ঢাকা , রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
Logo সুনামগঞ্জে এনসিপির নেতৃত্বে হাছন রাজার বংশধর Logo পাথারিয়া ইউনিয়নে ভিজিডি কার্ড বাছাই কার্যক্রম অনুষ্ঠিত Logo ঢাকা জামায়াতের মহাসমাবেশ উপলক্ষে পাথারিয়া ইউপি জামায়াতের প্রস্তুতি সভা সম্পন্ন Logo শান্তিগঞ্জের সুরমা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজে হতাশাজনক এসএসসি ফলাফল পাশের হার মাত্র ৬০.১২%, শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের মাঝে চরম অসন্তোষ Logo সিলেটে পাসের হার ৬৮.৫৭, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩৬১৪ জন Logo এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় পাসের হার ৬৮ দশমিক ৪৫, কমেছে জিপিএ-৫ Logo জলঢাকায় সাংবাদিকদের সঙ্গে জামায়াতের মতবিনিময় Logo ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ Logo সুনামগঞ্জে ৩০০ বোতল চোলাই মদসহ গ্রেফতার ১ Logo সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশের কল্যাণ ও অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত

দোয়ারাবাজারে ঝুঁকিপূর্ণ সুইচগেট কাজে আসবে না ফসল রক্ষা বাঁধও

  • সোহেল মিয়া
  • আপডেট সময় ০৪:০০:০২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ মার্চ ২০২৫
  • ৫৫৩ বার পড়া হয়েছে

দোয়ারাবাজার (সুনামগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ
দোয়ারাবাজারে ফসল রক্ষা বাঁধে কাজ শেষ হলেও এখনো কাজ শেষ হয়নি অনেক পিআইসি’র। বিভিন্ন পিআইসি ঘুরে দেখাগেছে উপজেলার ৪৭ টি পিআইসির মধ্যে অধিকাংশ পিআইসির নির্ধারিত সময়ে মাটি ভরাট কাজ শেষ হয়েছে কাগজে কলমে। কিন্তু দুর্বা ঘাস লাগানো এখানো চলমান রয়েছে।
সরজমিন কানলার হাওরের ১৮ নম্বর পিআইসি ফসল রক্ষা বাঁধ পরিদর্শন করে দেখা গেছে নির্ধারিত সময়ে বাঁধের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। দুর্বাঘাস লাগানো চলমান আছে। তবে পিআইসি সংশ্লিষ্টরা বলেছেন কাজ অনুযায়ী আমরা এখনো বিল পাইনি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুর রউফ বলেছেন, ১৮ নম্বর পিআইসির কাজ সম্পন্ন হয়েছে। অন্য বছরের তুলনায় এবার আরও ভালো কাজ হয়েছে। এর পরেও কিছু কুচক্রী মহল নানা ভাবে মিথ্যা অভিযোগ করে আসছে।
নূরপুর গ্রামের কৃষক শরীফ উদ্দিন বলেন, কানলার হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ শেষ এবং দুর্বাসঘাস লাগানো হচ্ছে। কিন্তু কানলার হাওর পোল্ডার নম্বর ২ এ নবনির্মিত সুইচগেটের দুই দিকের ক্লোজারে দায়সারা কাজ হওয়ায় কার্যত ঝুঁকিপূর্ণই থেকে যাচ্ছে। এতে আগাম বন্যায় সুইচগেটের দুই ক্লোজার ভেঙে গিয়ে ফসলহানির ঘটতে পারে।
একই গ্রামের কৃষক আব্দুল্লাহ ও কৃষক জসিম উদ্দিন বলেছেন, এ বছর ১৮ নম্বর পিআইসির কাজ তুলনা মুলক ভালো হয়েছে। কিন্তু সুইচগেটের দুই দিকের ক্লোজার এখনই হুমকির মুখে। সংশ্লিষ্টরা দায়সারা ভাবে ক্লোজারে মাটি ভরাট করায় আগাম বন্যায় ভেঙে হাওরে পানি ঢুকে যেতে পারে। ৬ কোটি টাকার সুইচগেট এবং কয়েক লাখ টাকার ফসল রক্ষা বাঁধও কোনো কাজে আসবে না কৃষকদের। আমরা এখন দুশ্চিন্তায় আছি।
জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নেহের নিগার তনু বলেন, ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ নির্ধারিত সময়ে হয়েছে। তবে সুইচগেটের বিষয়গুলো আমাকে লিখিত অভিযোগ দিলে খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

Janasarthe 24

আপনাদের আশে পাশে ঘটে যাওয়া প্রতি মুহুর্তের খবর দিয়ে আমাদের সহযোগীতা করুন। আমরা আমাদের অনলাইনে তা প্রকাশ করে কৃতজ্ঞ হবো। আমাদের প্রতি মুহুর্তের খবর জানতে আমাদের সাথে থাকুন
জনপ্রিয় সংবাদ

সুনামগঞ্জে এনসিপির নেতৃত্বে হাছন রাজার বংশধর

দোয়ারাবাজারে ঝুঁকিপূর্ণ সুইচগেট কাজে আসবে না ফসল রক্ষা বাঁধও

আপডেট সময় ০৪:০০:০২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ মার্চ ২০২৫

দোয়ারাবাজার (সুনামগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ
দোয়ারাবাজারে ফসল রক্ষা বাঁধে কাজ শেষ হলেও এখনো কাজ শেষ হয়নি অনেক পিআইসি’র। বিভিন্ন পিআইসি ঘুরে দেখাগেছে উপজেলার ৪৭ টি পিআইসির মধ্যে অধিকাংশ পিআইসির নির্ধারিত সময়ে মাটি ভরাট কাজ শেষ হয়েছে কাগজে কলমে। কিন্তু দুর্বা ঘাস লাগানো এখানো চলমান রয়েছে।
সরজমিন কানলার হাওরের ১৮ নম্বর পিআইসি ফসল রক্ষা বাঁধ পরিদর্শন করে দেখা গেছে নির্ধারিত সময়ে বাঁধের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। দুর্বাঘাস লাগানো চলমান আছে। তবে পিআইসি সংশ্লিষ্টরা বলেছেন কাজ অনুযায়ী আমরা এখনো বিল পাইনি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুর রউফ বলেছেন, ১৮ নম্বর পিআইসির কাজ সম্পন্ন হয়েছে। অন্য বছরের তুলনায় এবার আরও ভালো কাজ হয়েছে। এর পরেও কিছু কুচক্রী মহল নানা ভাবে মিথ্যা অভিযোগ করে আসছে।
নূরপুর গ্রামের কৃষক শরীফ উদ্দিন বলেন, কানলার হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ শেষ এবং দুর্বাসঘাস লাগানো হচ্ছে। কিন্তু কানলার হাওর পোল্ডার নম্বর ২ এ নবনির্মিত সুইচগেটের দুই দিকের ক্লোজারে দায়সারা কাজ হওয়ায় কার্যত ঝুঁকিপূর্ণই থেকে যাচ্ছে। এতে আগাম বন্যায় সুইচগেটের দুই ক্লোজার ভেঙে গিয়ে ফসলহানির ঘটতে পারে।
একই গ্রামের কৃষক আব্দুল্লাহ ও কৃষক জসিম উদ্দিন বলেছেন, এ বছর ১৮ নম্বর পিআইসির কাজ তুলনা মুলক ভালো হয়েছে। কিন্তু সুইচগেটের দুই দিকের ক্লোজার এখনই হুমকির মুখে। সংশ্লিষ্টরা দায়সারা ভাবে ক্লোজারে মাটি ভরাট করায় আগাম বন্যায় ভেঙে হাওরে পানি ঢুকে যেতে পারে। ৬ কোটি টাকার সুইচগেট এবং কয়েক লাখ টাকার ফসল রক্ষা বাঁধও কোনো কাজে আসবে না কৃষকদের। আমরা এখন দুশ্চিন্তায় আছি।
জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নেহের নিগার তনু বলেন, ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ নির্ধারিত সময়ে হয়েছে। তবে সুইচগেটের বিষয়গুলো আমাকে লিখিত অভিযোগ দিলে খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।