ঢাকা , শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৭ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
Logo শান্তিগঞ্জে খেলাফত মজলিসের প্রার্থী হাফেজ শেখ মুশতাক আহমদের সমর্থনে নির্বাচনী সভা অনুষ্ঠিত Logo মুশতাক গাজিনগরীর হত্যার প্রতিবাদে গণআন্দোলনের হুঁশিয়ারি Logo ঢাকায় ১৫ সেপ্টেম্বরের বিশাল শিক্ষক সমাবেশ সফল করতে সিলেটে মতবিনিময় সভা Logo জগন্নাথপুরে আলোচনায় প্রবাসী তাহের মিয়ার নতুন ষাড় সাদা ডলপিং Logo গণতন্ত্রের লড়াইয়ে সংস্কৃতির জাগরণ প্রয়োজন’— শান্তিগঞ্জে ব্যারিস্টার আনোয়ার হোসেন Logo সুনামগঞ্জ জেলা জমিয়তের সহ-সভাপতি নিখোঁজ মাওলানা মোশতাক আহমদের সন্ধানের দাবিতে মানববন্ধন Logo সুনামগঞ্জে জমিয়ত নেতা মাওলানা মুশতাক আহমদ গাজীনগরী নিখোঁজ Logo বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে জগন্নাথপুরে আলোচনা সভা ও দলীয় কার্যালয় উদ্ভোধন Logo মধ্যনগরে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি পদের ফরম ক্রয়কে ঘিরে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে Logo বিএনপির ৪৭ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে সুনামগঞ্জে বর্ণ্যাঢ্য র‍্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

জামায়াতের সমাবেশে কত খরচ হয়েছে, জানালেন দলের আমির

  • ডেক্স রিপোর্ট
  • আপডেট সময় ১০:১৪:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫
  • ৫৩৪ বার পড়া হয়েছে

জামায়াতের ১৯ জুলাইয়ের সমাবেশের চিত্র।

রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গত ১৯ জুলাই এ যাবৎকালের সবচেয়ে বড় জাতীয় সমাবেশ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সেখানে আসে লাখ লাখ নেতাকর্মী। ভাড়া করা হয় কয়েক হাজার বাস। রিজার্ভ করা হয় লঞ্চ-ট্রেনসহ বহু যানবাহন। ব্যানার-ফেস্টুন দিয়ে সজ্জিত করা হয় গোটা রাজধানী।
তাই স্বাভাবিকভাবেই জনমনে কৌতুহল, কত টাকা খরচ হয়েছিল জামায়াতের ওই সমাবেশে? এ নিয়ে নানাজনের নানা ধারণা। কেউ বলেন ২০০ কোটি টাকার ওপরে। কারও আবার ধারণা, খরচের হিসাব ৫০০ কোটি ছাড়িয়েছে।তবে আসলে সেদিন জামায়াতের বৃহৎ ওই সমাবেশ আয়োজনে কত খরচ হয়েছিল, তা জানালেন দলের আমির ডা. শফিকুর রহমান। শুক্রবার (২৫ জুলাই) আয়োজিত জামায়াতের রোকন সম্মেলনে তিনি দাবি করেন, অতো বড় সমাবেশ আয়োজনে নাকি সাড়ে তিন কোটি টাকারও কম খরচ হয়েছে।
রোকন সম্মেলনের একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। তিনি সেখানে বলেন, ‘আমাদের ঢাকা এত বড় একটা সমাবেশ হয়ে গেল, আমরা কি কাউকে চাঁদা তুলতে বলেছি? বলিনাই। আমরা নিজেরাও কারও কাছে চাঁদা চাইনাই। এখন কেউ বিশ্লেষন করে একশ, কেউ দুইশ কোটি। আপনারা শুনবেন কত খরচ হয়েছে। অবশ্যই রোকন হিসেবে আপনাদের শোনার অধিকার রয়েছে। আমার ধারণা ছিল, পৌনে তিন কোটিতে আটকায়ে ফেলতে পারব। একটু এদিক-সেদিক হবে, এটি সাড়ে তিন কোটির বেশি হয়নি আলহাদুলিল্লাহ। এখন যার যে বিশ্লেষণ করার করবে।’
সম্মেলনে জামায়াত আমির বলেন, ‘বিগত ৫৪ বছরে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের একজন নাগরিকের প্রতিও অবিচার করেনি, জুলুম করেনি। জামায়াতের কোনো নেতাকর্মী চাঁদাবাজি কিংবা সন্ত্রাস করেনি, করবেও না। জামায়াত দল নিয়ন্ত্রণ করেছে, দেশও নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে। যারা দলই নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না, তারা দেশে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সার্বিক পরিস্থিতিও নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না।’
এর আগে এক টেলিভিশন অনুষ্ঠানে জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য ও মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, ‘সমাবেশে আমাদের লোকজন কিভাবে এসেছে তা সবাই দেখেছে। তারা কিভাবে নিজের টাকা খরচ করে এসেছে তা মিডিয়াতেই প্রচার হয়েছে। তারা বাড়ি থেকে কিভাবে খাবার নিয়ে এসেছে, চিড়া ভিজিয়ে খাচ্ছে কলা দিয়ে, তা সবাই দেখেছে। আমি যদি আমার বাউফলের কথা বলি, সেখান থেকে আমার কয়েক হাজার লোক এসেছে লঞ্চে করে। আমি সমাবেশের বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করার কারণে তাদের কোনো খোঁজ নিতে পারিনাই। আমার একজন লোকেরও কোনো দায়িত্ব নিতে হয়নাই।’. মাসুদ বলেন, ‘টেলিভিশনে দেখলাম, এক বৃদ্ধ লোক চিড়া আর কলা খাচ্ছেন, মিডিয়ার এক কর্মী তাকে প্রশ্ন করলেন এই চিড়া-কলা কে দিয়েছে, তিনি বললেন আমার বউ দিয়েছে, আমি জামায়াতের ওপর নির্ভর করে এই সমাবেশে আসিনাই। আমি জামায়াতের কাজগুলোকে পছন্দ করে, তাদের দাবির সাথে একাত্মতা জানাতে সমাবেশে এসেছি।’ সমাবেশে আমরা পানি ছাড়া আর কিছুই দিতে পারিনি।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

Janasarthe 24

আপনাদের আশে পাশে ঘটে যাওয়া প্রতি মুহুর্তের খবর দিয়ে আমাদের সহযোগীতা করুন। আমরা আমাদের অনলাইনে তা প্রকাশ করে কৃতজ্ঞ হবো। আমাদের প্রতি মুহুর্তের খবর জানতে আমাদের সাথে থাকুন
জনপ্রিয় সংবাদ

শান্তিগঞ্জে খেলাফত মজলিসের প্রার্থী হাফেজ শেখ মুশতাক আহমদের সমর্থনে নির্বাচনী সভা অনুষ্ঠিত

জামায়াতের সমাবেশে কত খরচ হয়েছে, জানালেন দলের আমির

আপডেট সময় ১০:১৪:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫

জামায়াতের ১৯ জুলাইয়ের সমাবেশের চিত্র।

রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গত ১৯ জুলাই এ যাবৎকালের সবচেয়ে বড় জাতীয় সমাবেশ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সেখানে আসে লাখ লাখ নেতাকর্মী। ভাড়া করা হয় কয়েক হাজার বাস। রিজার্ভ করা হয় লঞ্চ-ট্রেনসহ বহু যানবাহন। ব্যানার-ফেস্টুন দিয়ে সজ্জিত করা হয় গোটা রাজধানী।
তাই স্বাভাবিকভাবেই জনমনে কৌতুহল, কত টাকা খরচ হয়েছিল জামায়াতের ওই সমাবেশে? এ নিয়ে নানাজনের নানা ধারণা। কেউ বলেন ২০০ কোটি টাকার ওপরে। কারও আবার ধারণা, খরচের হিসাব ৫০০ কোটি ছাড়িয়েছে।তবে আসলে সেদিন জামায়াতের বৃহৎ ওই সমাবেশ আয়োজনে কত খরচ হয়েছিল, তা জানালেন দলের আমির ডা. শফিকুর রহমান। শুক্রবার (২৫ জুলাই) আয়োজিত জামায়াতের রোকন সম্মেলনে তিনি দাবি করেন, অতো বড় সমাবেশ আয়োজনে নাকি সাড়ে তিন কোটি টাকারও কম খরচ হয়েছে।
রোকন সম্মেলনের একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। তিনি সেখানে বলেন, ‘আমাদের ঢাকা এত বড় একটা সমাবেশ হয়ে গেল, আমরা কি কাউকে চাঁদা তুলতে বলেছি? বলিনাই। আমরা নিজেরাও কারও কাছে চাঁদা চাইনাই। এখন কেউ বিশ্লেষন করে একশ, কেউ দুইশ কোটি। আপনারা শুনবেন কত খরচ হয়েছে। অবশ্যই রোকন হিসেবে আপনাদের শোনার অধিকার রয়েছে। আমার ধারণা ছিল, পৌনে তিন কোটিতে আটকায়ে ফেলতে পারব। একটু এদিক-সেদিক হবে, এটি সাড়ে তিন কোটির বেশি হয়নি আলহাদুলিল্লাহ। এখন যার যে বিশ্লেষণ করার করবে।’
সম্মেলনে জামায়াত আমির বলেন, ‘বিগত ৫৪ বছরে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের একজন নাগরিকের প্রতিও অবিচার করেনি, জুলুম করেনি। জামায়াতের কোনো নেতাকর্মী চাঁদাবাজি কিংবা সন্ত্রাস করেনি, করবেও না। জামায়াত দল নিয়ন্ত্রণ করেছে, দেশও নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে। যারা দলই নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না, তারা দেশে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সার্বিক পরিস্থিতিও নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না।’
এর আগে এক টেলিভিশন অনুষ্ঠানে জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য ও মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, ‘সমাবেশে আমাদের লোকজন কিভাবে এসেছে তা সবাই দেখেছে। তারা কিভাবে নিজের টাকা খরচ করে এসেছে তা মিডিয়াতেই প্রচার হয়েছে। তারা বাড়ি থেকে কিভাবে খাবার নিয়ে এসেছে, চিড়া ভিজিয়ে খাচ্ছে কলা দিয়ে, তা সবাই দেখেছে। আমি যদি আমার বাউফলের কথা বলি, সেখান থেকে আমার কয়েক হাজার লোক এসেছে লঞ্চে করে। আমি সমাবেশের বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করার কারণে তাদের কোনো খোঁজ নিতে পারিনাই। আমার একজন লোকেরও কোনো দায়িত্ব নিতে হয়নাই।’. মাসুদ বলেন, ‘টেলিভিশনে দেখলাম, এক বৃদ্ধ লোক চিড়া আর কলা খাচ্ছেন, মিডিয়ার এক কর্মী তাকে প্রশ্ন করলেন এই চিড়া-কলা কে দিয়েছে, তিনি বললেন আমার বউ দিয়েছে, আমি জামায়াতের ওপর নির্ভর করে এই সমাবেশে আসিনাই। আমি জামায়াতের কাজগুলোকে পছন্দ করে, তাদের দাবির সাথে একাত্মতা জানাতে সমাবেশে এসেছি।’ সমাবেশে আমরা পানি ছাড়া আর কিছুই দিতে পারিনি।