ঢাকা , সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
Logo ল্যাব সংস্কারের টাকা আত্মসা শাল্লায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে তুলে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোব! Logo শান্তিগঞ্জে জামায়াতের উদ্যোগে সিরাত মাহফিল ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান Logo অনৈতিক প্রস্তাবে রাজি নয়, বিধবা কার্ড বাতিলের অভিযোগ Logo বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় সীমান্তিকের উদ্যাগে বিশ্ব গর্ভনিরোধ দিবস উদযাপন Logo সিলেটে পাথরবাহী ট্রাকের নিচে চাপা পড়ে ঔষধ কোম্পানীর এরিয়া ম্যানেজার নিহত Logo পাথারিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃআলী নেওয়াজের ইন্তেকাল Logo শান্তিগঞ্জে শিক্ষার মানোন্নয়নে একত্রে তিনটি বিদ্যালয়ের অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত Logo সাংবাদিক রুহুল আমিন গাজী আর নেই Logo দুর্যোগ ব্যবস্থা কমিটির সভা Logo ছিনতাই করে পালোনোর সময় সিএনজি সহ চার ছিনতাইকারী জনতার হাতে আটক

‘অন্তহীন’ যুদ্ধে পুতিন

কয়েক দফা শান্তি আলোচনা ব্যর্থ হওয়ার পর নতুন করে টেবিলে বসার সুস্পষ্ট বার্তা দেননি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কিও। তার পশ্চিমা মিত্ররাও এ পর্যায়ে এসে যুদ্ধের আগুন নেভানোর ইচ্ছা দেখাচ্ছেন না। ১২ মাস। লাখো প্রাণের বিনাশ। কোটির বেশি মানুষ ঘরহারা। কাটেনি তবু শান্তির খরা। রণাঙ্গনের এক প্রান্তে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। আরেক প্রান্তে পশ্চিমা তিন (ইউক্রেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো) পক্ষ। বাইশের ২৪ ফেব্রুয়ারি শুরু। তেইশের ২৪ ফেব্রুয়ারিতেও হয়নি সারা। এ নিয়ে হাহাকার, হতাশা আর দুশ্চিন্তা বাড়ছে দিন দিন। যুদ্ধ দৃশ্যত অন্তহীন। এক বছর আগের এই দিনে ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরুর ঘোষণা দিয়েছিলেন পুতিন। তার আগে কয়েক সপ্তাহ ধরে তার সঙ্গে আলোচনার টেবিলে পশ্চিমা দেশগুলোর নেতারা পার করেছেন ব্যস্ত দিন। প্রতিবেশী ইউক্রেনের সীমান্তে দেড় থেকে দুই লাখ সেনা সমাবেশ করা পুতিনকে থামাতে নিষেধাজ্ঞাও দিয়ে গেছে পশ্চিমারা। কাজের কাজ হয়নি তাতে। যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোতে যুক্ত হতে চেয়েছিল ইউক্রেন। পুতিন চেয়েছিলেন ন্যাটোর পূর্বমুখী সম্প্রসারণ আর ইউক্রেনের সদস্যপদ প্রাপ্তি ঠেকাতে। এ নিয়ে চরম উত্তেজনার মধ্যে পুরোদমে যুদ্ধ শুরু করেন রুশ প্রেসিডেন্ট। সে সময় ইউক্রেনে বিচ্ছিন্নতাবাদী তৎপরতা থাকা দুটি অঞ্চলকে স্বাধীন ঘোষণা করেন রুশ প্রেসিডেন্ট। তিনি সেখানে ‘শান্তিরক্ষী’ মোতায়েনের নির্দেশ দেন, যাকে হামলার শুরু হিসেবে আখ্যা দেয় পশ্চিমারা। প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বেশ কিছু দেশ এবং তাদের এশীয় মিত্র জাপান নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে রাশিয়ার নানা প্রতিষ্ঠান ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের ওপর। এর পর থেকে যুদ্ধ চলতে থাকে সমরের নিয়মে। রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আর ইউক্রেনে পশ্চিমা অস্ত্র আসতে থাকে পর্যায়ক্রমে। এই এক বছরে যুদ্ধ থামানোর স্পষ্ট কোনো ইঙ্গিত দেননি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। কয়েক দফা শান্তি আলোচনা ব্যর্থ হওয়ার পর নতুন করে টেবিলে বসার সুস্পষ্ট বার্তা দেননি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কিও। তার পশ্চিমা মিত্ররাও এ পর্যায়ে এসে যুদ্ধের আগুন নেভানোর ইচ্ছা দেখাচ্ছেন না। যুদ্ধের বার্ষিকীর আগে পোল্যান্ড থেকে ট্রেনে চড়ে কিয়েভে গিয়ে জেলেনস্কির পিঠ চাপড়েছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। রাশিয়ায় উড়ে গিয়ে পুতিনের সঙ্গে দেখা করে দোস্তি দেখিয়েছেন চীনের শীর্ষ কূটনীতিক ওয়াং ই। দুই পক্ষের অনড় এ অবস্থানে ভুগছে সাধারণ মানুষ। দ্রব্যমূল্য বেড়েছে রাশিয়ায়। নিষেধাজ্ঞায় শ্লথ হয়ে গেছে অর্থনীতির চাকা। ক্রমবর্ধমান অনিশ্চয়তায় দেশটির অবস্থাসম্পন্ন অনেকে ছুটেছেন থাইল্যান্ডের দিকে। প্রাণ নিয়ে পালিয়ে নিজ দেশে বা প্রতিবেশী রাষ্ট্রে অপেক্ষাকৃত নিরাপদ আশ্রয় খুঁজেছে ১ কোটি ৩০ লাখের বেশি ইউক্রেনীয়। যুক্তরাষ্ট্র আর মিত্রদের দেয়া ঋণের বোঝায় ভারী হচ্ছে জেলেনস্কির কাঁধ। যুদ্ধকে তবু আটকানো যাচ্ছে না দিয়ে কোনো বাঁধ।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

Janasarthe 24

আপনাদের আশে পাশে ঘটে যাওয়া প্রতি মুহুর্তের খবর দিয়ে আমাদের সহযোগীতা করুন। আমরা আমাদের অনলাইনে তা প্রকাশ করে কৃতজ্ঞ হবো। আমাদের প্রতি মুহুর্তের খবর জানতে আমাদের সাথে থাকুন
জনপ্রিয় সংবাদ

ল্যাব সংস্কারের টাকা আত্মসা শাল্লায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে তুলে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোব!

‘অন্তহীন’ যুদ্ধে পুতিন

আপডেট সময় ১২:২২:০৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

কয়েক দফা শান্তি আলোচনা ব্যর্থ হওয়ার পর নতুন করে টেবিলে বসার সুস্পষ্ট বার্তা দেননি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কিও। তার পশ্চিমা মিত্ররাও এ পর্যায়ে এসে যুদ্ধের আগুন নেভানোর ইচ্ছা দেখাচ্ছেন না। ১২ মাস। লাখো প্রাণের বিনাশ। কোটির বেশি মানুষ ঘরহারা। কাটেনি তবু শান্তির খরা। রণাঙ্গনের এক প্রান্তে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। আরেক প্রান্তে পশ্চিমা তিন (ইউক্রেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো) পক্ষ। বাইশের ২৪ ফেব্রুয়ারি শুরু। তেইশের ২৪ ফেব্রুয়ারিতেও হয়নি সারা। এ নিয়ে হাহাকার, হতাশা আর দুশ্চিন্তা বাড়ছে দিন দিন। যুদ্ধ দৃশ্যত অন্তহীন। এক বছর আগের এই দিনে ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরুর ঘোষণা দিয়েছিলেন পুতিন। তার আগে কয়েক সপ্তাহ ধরে তার সঙ্গে আলোচনার টেবিলে পশ্চিমা দেশগুলোর নেতারা পার করেছেন ব্যস্ত দিন। প্রতিবেশী ইউক্রেনের সীমান্তে দেড় থেকে দুই লাখ সেনা সমাবেশ করা পুতিনকে থামাতে নিষেধাজ্ঞাও দিয়ে গেছে পশ্চিমারা। কাজের কাজ হয়নি তাতে। যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোতে যুক্ত হতে চেয়েছিল ইউক্রেন। পুতিন চেয়েছিলেন ন্যাটোর পূর্বমুখী সম্প্রসারণ আর ইউক্রেনের সদস্যপদ প্রাপ্তি ঠেকাতে। এ নিয়ে চরম উত্তেজনার মধ্যে পুরোদমে যুদ্ধ শুরু করেন রুশ প্রেসিডেন্ট। সে সময় ইউক্রেনে বিচ্ছিন্নতাবাদী তৎপরতা থাকা দুটি অঞ্চলকে স্বাধীন ঘোষণা করেন রুশ প্রেসিডেন্ট। তিনি সেখানে ‘শান্তিরক্ষী’ মোতায়েনের নির্দেশ দেন, যাকে হামলার শুরু হিসেবে আখ্যা দেয় পশ্চিমারা। প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বেশ কিছু দেশ এবং তাদের এশীয় মিত্র জাপান নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে রাশিয়ার নানা প্রতিষ্ঠান ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের ওপর। এর পর থেকে যুদ্ধ চলতে থাকে সমরের নিয়মে। রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আর ইউক্রেনে পশ্চিমা অস্ত্র আসতে থাকে পর্যায়ক্রমে। এই এক বছরে যুদ্ধ থামানোর স্পষ্ট কোনো ইঙ্গিত দেননি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। কয়েক দফা শান্তি আলোচনা ব্যর্থ হওয়ার পর নতুন করে টেবিলে বসার সুস্পষ্ট বার্তা দেননি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কিও। তার পশ্চিমা মিত্ররাও এ পর্যায়ে এসে যুদ্ধের আগুন নেভানোর ইচ্ছা দেখাচ্ছেন না। যুদ্ধের বার্ষিকীর আগে পোল্যান্ড থেকে ট্রেনে চড়ে কিয়েভে গিয়ে জেলেনস্কির পিঠ চাপড়েছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। রাশিয়ায় উড়ে গিয়ে পুতিনের সঙ্গে দেখা করে দোস্তি দেখিয়েছেন চীনের শীর্ষ কূটনীতিক ওয়াং ই। দুই পক্ষের অনড় এ অবস্থানে ভুগছে সাধারণ মানুষ। দ্রব্যমূল্য বেড়েছে রাশিয়ায়। নিষেধাজ্ঞায় শ্লথ হয়ে গেছে অর্থনীতির চাকা। ক্রমবর্ধমান অনিশ্চয়তায় দেশটির অবস্থাসম্পন্ন অনেকে ছুটেছেন থাইল্যান্ডের দিকে। প্রাণ নিয়ে পালিয়ে নিজ দেশে বা প্রতিবেশী রাষ্ট্রে অপেক্ষাকৃত নিরাপদ আশ্রয় খুঁজেছে ১ কোটি ৩০ লাখের বেশি ইউক্রেনীয়। যুক্তরাষ্ট্র আর মিত্রদের দেয়া ঋণের বোঝায় ভারী হচ্ছে জেলেনস্কির কাঁধ। যুদ্ধকে তবু আটকানো যাচ্ছে না দিয়ে কোনো বাঁধ।