতন এবং নিপিড়নের শিকার হয়ে ইতো মধ্যে ওই স্কুল থেকে ঝড়ে পড়েছে অনেক শিক্ষার্থী। বিকৃতি মস্তিস্কের ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে কার্যত কোন প্রদক্ষেপ গ্রহণ না করায় দিনদিন নিপিড়নের মাত্রা বেড়েই চলছে। গত বুধবার(১৩নভেম্বর) বেলা ৩টার দিকে বিদ্যালয়ের বারান্দা থেকে ৭ম শ্রেনির ছাত্র মাহিন আহমদ ও রবিউল হাসান শাওনকে টেনে হেচড়ে ক্লাসে নিয়ে স্ট্রীলের স্কেল ও পেয়ারা গাছের ডাল দিয়ে তাদেরকে নির্যাতন করেন ওই শিক্ষক। এক পর্যায়ে নিজের পায়ের জুতা দিয়ে ছাত্র দুইজনকে তিনি পিটিয়ে আহত করেন। নির্যাতনে আহত মাহিন আহমদকে ছাতক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার আহত শিক্ষার্থী মাহিন আহমদের মা, স্থানীয় হাসনাবাদ গ্রামের শাহেদ আলীর স্ত্রী হাছনা বেগম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। ওই অভিযোগের অনুলিপি জেলা ও উপজেলা উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, ছাতক সেনা ক্যাম্প এবং ছাতক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বরাবরেও দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগ উঠেছে, গত ৪দিন আগে ৭ম শ্রেনির ছাত্রী, স্থানীয় কালারুকা গ্রামের উপমা বেগমকেও শারিরিক নির্যাতন করেন ওই বিকৃতি মস্তিস্কের শিক্ষক শাহিন আহমদ। বিষয়টি সরী বলে ধাঁমাচাপা দেওয়া হয়েছে। প্রায় ৩ বছর আগে ৭ম শ্রেনির শাহরিয়ার আহমদ সামি নামের আরেক শিক্ষার্থীকে বেদড়ক পিটিয়েছিলেন ওই শিক্ষক। যে কারণে সে লেখা পড়া ছেড়ে দিয়েছে। নির্যাতনকারী ওই শিক্ষকের নির্যাতনের ভয়ে এলাকার একাধিক শিক্ষার্থীরা ঝড়ে পড়েছে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল হাই মোহাম্মদ কামাল ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, শিক্ষক কর্তৃক এমন ভাবে নির্যাতন করা ঠিক হয়নি। এটি খুবই দুঃখ জনক। এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার পুলিন চন্দ্র রায় বলেন, ওই অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণেন জন্য বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে বলা হয়েছে। অভিযোগ প্রাপ্তির কথা স্বীকার করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।