ঢাকা , রবিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৫, ৩০ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
Logo ছাতকের গোবিন্দগঞ্জ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক হুমায়ন কবির ও প্রয়াত শিক্ষকদের স্মরণে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল। Logo ছাতকে খেয়াঘাটে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়, ছদ্মবেশে ইউএনও Logo ভরারগাও গ্লাক্সি স্পোর্টিং ক্লাবকে ২-০ গোলে হারিয়ে পাথারিয়া সুপার স্টার সেমিফাইনালে Logo শান্তিগঞ্জে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে মুদি দোকানসহ ১০ বসতঘর পুড়ে ছাই Logo সুনামগঞ্জের দিরাই-মদনপুর পয়েন্টের সমাবেশে ইসরাইলি পণ্য বয়কটের ডাক Logo সারা দেশের ন্যায় দোয়ারাবাজারে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়েছে Logo দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আগের চেয়ে ভালো আছে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা  Logo মধ্যনগরে সুপেয় পানির তীব্র সংকটে দুই গ্রামের শতাধিক পরিবার Logo শান্তিগঞ্জে কবরস্থানে নির্মিত স্থাপনা সম্পূর্ণরুপে উচ্ছেদ ও উক্ত স্থানে ঈদগাহ নির্মাণের দাবিতে মানব বন্ধন Logo শালিস বৈঠকে শেষ হলো পাথারিয়া-গাজীনগর গ্রামের দ্বন্দ্ব

দোয়ারাবাজারে ঝুঁকিপূর্ণ সুইচগেট কাজে আসবে না ফসল রক্ষা বাঁধও

  • সোহেল মিয়া
  • আপডেট সময় ০৪:০০:০২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ মার্চ ২০২৫
  • ৫২১ বার পড়া হয়েছে

দোয়ারাবাজার (সুনামগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ
দোয়ারাবাজারে ফসল রক্ষা বাঁধে কাজ শেষ হলেও এখনো কাজ শেষ হয়নি অনেক পিআইসি’র। বিভিন্ন পিআইসি ঘুরে দেখাগেছে উপজেলার ৪৭ টি পিআইসির মধ্যে অধিকাংশ পিআইসির নির্ধারিত সময়ে মাটি ভরাট কাজ শেষ হয়েছে কাগজে কলমে। কিন্তু দুর্বা ঘাস লাগানো এখানো চলমান রয়েছে।
সরজমিন কানলার হাওরের ১৮ নম্বর পিআইসি ফসল রক্ষা বাঁধ পরিদর্শন করে দেখা গেছে নির্ধারিত সময়ে বাঁধের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। দুর্বাঘাস লাগানো চলমান আছে। তবে পিআইসি সংশ্লিষ্টরা বলেছেন কাজ অনুযায়ী আমরা এখনো বিল পাইনি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুর রউফ বলেছেন, ১৮ নম্বর পিআইসির কাজ সম্পন্ন হয়েছে। অন্য বছরের তুলনায় এবার আরও ভালো কাজ হয়েছে। এর পরেও কিছু কুচক্রী মহল নানা ভাবে মিথ্যা অভিযোগ করে আসছে।
নূরপুর গ্রামের কৃষক শরীফ উদ্দিন বলেন, কানলার হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ শেষ এবং দুর্বাসঘাস লাগানো হচ্ছে। কিন্তু কানলার হাওর পোল্ডার নম্বর ২ এ নবনির্মিত সুইচগেটের দুই দিকের ক্লোজারে দায়সারা কাজ হওয়ায় কার্যত ঝুঁকিপূর্ণই থেকে যাচ্ছে। এতে আগাম বন্যায় সুইচগেটের দুই ক্লোজার ভেঙে গিয়ে ফসলহানির ঘটতে পারে।
একই গ্রামের কৃষক আব্দুল্লাহ ও কৃষক জসিম উদ্দিন বলেছেন, এ বছর ১৮ নম্বর পিআইসির কাজ তুলনা মুলক ভালো হয়েছে। কিন্তু সুইচগেটের দুই দিকের ক্লোজার এখনই হুমকির মুখে। সংশ্লিষ্টরা দায়সারা ভাবে ক্লোজারে মাটি ভরাট করায় আগাম বন্যায় ভেঙে হাওরে পানি ঢুকে যেতে পারে। ৬ কোটি টাকার সুইচগেট এবং কয়েক লাখ টাকার ফসল রক্ষা বাঁধও কোনো কাজে আসবে না কৃষকদের। আমরা এখন দুশ্চিন্তায় আছি।
জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নেহের নিগার তনু বলেন, ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ নির্ধারিত সময়ে হয়েছে। তবে সুইচগেটের বিষয়গুলো আমাকে লিখিত অভিযোগ দিলে খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

Janasarthe 24

আপনাদের আশে পাশে ঘটে যাওয়া প্রতি মুহুর্তের খবর দিয়ে আমাদের সহযোগীতা করুন। আমরা আমাদের অনলাইনে তা প্রকাশ করে কৃতজ্ঞ হবো। আমাদের প্রতি মুহুর্তের খবর জানতে আমাদের সাথে থাকুন
জনপ্রিয় সংবাদ

ছাতকের গোবিন্দগঞ্জ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক হুমায়ন কবির ও প্রয়াত শিক্ষকদের স্মরণে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল।

দোয়ারাবাজারে ঝুঁকিপূর্ণ সুইচগেট কাজে আসবে না ফসল রক্ষা বাঁধও

আপডেট সময় ০৪:০০:০২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ মার্চ ২০২৫

দোয়ারাবাজার (সুনামগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ
দোয়ারাবাজারে ফসল রক্ষা বাঁধে কাজ শেষ হলেও এখনো কাজ শেষ হয়নি অনেক পিআইসি’র। বিভিন্ন পিআইসি ঘুরে দেখাগেছে উপজেলার ৪৭ টি পিআইসির মধ্যে অধিকাংশ পিআইসির নির্ধারিত সময়ে মাটি ভরাট কাজ শেষ হয়েছে কাগজে কলমে। কিন্তু দুর্বা ঘাস লাগানো এখানো চলমান রয়েছে।
সরজমিন কানলার হাওরের ১৮ নম্বর পিআইসি ফসল রক্ষা বাঁধ পরিদর্শন করে দেখা গেছে নির্ধারিত সময়ে বাঁধের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। দুর্বাঘাস লাগানো চলমান আছে। তবে পিআইসি সংশ্লিষ্টরা বলেছেন কাজ অনুযায়ী আমরা এখনো বিল পাইনি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুর রউফ বলেছেন, ১৮ নম্বর পিআইসির কাজ সম্পন্ন হয়েছে। অন্য বছরের তুলনায় এবার আরও ভালো কাজ হয়েছে। এর পরেও কিছু কুচক্রী মহল নানা ভাবে মিথ্যা অভিযোগ করে আসছে।
নূরপুর গ্রামের কৃষক শরীফ উদ্দিন বলেন, কানলার হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ শেষ এবং দুর্বাসঘাস লাগানো হচ্ছে। কিন্তু কানলার হাওর পোল্ডার নম্বর ২ এ নবনির্মিত সুইচগেটের দুই দিকের ক্লোজারে দায়সারা কাজ হওয়ায় কার্যত ঝুঁকিপূর্ণই থেকে যাচ্ছে। এতে আগাম বন্যায় সুইচগেটের দুই ক্লোজার ভেঙে গিয়ে ফসলহানির ঘটতে পারে।
একই গ্রামের কৃষক আব্দুল্লাহ ও কৃষক জসিম উদ্দিন বলেছেন, এ বছর ১৮ নম্বর পিআইসির কাজ তুলনা মুলক ভালো হয়েছে। কিন্তু সুইচগেটের দুই দিকের ক্লোজার এখনই হুমকির মুখে। সংশ্লিষ্টরা দায়সারা ভাবে ক্লোজারে মাটি ভরাট করায় আগাম বন্যায় ভেঙে হাওরে পানি ঢুকে যেতে পারে। ৬ কোটি টাকার সুইচগেট এবং কয়েক লাখ টাকার ফসল রক্ষা বাঁধও কোনো কাজে আসবে না কৃষকদের। আমরা এখন দুশ্চিন্তায় আছি।
জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নেহের নিগার তনু বলেন, ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ নির্ধারিত সময়ে হয়েছে। তবে সুইচগেটের বিষয়গুলো আমাকে লিখিত অভিযোগ দিলে খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।