ঢাকা , রবিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৫, ৩০ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
Logo ট্রাইবেকারে গাজীনগর কিংস স্পোর্টিং ক্লাবকে ৩-২ গোলে হারিয়ে ঠাকুরভোগ স্পোর্টিং ক্লাব সেমিফাইনালে Logo ছাতকের গোবিন্দগঞ্জ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক হুমায়ন কবির ও প্রয়াত শিক্ষকদের স্মরণে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল। Logo ছাতকে খেয়াঘাটে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়, ছদ্মবেশে ইউএনও Logo ভরারগাও গ্লাক্সি স্পোর্টিং ক্লাবকে ২-০ গোলে হারিয়ে পাথারিয়া সুপার স্টার সেমিফাইনালে Logo শান্তিগঞ্জে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে মুদি দোকানসহ ১০ বসতঘর পুড়ে ছাই Logo সুনামগঞ্জের দিরাই-মদনপুর পয়েন্টের সমাবেশে ইসরাইলি পণ্য বয়কটের ডাক Logo সারা দেশের ন্যায় দোয়ারাবাজারে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়েছে Logo দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আগের চেয়ে ভালো আছে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা  Logo মধ্যনগরে সুপেয় পানির তীব্র সংকটে দুই গ্রামের শতাধিক পরিবার Logo শান্তিগঞ্জে কবরস্থানে নির্মিত স্থাপনা সম্পূর্ণরুপে উচ্ছেদ ও উক্ত স্থানে ঈদগাহ নির্মাণের দাবিতে মানব বন্ধন

ছাতকে খেয়াঘাটে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়, ছদ্মবেশে ইউএনও

  • পাপলু মিয়া
  • আপডেট সময় ০৮:২৩:১২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৫
  • ৫০৮ বার পড়া হয়েছে

ছাতক সংবাদদাতা:
সুনামগঞ্জের ছাতক পাবলিক খেয়াঘাটে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের কারণে ইজারাদারের লোককে পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। । গত শনিবার (১২এপ্রিল) বিকালে ছদ্মবেশে খেয়াঘাটে অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তরিকুল ইসলাম। নির্ধারিত পাঁচ টাকার পরিবর্তে যাত্রীদের কাছ থেকে জোরপূর্বক ১০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। এতে সাধারণ মানুষ প্রতিদিনই অতিরিক্ত টাকা দিতে বাধ্য হচ্ছেন। স্থানীয়রা বিষয়টিকে ‘নীরব চাঁদাবাজি’ বলে অভিহিত করছেন।
জানাযায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খেয়াঘাটে ছদ্মবেশে অভিযান চালিয়ে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৪০ ধারায় খেয়াঘাটের অর্থ আদায়কারী পৌর শহরের নোয়ারাই গ্রামের সাবাজ আলীর ছেলে শাহেদ মিয়া (৪২) কে পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করেন এবং খেয়াঘাটে নির্ধারিত ভাড়ার তালিকা টানানোর নির্দেশ দেন।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, দিনে ১০ টাকা নিলেও রাতে তা বেড়ে দ্বিগুণ কিংবা তিনগুণ পর্যন্ত নেওয়া হয়। তবে সাধারণ মানুষ মান-সম্মানের ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করছেন না। প্রতিদিন প্রায় সহস্র যাত্রী এই পথে পারাপার হন। অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের ফলে দিনে প্রায় পাচ হাজার, মাসে দেড় লক্ষ এবং বছরে প্রায় ১৮ লাখ টাকা অতিরিক্ত আদায় করা হচ্ছে।
অতিরিক্ত ভাড়ার বিষয় ইজারাদার সজিব চৌধুরী বলেন, খেয়াঘাট পারাপারে ৩টি নৌকা চলাচল করে। জেলা পরিষদ নির্ধারিত ৫টাকা করে ভারা আদায় করা হচ্ছে। খেয়া পারাপারে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হয় না। অতিরিক্ত ভাড়ার ব্যপারে আমাদের জানা ছিলও না।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তরিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন এবং বলেন জনস্বার্থে এধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

Janasarthe 24

আপনাদের আশে পাশে ঘটে যাওয়া প্রতি মুহুর্তের খবর দিয়ে আমাদের সহযোগীতা করুন। আমরা আমাদের অনলাইনে তা প্রকাশ করে কৃতজ্ঞ হবো। আমাদের প্রতি মুহুর্তের খবর জানতে আমাদের সাথে থাকুন
জনপ্রিয় সংবাদ

ট্রাইবেকারে গাজীনগর কিংস স্পোর্টিং ক্লাবকে ৩-২ গোলে হারিয়ে ঠাকুরভোগ স্পোর্টিং ক্লাব সেমিফাইনালে

ছাতকে খেয়াঘাটে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়, ছদ্মবেশে ইউএনও

আপডেট সময় ০৮:২৩:১২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৫

ছাতক সংবাদদাতা:
সুনামগঞ্জের ছাতক পাবলিক খেয়াঘাটে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের কারণে ইজারাদারের লোককে পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। । গত শনিবার (১২এপ্রিল) বিকালে ছদ্মবেশে খেয়াঘাটে অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তরিকুল ইসলাম। নির্ধারিত পাঁচ টাকার পরিবর্তে যাত্রীদের কাছ থেকে জোরপূর্বক ১০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। এতে সাধারণ মানুষ প্রতিদিনই অতিরিক্ত টাকা দিতে বাধ্য হচ্ছেন। স্থানীয়রা বিষয়টিকে ‘নীরব চাঁদাবাজি’ বলে অভিহিত করছেন।
জানাযায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খেয়াঘাটে ছদ্মবেশে অভিযান চালিয়ে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৪০ ধারায় খেয়াঘাটের অর্থ আদায়কারী পৌর শহরের নোয়ারাই গ্রামের সাবাজ আলীর ছেলে শাহেদ মিয়া (৪২) কে পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করেন এবং খেয়াঘাটে নির্ধারিত ভাড়ার তালিকা টানানোর নির্দেশ দেন।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, দিনে ১০ টাকা নিলেও রাতে তা বেড়ে দ্বিগুণ কিংবা তিনগুণ পর্যন্ত নেওয়া হয়। তবে সাধারণ মানুষ মান-সম্মানের ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করছেন না। প্রতিদিন প্রায় সহস্র যাত্রী এই পথে পারাপার হন। অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের ফলে দিনে প্রায় পাচ হাজার, মাসে দেড় লক্ষ এবং বছরে প্রায় ১৮ লাখ টাকা অতিরিক্ত আদায় করা হচ্ছে।
অতিরিক্ত ভাড়ার বিষয় ইজারাদার সজিব চৌধুরী বলেন, খেয়াঘাট পারাপারে ৩টি নৌকা চলাচল করে। জেলা পরিষদ নির্ধারিত ৫টাকা করে ভারা আদায় করা হচ্ছে। খেয়া পারাপারে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হয় না। অতিরিক্ত ভাড়ার ব্যপারে আমাদের জানা ছিলও না।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তরিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন এবং বলেন জনস্বার্থে এধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে।