ঢাকা , সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
Logo দিরাইয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নাম ব্যবহার করে কোন অনিয়ম দালালির সাথে জড়িতদের কঠোর হস্তে দমন করা হবে Logo ল্যাব সংস্কারের টাকা আত্মসা শাল্লায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে তুলে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোব! Logo শান্তিগঞ্জে জামায়াতের উদ্যোগে সিরাত মাহফিল ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান Logo অনৈতিক প্রস্তাবে রাজি নয়, বিধবা কার্ড বাতিলের অভিযোগ Logo বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় সীমান্তিকের উদ্যাগে বিশ্ব গর্ভনিরোধ দিবস উদযাপন Logo সিলেটে পাথরবাহী ট্রাকের নিচে চাপা পড়ে ঔষধ কোম্পানীর এরিয়া ম্যানেজার নিহত Logo পাথারিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃআলী নেওয়াজের ইন্তেকাল Logo শান্তিগঞ্জে শিক্ষার মানোন্নয়নে একত্রে তিনটি বিদ্যালয়ের অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত Logo সাংবাদিক রুহুল আমিন গাজী আর নেই Logo দুর্যোগ ব্যবস্থা কমিটির সভা

বিজয়ের মাসের স্মৃতিচারণ- আব্দুজ জাহির

ডিসেম্বর মাস, বিজয়ের মাস। মুক্তিযুদ্ধে আমাদের পরিবার ও আত্মীয় স্বজন যারা মুক্তি যুদ্ধে জীবন মরন লড়েছিলেন তাদের কথা না লিখে কি হয়?
মরহুম আলহাজ্ব মোঃ আব্দুল কুদ্দুস আমার মামা ও মরহুম মোঃ আবদুল আউয়াল আমার মিয়া ভাই যাদের একনামে সুনামগঞ্জ জেলার সবাই জানতো ও চিনতো। ছিলেন মুক্তি যুদ্ধের সংগঠক ও মুক্তিযোদ্ধা। ছিলেন দিরাই উপজেলা আওয়ামিলীগের কর্ণধার। আজ এ দু’জন পৃথিবীতে নেই। সবার কাছ বিস্মৃতির অন্তরালে হলেও তাদের কর্মফল দেশ থেকে মুছে ফেলা যাবে না।
বীর মুক্তিযোদ্ধা আতাউর মিয়া আমার মামা, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল করিম আমার ইমেডিয়েট বড় ভাই। তিনি ৬ ডিসেম্বর শ্যামারচর সম্মুখ যুদ্ধে বুকে গুলি খেয়েও দীর্ঘ দিন চিকিৎসার পর বেঁচে গিয়েছিলেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা নায়েক সুবাদার ফয়জুর রহমান আমার চাচাতো ভাই, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ সাদিক মিয়া মাষ্টার আমার ভাতিজা, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আবদুল কাইয়ুম আমার আরেক মামা।
নয় মাস যুদ্ধের পর আবার তাদের সাথে দেখা হবে এমন ধারণা আমাদের ছিল না। তারা সেই অসম্ভবকে জয় করে বীর বিক্রমে নিজ গৃহে ফিরে এসেছিলেন। কারণ আল্লাহ সহায় ছিলেন। যুদ্ধ ছিল অন্যায়ের বিরুদ্ধে সত্যের যুদ্ধ।
তারা যুদ্ধ করেছিলেন বঙ্গবন্ধুর ডাকে কেবল তাদের পরিবার বা গোষ্ঠীর জন্য নয়। বাংলাদেশের মানুষের স্বাধীনতার জন্য মুক্তির জন্য । এই সফলতাই তাদের জীবনের সার্থকতা।
বিজয় মাসের স্মৃতিচারণ করে জীবিত পাঁচজনকে জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা। কামনা করি দীর্ঘায়ু।
মরহুম দু’জনের আত্মার মাগফিরাত কামনা করি এবং আল্লাহ যেন তাদের কবরকে জান্নাতুল ফেরদৌসের মোকাম দান করেন, আমিন।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

Janasarthe 24

আপনাদের আশে পাশে ঘটে যাওয়া প্রতি মুহুর্তের খবর দিয়ে আমাদের সহযোগীতা করুন। আমরা আমাদের অনলাইনে তা প্রকাশ করে কৃতজ্ঞ হবো। আমাদের প্রতি মুহুর্তের খবর জানতে আমাদের সাথে থাকুন
জনপ্রিয় সংবাদ

দিরাইয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নাম ব্যবহার করে কোন অনিয়ম দালালির সাথে জড়িতদের কঠোর হস্তে দমন করা হবে

বিজয়ের মাসের স্মৃতিচারণ- আব্দুজ জাহির

আপডেট সময় ১১:০১:১৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২২

ডিসেম্বর মাস, বিজয়ের মাস। মুক্তিযুদ্ধে আমাদের পরিবার ও আত্মীয় স্বজন যারা মুক্তি যুদ্ধে জীবন মরন লড়েছিলেন তাদের কথা না লিখে কি হয়?
মরহুম আলহাজ্ব মোঃ আব্দুল কুদ্দুস আমার মামা ও মরহুম মোঃ আবদুল আউয়াল আমার মিয়া ভাই যাদের একনামে সুনামগঞ্জ জেলার সবাই জানতো ও চিনতো। ছিলেন মুক্তি যুদ্ধের সংগঠক ও মুক্তিযোদ্ধা। ছিলেন দিরাই উপজেলা আওয়ামিলীগের কর্ণধার। আজ এ দু’জন পৃথিবীতে নেই। সবার কাছ বিস্মৃতির অন্তরালে হলেও তাদের কর্মফল দেশ থেকে মুছে ফেলা যাবে না।
বীর মুক্তিযোদ্ধা আতাউর মিয়া আমার মামা, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল করিম আমার ইমেডিয়েট বড় ভাই। তিনি ৬ ডিসেম্বর শ্যামারচর সম্মুখ যুদ্ধে বুকে গুলি খেয়েও দীর্ঘ দিন চিকিৎসার পর বেঁচে গিয়েছিলেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা নায়েক সুবাদার ফয়জুর রহমান আমার চাচাতো ভাই, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ সাদিক মিয়া মাষ্টার আমার ভাতিজা, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আবদুল কাইয়ুম আমার আরেক মামা।
নয় মাস যুদ্ধের পর আবার তাদের সাথে দেখা হবে এমন ধারণা আমাদের ছিল না। তারা সেই অসম্ভবকে জয় করে বীর বিক্রমে নিজ গৃহে ফিরে এসেছিলেন। কারণ আল্লাহ সহায় ছিলেন। যুদ্ধ ছিল অন্যায়ের বিরুদ্ধে সত্যের যুদ্ধ।
তারা যুদ্ধ করেছিলেন বঙ্গবন্ধুর ডাকে কেবল তাদের পরিবার বা গোষ্ঠীর জন্য নয়। বাংলাদেশের মানুষের স্বাধীনতার জন্য মুক্তির জন্য । এই সফলতাই তাদের জীবনের সার্থকতা।
বিজয় মাসের স্মৃতিচারণ করে জীবিত পাঁচজনকে জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা। কামনা করি দীর্ঘায়ু।
মরহুম দু’জনের আত্মার মাগফিরাত কামনা করি এবং আল্লাহ যেন তাদের কবরকে জান্নাতুল ফেরদৌসের মোকাম দান করেন, আমিন।