ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৫, ১২ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
Logo শান্তিগঞ্জে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধিতে পোনামাছ অবমুক্ত Logo শান্তিগঞ্জে ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমে গতিশীলতা আনয়নে প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত Logo বিয়ের কনে দেখতে গিয়ে নৌকা ডুবে ২জনের মৃত্যু Logo শান্তিগঞ্জে জামায়াতের প্রতিনিধি সম্মেলন ও দাঁড়িপাল্লার প্রচার মিছিল অনুষ্ঠিত Logo সুনামগঞ্জ ৩ আসনের সর্বস্তরের জনগণের ভালবাসায় সিক্ত হাম্মাদ গাজিনগরী Logo দিরাই সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের কমিটি গঠন সভাপতি: বিশ্বজিৎ চৌধুরী সম্পাদক: শাহজাহান সিরাজ Logo ফুলেল শুভেচ্ছায় জমিয়ত প্রার্থী হাম্মাদ আহমদের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন Logo স্বীকৃত শিক্ষকতায় রাহমান তৈয়বের পথ চলা Logo শান্তিগঞ্জে ২ কেজি গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক Logo স্বপ্নের বিনোদনই আজ বিষক্রিয়ায় পরিণত শান্তিগঞ্জে উভয় পক্ষের সংঘর্ষে আহত ২৬

শান্তিগঞ্জে লটারী বিতর্কে সত্যের পক্ষে দাঁড়ালেন গ্রামের মানুষ

  • মান্নার মিয়া
  • আপডেট সময় ০৯:২৮:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫
  • ৫১১ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার:

শান্তিগঞ্জ উপজেলার শিমুলবাঁক ইউনিয়নের কান্দাগাঁও পয়েন্টে খাদ্যবান্ধব লটারী বিতর্কে ফয়জুল হক-এর বিরুদ্ধে দায়েরকৃত অভিযোগকে স্থানীয়রা মিথ্যা ও রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রমূলক বলে তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। অভিযোগটি করেছেন মোজাহিদ আলী (পিতা: মৃত উস্তার আলী, ধনপুর, শান্তিগঞ্জ)।
রবিবার,(১৭ আগস্ট) দুপুর ১২ ঘটিকায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিয়োগকৃত তদন্ত কর্মকর্তা একাডেমিক সুপারভাইজার নূরে আলম সিদ্দিকী-এর উপস্থিতিতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ফয়জুল হক বলেন, “আমি যথাযথ কাগজপত্রের মাধ্যমে আবেদন করেই লটারীপ্রাপ্ত হয়েছি। আমার বিরুদ্ধে ২০১৯ সালে দায়েরকৃত মামলা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসার ফল। ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষের এজেন্ট থাকার কারণে আমাকে মিথ্যা মাদক মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। আমি এলাকার মানুষের আস্থা অর্জন করেছি; মসজিদের মোতওয়াল্লী, স্কুল কমিটি ও কবরস্থানের ক্যাশিয়ার পদে দায়িত্ব পালন করেছি।”
এ সময় স্থানীয়রা, যেমন ১ নং ওয়ার্ড সদস্য আব্দুল মোছব্বির এবং ধনপুর গ্রামের আব্দুল সালাম, আজুল মিয়া, আব্দুল আলী ও দুলাল মিয়া, অভিযোগকে “সম্পূর্ণ বানোয়াট ও ষড়যন্ত্রমূলক” বলে উল্লেখ করেছেন। তারা বলেন, “ফয়জুল হক গ্রামের একজন আদর্শ মানুষ। মামলা এখনও আদালতে চললেও তিনি কোনো সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী নন। তাহলে ডিলার নিয়োগে সমস্যা কোথায়?”
অভিযোগকারী মোজাহিদ আলী জানান, “মাদক মামলা চলাকালীন ডিলার নিয়োগ করা সরকারি নীতিমালা পরিপন্থী, তাই আমি অভিযোগ করেছি।”
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুকান্ত সাহা কর্তৃক নিয়োগকৃত তদন্ত কর্মকর্তা নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, বিষয়টি বর্তমানে তদন্তাধীন এবং তদন্তের ফলাফলের ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শান্তিগঞ্জের সাধারণ মানুষ বলছেন, “রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র ও মিথ্যা অভিযোগের মধ্যেও ফয়জুল হক এলাকার মানুষের আস্থা ও সমর্থনে দাঁড়িয়ে আছেন।”

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

Janasarthe 24

আপনাদের আশে পাশে ঘটে যাওয়া প্রতি মুহুর্তের খবর দিয়ে আমাদের সহযোগীতা করুন। আমরা আমাদের অনলাইনে তা প্রকাশ করে কৃতজ্ঞ হবো। আমাদের প্রতি মুহুর্তের খবর জানতে আমাদের সাথে থাকুন
জনপ্রিয় সংবাদ

শান্তিগঞ্জে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধিতে পোনামাছ অবমুক্ত

শান্তিগঞ্জে লটারী বিতর্কে সত্যের পক্ষে দাঁড়ালেন গ্রামের মানুষ

আপডেট সময় ০৯:২৮:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫

স্টাফ রিপোর্টার:

শান্তিগঞ্জ উপজেলার শিমুলবাঁক ইউনিয়নের কান্দাগাঁও পয়েন্টে খাদ্যবান্ধব লটারী বিতর্কে ফয়জুল হক-এর বিরুদ্ধে দায়েরকৃত অভিযোগকে স্থানীয়রা মিথ্যা ও রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রমূলক বলে তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। অভিযোগটি করেছেন মোজাহিদ আলী (পিতা: মৃত উস্তার আলী, ধনপুর, শান্তিগঞ্জ)।
রবিবার,(১৭ আগস্ট) দুপুর ১২ ঘটিকায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিয়োগকৃত তদন্ত কর্মকর্তা একাডেমিক সুপারভাইজার নূরে আলম সিদ্দিকী-এর উপস্থিতিতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ফয়জুল হক বলেন, “আমি যথাযথ কাগজপত্রের মাধ্যমে আবেদন করেই লটারীপ্রাপ্ত হয়েছি। আমার বিরুদ্ধে ২০১৯ সালে দায়েরকৃত মামলা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসার ফল। ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষের এজেন্ট থাকার কারণে আমাকে মিথ্যা মাদক মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। আমি এলাকার মানুষের আস্থা অর্জন করেছি; মসজিদের মোতওয়াল্লী, স্কুল কমিটি ও কবরস্থানের ক্যাশিয়ার পদে দায়িত্ব পালন করেছি।”
এ সময় স্থানীয়রা, যেমন ১ নং ওয়ার্ড সদস্য আব্দুল মোছব্বির এবং ধনপুর গ্রামের আব্দুল সালাম, আজুল মিয়া, আব্দুল আলী ও দুলাল মিয়া, অভিযোগকে “সম্পূর্ণ বানোয়াট ও ষড়যন্ত্রমূলক” বলে উল্লেখ করেছেন। তারা বলেন, “ফয়জুল হক গ্রামের একজন আদর্শ মানুষ। মামলা এখনও আদালতে চললেও তিনি কোনো সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী নন। তাহলে ডিলার নিয়োগে সমস্যা কোথায়?”
অভিযোগকারী মোজাহিদ আলী জানান, “মাদক মামলা চলাকালীন ডিলার নিয়োগ করা সরকারি নীতিমালা পরিপন্থী, তাই আমি অভিযোগ করেছি।”
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুকান্ত সাহা কর্তৃক নিয়োগকৃত তদন্ত কর্মকর্তা নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, বিষয়টি বর্তমানে তদন্তাধীন এবং তদন্তের ফলাফলের ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শান্তিগঞ্জের সাধারণ মানুষ বলছেন, “রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র ও মিথ্যা অভিযোগের মধ্যেও ফয়জুল হক এলাকার মানুষের আস্থা ও সমর্থনে দাঁড়িয়ে আছেন।”