ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ১৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
Logo শাল্লায় একাডেমিক ভবন প্রধান শিক্ষক ও তার ভাইয়ের দখলে Logo দিরাই বালিকা বিদ্যালয়ের মিলাদ মাহফিল Logo দিরাইয়ে অহিংস দিবস পালিত Logo আন্তর্জাতিক অহিংস দিবস উপলক্ষে শান্তিগঞ্জে পিএফজি’র মানববন্ধন  Logo শান্তিগঞ্জে কৃষি প্রযুক্তি মেলার উদ্বোধন Logo শান্তিগঞ্জে বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের সাথে জেলা প্রশাসকের মতবিনিময়  Logo সুনামগঞ্জের জিল্লুর রহমান সহ ছয় অতিরিক্ত সচিবকে ওএসডি Logo দিরাইয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নাম ব্যবহার করে কোন অনিয়ম দালালির সাথে জড়িতদের কঠোর হস্তে দমন করা হবে Logo ল্যাব সংস্কারের টাকা আত্মসা শাল্লায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে তুলে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোব! Logo শান্তিগঞ্জে জামায়াতের উদ্যোগে সিরাত মাহফিল ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

কুয়াকাটায় জলকেলি উৎসব

পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় অনুষ্ঠিত হয়েছে রাখাইনদের শত বছরের ঐতিহ্যবাহী সাংগ্রাই জলকেলি উৎসব। পুরনো বছরকে বিদায় জানিয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে মঙ্গলবার বিকালে কুয়াকাটার শ্রীমঙ্গল বৌদ্ধ বিহার সংলগ্ন রাখাইন মার্কেটে এ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। উৎসবে জলকেলিতে মাতোয়ারা ছিল রাখাইন কিশোর-কিশোরীরা।এর আগে বেলা ১১টায় শ্রীমঙ্গল বৌদ্ধ বিহারে বুদ্ধ স্নানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় এ উৎসবের আনুষ্ঠানিকতা। করোনায় দুই বছর বন্ধ থাকার পর গত বছর এ অনুষ্ঠান স্বল্প পরিসরে শুরু হয়। এ বছর আনুষ্ঠনিকভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজনে রাখাইদের মাঝে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ।কুয়াকাটা রাখাইন পল্লীর মাতুব্বর উচান চিনের সভাপত্বিতে এ আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ অধ্যক্ষ মহিবুর রহমান মহিব। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কলাপাড়া উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ ফাতেমা আক্তার রেখা, কুয়াকাটা পৌর মেয়র আনোয়ার হাওলাদার,  কুয়াকাটা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল বারেক মোল্লা, মহিপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার আবুল খায়ের, কুয়াকাটা টু্রিস্ট পুলিশ জোনের ইনচার্জ হাসনাইন পারভেজ, টু্রিস্ট পুলিশ পরিদর্শক মনিরুল হক ডাবলু, রাখাইন প্রতিনিধি অ্যাডভোকেট চানচান প্রমুখ।অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী ইফিঊচ্যান রাখাইন বলেন, ‘পুরনো বছরকে বিদায় জানিয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে জলকেলি উৎসবের আয়োজন করা হয়। তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের প্রথমদিন শ্রীমঙ্গল বৌদ্ধ বিহারে বুদ্ধ স্নানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় এ উৎসবের আনুষ্ঠানিকতা। পরের দুই দিন থাকে জলকেলি উৎসব।’মিয়াসুই রাখাইন বলেন, ‘এ অনুষ্ঠানে মূলত তরুণীদের কাছ থেকে রাখাইন তরুণদের পানি কিনতে হয়। তরুণীদের পানি কিনতে হয় না। তারা এখানে সংরক্ষিত পানি ব্যবহার করতে পারেন।’কুয়াকাটা রাখাইন পল্লীর মাতুব্বর উচান চিন বলেন, ‘জলকেলি উৎসব আগে প্রত্যেকটি পাড়ায় অনুষ্ঠিত হতো। এখন আর্থিক সংকটের কারণে সব পাড়ায় অনুষ্ঠিত হয় না। এ অনুষ্ঠান আয়োজন করতে মোটা অংকের টাকা খরচ হয়। আমার বিভিন্ন মাধ্যমে অনুদান নিয়ে কুয়াকাটায় আয়োজন করছি।’

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

Janasarthe 24

আপনাদের আশে পাশে ঘটে যাওয়া প্রতি মুহুর্তের খবর দিয়ে আমাদের সহযোগীতা করুন। আমরা আমাদের অনলাইনে তা প্রকাশ করে কৃতজ্ঞ হবো। আমাদের প্রতি মুহুর্তের খবর জানতে আমাদের সাথে থাকুন

শাল্লায় একাডেমিক ভবন প্রধান শিক্ষক ও তার ভাইয়ের দখলে

কুয়াকাটায় জলকেলি উৎসব

আপডেট সময় ১২:১৫:৫৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৩

পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় অনুষ্ঠিত হয়েছে রাখাইনদের শত বছরের ঐতিহ্যবাহী সাংগ্রাই জলকেলি উৎসব। পুরনো বছরকে বিদায় জানিয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে মঙ্গলবার বিকালে কুয়াকাটার শ্রীমঙ্গল বৌদ্ধ বিহার সংলগ্ন রাখাইন মার্কেটে এ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। উৎসবে জলকেলিতে মাতোয়ারা ছিল রাখাইন কিশোর-কিশোরীরা।এর আগে বেলা ১১টায় শ্রীমঙ্গল বৌদ্ধ বিহারে বুদ্ধ স্নানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় এ উৎসবের আনুষ্ঠানিকতা। করোনায় দুই বছর বন্ধ থাকার পর গত বছর এ অনুষ্ঠান স্বল্প পরিসরে শুরু হয়। এ বছর আনুষ্ঠনিকভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজনে রাখাইদের মাঝে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ।কুয়াকাটা রাখাইন পল্লীর মাতুব্বর উচান চিনের সভাপত্বিতে এ আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ অধ্যক্ষ মহিবুর রহমান মহিব। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কলাপাড়া উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ ফাতেমা আক্তার রেখা, কুয়াকাটা পৌর মেয়র আনোয়ার হাওলাদার,  কুয়াকাটা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল বারেক মোল্লা, মহিপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার আবুল খায়ের, কুয়াকাটা টু্রিস্ট পুলিশ জোনের ইনচার্জ হাসনাইন পারভেজ, টু্রিস্ট পুলিশ পরিদর্শক মনিরুল হক ডাবলু, রাখাইন প্রতিনিধি অ্যাডভোকেট চানচান প্রমুখ।অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী ইফিঊচ্যান রাখাইন বলেন, ‘পুরনো বছরকে বিদায় জানিয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে জলকেলি উৎসবের আয়োজন করা হয়। তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের প্রথমদিন শ্রীমঙ্গল বৌদ্ধ বিহারে বুদ্ধ স্নানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় এ উৎসবের আনুষ্ঠানিকতা। পরের দুই দিন থাকে জলকেলি উৎসব।’মিয়াসুই রাখাইন বলেন, ‘এ অনুষ্ঠানে মূলত তরুণীদের কাছ থেকে রাখাইন তরুণদের পানি কিনতে হয়। তরুণীদের পানি কিনতে হয় না। তারা এখানে সংরক্ষিত পানি ব্যবহার করতে পারেন।’কুয়াকাটা রাখাইন পল্লীর মাতুব্বর উচান চিন বলেন, ‘জলকেলি উৎসব আগে প্রত্যেকটি পাড়ায় অনুষ্ঠিত হতো। এখন আর্থিক সংকটের কারণে সব পাড়ায় অনুষ্ঠিত হয় না। এ অনুষ্ঠান আয়োজন করতে মোটা অংকের টাকা খরচ হয়। আমার বিভিন্ন মাধ্যমে অনুদান নিয়ে কুয়াকাটায় আয়োজন করছি।’