জগন্নাথপুর(সুনামগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ
জগন্নাথপুরে জামায়াত ও জমিয়ত নেতা কর্তৃক চাঁদাবাজি, হুমকি ও মামলার প্রতিবাদে এবং জানমালের নিরাপত্তার লক্ষে ব্যবসায়ী শ্যামল কান্তি গোপ সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন।
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার চিলাউড়া গ্রাম নিবাসী ওয়াজিদ উল্লার ছেলে উপজেলার চিলাউড়া- হলদিপুর ইউনিয়ন শাখা বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর যুগ্ম সাধারন সম্পাদক এই সংগঠন থেকে সদ্য বহিস্কৃত রেজাউল করিম রিপন ও জগন্নাথপুর পৌর শহরের বলবল গ্রাম নিবাসী মৃত আব্দুল হেকিম এর ছেলে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম( মুফতি ওয়াক্কা) জগন্নাথপুর পৌর শাখার সদস্য সচিব লিটন মিয়া কর্তৃক চাঁদাবাজি, মামলা ও হুমকির প্রতিবাদে জগন্নাথপুর পৌর এলাকার যাত্রাপাশা গ্রাম নিবাসী মৃত শ্যামা কান্ত গোপ এর ছেলে জগন্নাথপুর সদর বাজারের টিএন্ডটি রোডস্থ আসল ঝলক ফ্যাশন এর মালিক শ্যামল কান্তি গোপ ১৪ই জুন রোজ শনিবার বিকালে জগন্নাথপুর উপজেলা সদর বাজারে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন।
সাংবাদিক সম্মেলনে ব্যবসায়ী শ্যামল কান্তি গোপ লিখিত বক্তব্য পাঠে বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে জগন্নাথপুর বাজারে সুনামের সহিত ব্যবসা পরিচালনা করে আসছি। আমি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোক হওয়ায় জামায়াত নেতা রেজাউল করিম রিপন ও জমিয়ত নেতা লিটন মিয়া আমাকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি -দামকি প্রদান দিয়ে টাকা দাবী করে। এই মোতাবেক আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে লিটন মিয়াকে ১০ হাজার টাকা দেই। ফের বিগত ৩ জুন বিকালে লিটন মিয়া আমাকে ফোন দিয়ে বলে জগন্নাথপুর বাজারস্থ মাহিমা রেষ্টুরেন্টে যাওয়ার জন্য বললে আমি সেখানে যাই লিটন মিয়া আমাকে নিয়ে এই রেস্টুরেন্টের ভিতরে যান এবং রেজাউল করিম রিপন বাহিরে অবস্থান করেন। তখন লিটন মিয়া আমার নিকট ১লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। অন্যথায় আমাকে নানা ভাবে হয়রানি ও ক্ষতিগ্রস্ত করার হুমকি প্রদান করেন। আমি কৌশলে সেখান হতে বের হয়ে চলে আসি। আমি এ ব্যাপারে বিগত ১৩ই জুন জগন্নাথপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।আমি বিষয়টি জগন্নাথপুর বাজার তদারকি কমিটির সাধারন সম্পাদক মশাহিদ আলীকে অবহিত আছেন। অভিযোগ দায়ের পর থেকে কথিত রেজাউল করিম রিপন ও লিটন মিয়া সহ তাদের লোকজন আমাকে ও আমার পরিবার এর সদস্যদের নানা ভাবে হুমকি প্রদান করে আসছে। এমনকি বিভিন্ন মাধ্যমে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর ও ক্ষতি সাধন করার হুমকি প্রদান করার পাশা-পাশি জগন্নাথপুর থানায় আমি সহ তিন জনের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেছে লিটন মিয়া। যার ফলশ্রুতিতে আমি সহ আমার পরিবার নিরাপত্তা হীনতায় ভূগছি। বিধায় জানমালের নিরাপত্তা সহ নির্বিঘ্নে আমার ব্যবসা পরিচালনা করার জন্য প্রশাসন সহ সর্বসাধারণের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছি।
এতে আরও বক্তব্য রাখেন, জগন্নাথপুর বাজার তদারকি কমিটির সাধারণ সম্পাদক মশাহিদ আলী, জগন্নাথপুর বাজারের সাবেক ব্যবসায়ী জগন্নাথপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি তাজউদ্দীন আহমদ, রাজনীতিবিদ ফারুক আহমেদ ও শফিকুল ইসলাম খেজর প্রমূখ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, জগন্নাথপুর বাজার এর ব্যবসায়ী ও বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ সহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিকস মিডিয়ার সাংবাদিক বৃন্দ।