স্টাফ রিপোর্টারঃ(সুনামগঞ্জ)
শান্তিগঞ্জ উপজেলার গনিগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তদবির আলমের অপসারনকে কেন্দ্র করে দু-পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষের ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন গনিগঞ্জ গ্রামের শামীম আহমদ (৩৬),জাহাঙ্গীর আলম (৪৫), একরাম মিয়া (৪৫),আব্দুল ওয়াকিব (৫৫),মিজানুর রহমান (৩৫),মুজাহিদ (৫০),কামাল মিয়া (৪০),আবুল মিয়া(৪৫),জহিরুল (৩৫),ফারুক মিয়া (৫০), রফিক মিয়া (৪৮),চান
মিয়া(৪৫),জাকারিয়া(৩২),ময়না মিয়া(৪৫),নবী হোসেন(৪০)। গুরুতর আহত অবস্থায় ফারুক মিয়া ও জাকারিয়াকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং অন্যান্য আহতদেরকে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যান্য আহতদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে তাদের নাম জানা যায়নি।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবৎ গনিনগর ষোলগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তদবির আলমের বিভিন্ন দূর্ণীতির বিষয় নিয়ে গনিনগর ষোলগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানিজিং কমিটির সাবেক সভাপতি আব্দুর রউফ গ্রুপ এবং পাথারিয়া ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড সদস্য আব্দুল আউয়াল মেম্বারের গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। এরই জের ধরে রবিবার (১৭ নভেম্বর) সকালে দুপক্ষের সংঘর্ষে এই হতাহতের ঘটনাটি ঘটে।
এ ব্যাপারে গনিগঞ্জ গ্রামের আব্দুর রউফের ছেলে শামীম আহমদ জানান, গনিনগর ষোলগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তদবির আলমের অনিয়ম ও দূর্নীতি প্রমানিত হওয়ার পরও প্রতিপক্ষের লোকেরা ঐ শিক্ষককে বিদ্যালয়ে আনার পায়তারায় লিপ্ত থাকায় আমরা এর প্রতিবাদ করেছিলাম। কেন প্রতিবাদ কররলাম এই কারণে প্রতিপক্ষের লোকেরা দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়া আমাদের উপর অতর্কিতভাবে বাজারে এসে হামলা চালিয়ে আমি সহ আমাদের পক্ষের লোকদেরকে গুরুতর আহত করে।
এ ব্যাপারে আব্দুল আউয়াল মেম্বারের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়ায় তাহার পক্ষের আব্দুল মালিকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, শিশুদের কথাকাটাকাটিকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের অতর্কিত হামলায় তাদের পক্ষের বেশ কয়েকজন লোক গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এ ব্যাপারে অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তদবির আলমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান,কি নিয়ে সঘর্ষ তিনি তা জানেন না।
শান্তিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ এর দায়িত্বে থাকা সেকেন্ড অফিসার এস আই আব্দুর রহমান জানান,খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে । এ ব্যাপারে কোন পক্ষই লিখিত অভিযোগ দেননি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।