ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৫, ১২ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
Logo শান্তিগঞ্জে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধিতে পোনামাছ অবমুক্ত Logo শান্তিগঞ্জে ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমে গতিশীলতা আনয়নে প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত Logo বিয়ের কনে দেখতে গিয়ে নৌকা ডুবে ২জনের মৃত্যু Logo শান্তিগঞ্জে জামায়াতের প্রতিনিধি সম্মেলন ও দাঁড়িপাল্লার প্রচার মিছিল অনুষ্ঠিত Logo সুনামগঞ্জ ৩ আসনের সর্বস্তরের জনগণের ভালবাসায় সিক্ত হাম্মাদ গাজিনগরী Logo দিরাই সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের কমিটি গঠন সভাপতি: বিশ্বজিৎ চৌধুরী সম্পাদক: শাহজাহান সিরাজ Logo ফুলেল শুভেচ্ছায় জমিয়ত প্রার্থী হাম্মাদ আহমদের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন Logo স্বীকৃত শিক্ষকতায় রাহমান তৈয়বের পথ চলা Logo শান্তিগঞ্জে ২ কেজি গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক Logo স্বপ্নের বিনোদনই আজ বিষক্রিয়ায় পরিণত শান্তিগঞ্জে উভয় পক্ষের সংঘর্ষে আহত ২৬

ধর্মপাশায় বাল্য বিবাহ থেকে রক্ষা পেল এক কিশোর -কিশোরী

  • মহি উদ্দিন আরিফ
  • আপডেট সময় ১১:০৯:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪
  • ৫৭৮ বার পড়া হয়েছে

ধর্মপাশা (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার সদর ইউনিয়নের একটি গ্রামে বৃহস্পতিবার রাতে এক কিশোর-কিশোরী বাল্য বিবাহ থেকে রক্ষা পেয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দীনের তৎপরতায় এই বাল্য বিবাহটি বন্ধ হয়েছে।
উপজেলা প্রশাসন ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ধর্মপাশা উপজেলার সদর ইউনিয়নের একটি গ্রামের বাসিন্দা বর (১৭)। আর কনে (১৪) নরসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলার একটি গ্রামের বাসিন্দা। সোমবার দুপুরে কিশোরী ও তার বাবা ধর্মপাশা উপজেলার সদর ইউনিয়নের একটি গ্রামে কিশোরীর খালার বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে চলে আসে। ওই কিশোরীর খালার বাড়িতে একই গ্রামের প্রতিবেশী কিশোরের সঙ্গে গোপনে বৃহস্পতিবার রাতে ১১টার দিকে বাল্য বিবাহের আয়োজন করা হয়। রাত নয়টার দিকে বাল্য বিবাহের আয়োজনের খবরটি স্থানীয় দুইজন তরুণের কাছ থেকে জানতে পারেন ধর্মপাশার ইউএনও মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দীন। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ধর্মপাশা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অলিদুজ্জামান কে খোঁজ নিয়ে এই বাল্য বিবাহটি বন্ধ করতে নির্দেশ দেন। সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাৎক্ষণিকভাবে ধর্মপাশার থানার এসআই হাফিজুল ইসলামসহ কয়েকজন থানা পুলিশ নিয়ে ওইদিন রাত ১০টার দিকে কনের খালার বাড়িতে যান। বাল্য বিবাহের আয়োজনের সত্যতা পেয়ে তাঁরা বর ও কনের পক্ষের লোকজনদেরকের বাল্য বিয়ের কুফল ও রাষ্ট্রীয় আইনে এ ধরণের স্বীকৃতি নেই এমনটি বুঝিয়ে বলার পর দুইপক্ষের লোকজন বাল্য বিবাহটি বন্ধ করতে সম্মত হন। এ ছাড়া ছেলের বয়স ২১ বছর ও মেয়ের বয়স ১৮বছর না হওয়া পর্যন্ত বিবাহের আয়োজন করবেন না বলে বর, বরের বাবা ও কনের বাবা লিখিতভাবে অঙ্গীকার করেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দীন বলেন, বাল্য বিবাহ রোধে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বরকম প্রচেষ্ঠা অব্যাহত রয়েছে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

Janasarthe 24

আপনাদের আশে পাশে ঘটে যাওয়া প্রতি মুহুর্তের খবর দিয়ে আমাদের সহযোগীতা করুন। আমরা আমাদের অনলাইনে তা প্রকাশ করে কৃতজ্ঞ হবো। আমাদের প্রতি মুহুর্তের খবর জানতে আমাদের সাথে থাকুন
জনপ্রিয় সংবাদ

শান্তিগঞ্জে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধিতে পোনামাছ অবমুক্ত

ধর্মপাশায় বাল্য বিবাহ থেকে রক্ষা পেল এক কিশোর -কিশোরী

আপডেট সময় ১১:০৯:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪

ধর্মপাশা (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার সদর ইউনিয়নের একটি গ্রামে বৃহস্পতিবার রাতে এক কিশোর-কিশোরী বাল্য বিবাহ থেকে রক্ষা পেয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দীনের তৎপরতায় এই বাল্য বিবাহটি বন্ধ হয়েছে।
উপজেলা প্রশাসন ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ধর্মপাশা উপজেলার সদর ইউনিয়নের একটি গ্রামের বাসিন্দা বর (১৭)। আর কনে (১৪) নরসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলার একটি গ্রামের বাসিন্দা। সোমবার দুপুরে কিশোরী ও তার বাবা ধর্মপাশা উপজেলার সদর ইউনিয়নের একটি গ্রামে কিশোরীর খালার বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে চলে আসে। ওই কিশোরীর খালার বাড়িতে একই গ্রামের প্রতিবেশী কিশোরের সঙ্গে গোপনে বৃহস্পতিবার রাতে ১১টার দিকে বাল্য বিবাহের আয়োজন করা হয়। রাত নয়টার দিকে বাল্য বিবাহের আয়োজনের খবরটি স্থানীয় দুইজন তরুণের কাছ থেকে জানতে পারেন ধর্মপাশার ইউএনও মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দীন। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ধর্মপাশা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অলিদুজ্জামান কে খোঁজ নিয়ে এই বাল্য বিবাহটি বন্ধ করতে নির্দেশ দেন। সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাৎক্ষণিকভাবে ধর্মপাশার থানার এসআই হাফিজুল ইসলামসহ কয়েকজন থানা পুলিশ নিয়ে ওইদিন রাত ১০টার দিকে কনের খালার বাড়িতে যান। বাল্য বিবাহের আয়োজনের সত্যতা পেয়ে তাঁরা বর ও কনের পক্ষের লোকজনদেরকের বাল্য বিয়ের কুফল ও রাষ্ট্রীয় আইনে এ ধরণের স্বীকৃতি নেই এমনটি বুঝিয়ে বলার পর দুইপক্ষের লোকজন বাল্য বিবাহটি বন্ধ করতে সম্মত হন। এ ছাড়া ছেলের বয়স ২১ বছর ও মেয়ের বয়স ১৮বছর না হওয়া পর্যন্ত বিবাহের আয়োজন করবেন না বলে বর, বরের বাবা ও কনের বাবা লিখিতভাবে অঙ্গীকার করেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দীন বলেন, বাল্য বিবাহ রোধে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বরকম প্রচেষ্ঠা অব্যাহত রয়েছে।