ঢাকা , শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
Logo ঢাকা জামায়াতের মহাসমাবেশ উপলক্ষে পাথারিয়া ইউপি জামায়াতের প্রস্তুতি সভা সম্পন্ন Logo শান্তিগঞ্জের সুরমা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজে হতাশাজনক এসএসসি ফলাফল পাশের হার মাত্র ৬০.১২%, শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের মাঝে চরম অসন্তোষ Logo সিলেটে পাসের হার ৬৮.৫৭, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩৬১৪ জন Logo এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় পাসের হার ৬৮ দশমিক ৪৫, কমেছে জিপিএ-৫ Logo জলঢাকায় সাংবাদিকদের সঙ্গে জামায়াতের মতবিনিময় Logo ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ Logo সুনামগঞ্জে ৩০০ বোতল চোলাই মদসহ গ্রেফতার ১ Logo সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশের কল্যাণ ও অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত Logo দিরাই উপজেলা আওয়ামিলীগের সাধারণ সম্পাদক আটক Logo উন্নয়নের স্বপ্নে বঞ্চিত নবগঠিত মধ্যনগর টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ থেকে বাদ পড়ায় ক্ষোভ ও হতাশার ছায়া

বিজয়ের মাসের স্মৃতিচারণ- আব্দুজ জাহির

ডিসেম্বর মাস, বিজয়ের মাস। মুক্তিযুদ্ধে আমাদের পরিবার ও আত্মীয় স্বজন যারা মুক্তি যুদ্ধে জীবন মরন লড়েছিলেন তাদের কথা না লিখে কি হয়?
মরহুম আলহাজ্ব মোঃ আব্দুল কুদ্দুস আমার মামা ও মরহুম মোঃ আবদুল আউয়াল আমার মিয়া ভাই যাদের একনামে সুনামগঞ্জ জেলার সবাই জানতো ও চিনতো। ছিলেন মুক্তি যুদ্ধের সংগঠক ও মুক্তিযোদ্ধা। ছিলেন দিরাই উপজেলা আওয়ামিলীগের কর্ণধার। আজ এ দু’জন পৃথিবীতে নেই। সবার কাছ বিস্মৃতির অন্তরালে হলেও তাদের কর্মফল দেশ থেকে মুছে ফেলা যাবে না।
বীর মুক্তিযোদ্ধা আতাউর মিয়া আমার মামা, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল করিম আমার ইমেডিয়েট বড় ভাই। তিনি ৬ ডিসেম্বর শ্যামারচর সম্মুখ যুদ্ধে বুকে গুলি খেয়েও দীর্ঘ দিন চিকিৎসার পর বেঁচে গিয়েছিলেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা নায়েক সুবাদার ফয়জুর রহমান আমার চাচাতো ভাই, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ সাদিক মিয়া মাষ্টার আমার ভাতিজা, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আবদুল কাইয়ুম আমার আরেক মামা।
নয় মাস যুদ্ধের পর আবার তাদের সাথে দেখা হবে এমন ধারণা আমাদের ছিল না। তারা সেই অসম্ভবকে জয় করে বীর বিক্রমে নিজ গৃহে ফিরে এসেছিলেন। কারণ আল্লাহ সহায় ছিলেন। যুদ্ধ ছিল অন্যায়ের বিরুদ্ধে সত্যের যুদ্ধ।
তারা যুদ্ধ করেছিলেন বঙ্গবন্ধুর ডাকে কেবল তাদের পরিবার বা গোষ্ঠীর জন্য নয়। বাংলাদেশের মানুষের স্বাধীনতার জন্য মুক্তির জন্য । এই সফলতাই তাদের জীবনের সার্থকতা।
বিজয় মাসের স্মৃতিচারণ করে জীবিত পাঁচজনকে জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা। কামনা করি দীর্ঘায়ু।
মরহুম দু’জনের আত্মার মাগফিরাত কামনা করি এবং আল্লাহ যেন তাদের কবরকে জান্নাতুল ফেরদৌসের মোকাম দান করেন, আমিন।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

Janasarthe 24

আপনাদের আশে পাশে ঘটে যাওয়া প্রতি মুহুর্তের খবর দিয়ে আমাদের সহযোগীতা করুন। আমরা আমাদের অনলাইনে তা প্রকাশ করে কৃতজ্ঞ হবো। আমাদের প্রতি মুহুর্তের খবর জানতে আমাদের সাথে থাকুন
জনপ্রিয় সংবাদ

ঢাকা জামায়াতের মহাসমাবেশ উপলক্ষে পাথারিয়া ইউপি জামায়াতের প্রস্তুতি সভা সম্পন্ন

বিজয়ের মাসের স্মৃতিচারণ- আব্দুজ জাহির

আপডেট সময় ১১:০১:১৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২২

ডিসেম্বর মাস, বিজয়ের মাস। মুক্তিযুদ্ধে আমাদের পরিবার ও আত্মীয় স্বজন যারা মুক্তি যুদ্ধে জীবন মরন লড়েছিলেন তাদের কথা না লিখে কি হয়?
মরহুম আলহাজ্ব মোঃ আব্দুল কুদ্দুস আমার মামা ও মরহুম মোঃ আবদুল আউয়াল আমার মিয়া ভাই যাদের একনামে সুনামগঞ্জ জেলার সবাই জানতো ও চিনতো। ছিলেন মুক্তি যুদ্ধের সংগঠক ও মুক্তিযোদ্ধা। ছিলেন দিরাই উপজেলা আওয়ামিলীগের কর্ণধার। আজ এ দু’জন পৃথিবীতে নেই। সবার কাছ বিস্মৃতির অন্তরালে হলেও তাদের কর্মফল দেশ থেকে মুছে ফেলা যাবে না।
বীর মুক্তিযোদ্ধা আতাউর মিয়া আমার মামা, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল করিম আমার ইমেডিয়েট বড় ভাই। তিনি ৬ ডিসেম্বর শ্যামারচর সম্মুখ যুদ্ধে বুকে গুলি খেয়েও দীর্ঘ দিন চিকিৎসার পর বেঁচে গিয়েছিলেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা নায়েক সুবাদার ফয়জুর রহমান আমার চাচাতো ভাই, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ সাদিক মিয়া মাষ্টার আমার ভাতিজা, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আবদুল কাইয়ুম আমার আরেক মামা।
নয় মাস যুদ্ধের পর আবার তাদের সাথে দেখা হবে এমন ধারণা আমাদের ছিল না। তারা সেই অসম্ভবকে জয় করে বীর বিক্রমে নিজ গৃহে ফিরে এসেছিলেন। কারণ আল্লাহ সহায় ছিলেন। যুদ্ধ ছিল অন্যায়ের বিরুদ্ধে সত্যের যুদ্ধ।
তারা যুদ্ধ করেছিলেন বঙ্গবন্ধুর ডাকে কেবল তাদের পরিবার বা গোষ্ঠীর জন্য নয়। বাংলাদেশের মানুষের স্বাধীনতার জন্য মুক্তির জন্য । এই সফলতাই তাদের জীবনের সার্থকতা।
বিজয় মাসের স্মৃতিচারণ করে জীবিত পাঁচজনকে জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা। কামনা করি দীর্ঘায়ু।
মরহুম দু’জনের আত্মার মাগফিরাত কামনা করি এবং আল্লাহ যেন তাদের কবরকে জান্নাতুল ফেরদৌসের মোকাম দান করেন, আমিন।