সময় গড়ায়। সেকাল থেকে একাল। সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে বদলাচ্ছে চারপাশের পরিবেশ, মানব সমাজ। সেকালে বিয়ের আগ মুহুর্থে পর্যন্ত প্রিয়তমা স্ত্রী’র মুখ দেখার সাধ্য ছিল না। যা ছিল খুবই সামান্য। কিন্তু আজকাল এসব কি হচ্ছে! ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্ররাও প্রেম করছে। যারা শিশু বলে বিবেচিত। হ্যা এমনটাই ছেলেমেয়েরা প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়তে দেখা যাচ্ছে, যেটা দিন দিন বেড়ে চলেছে। আর এই ধরনের স্বল্প বয়সীদের প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে নানা ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটছে। যে বিষয় নিয়ে নিথর হওয়ার ঘটনাও ঘটছে। এবার তেমনই একটি ঘটনা ঘটলো বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায়। উপজেলার এক মাদ্রাসা দপ্তরীকে ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্র দ্বারা হ”/ত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় তাকে আটক করেছে পুলিশ।
বুধবার (৯ নভেম্বর) রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওই ছাত্র হ”/ত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে। পরে তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী খানাকা মসজিদের পুকুরের পশ্চিম পাশের ধানক্ষেত থেকে হ’/’ত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি র”ক্তমাখা পাথর উদ্ধার করা হয়।
প্রয়াত দপ্তরি দিদার আলম নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের চাকঢালা এলাকার হাজী ইসলাম মিয়া সওদাগরের ছেলে। তিনি একই মাদ্রাসার হাফেজ ও খন্ডকালীন কেরানী।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সোমবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে ক্লাস রুমে বান্ধবীর সঙ্গে একান্তে কথা বলার সময় বিষয়টি দেখেন দপ্তরী দিদার। এ সময় তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরে দিদার বিষয়টি মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষকে জানায়। পরে এ ঘটনা নিয়ে ওইদিনই শিক্ষকরা বৈঠকে বসেন।
এদিকে ঘটনার পরদিন মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) সকাল ৮টার দিকে প্রতিদিনের মতো চাকঢালা আমতলী বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে তাকে দা দিয়ে কুপিয়ে খু’/’ন করে। পরে বুধবার (৯ নভেম্বর) মাদ্রাসায় ওই বৈঠকের ভিত্তিতে ওই ছাত্রকে আটক করে পুলিশ।
এ ঘটনার বিষয়ে মোহাম্মদ শাহজাহান যিনি নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন, তিনি জানান, মাদরাসার দপ্তরি হিসেবে নিয়োজিত দিদারকে হ”/ত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ছৈয়দুল আমিনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে আদালতে।