ঢাকা , বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
Logo জুলাই-আগষ্টের ছাত্র-জনতার গণঅদ্ভুত্থানে আহত ও শহীদদের স্মরণে ছাতকে স্মরণ সভা Logo বালি মহালে ইজারা পদ্বতি বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন Logo ছাতকে আওয়ামিলীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার Logo পিলখানা হত্যাকান্ডের সুষ্ঠ তদন্ত ও নিরপরাধ বিডিআর সদস্যদের চাকুরিতে পুনর্বহালের দাবীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত Logo জগন্নাথপুরের ওসি মোখলেছুর রহমান আকন্দকে শিবির কর্মী বলে প্রচারণা চালানোয় জগন্নাথপুর উপজেলা জামায়াতের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ। Logo শান্তিগঞ্জের জয়সিদ্ধি-বসিউয়াখাউরী গ্রামে বিএনপির কর্মী সভা Logo জগন্নাথপুরে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত Logo জগন্নাথপুর উপজেলার ৬ নং রাণীগঞ্জ ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর কমিটি গঠন Logo পরিবেশ নষ্ট করে কোন বাঁধ নির্মাণ হবেনা – পরিবেশ উপদেষ্টা Logo হাওরের জন্য সরকারের মাস্টার প্লান আছে- উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান

বিজয়ের মাসের স্মৃতিচারণ- আব্দুজ জাহির

ডিসেম্বর মাস, বিজয়ের মাস। মুক্তিযুদ্ধে আমাদের পরিবার ও আত্মীয় স্বজন যারা মুক্তি যুদ্ধে জীবন মরন লড়েছিলেন তাদের কথা না লিখে কি হয়?
মরহুম আলহাজ্ব মোঃ আব্দুল কুদ্দুস আমার মামা ও মরহুম মোঃ আবদুল আউয়াল আমার মিয়া ভাই যাদের একনামে সুনামগঞ্জ জেলার সবাই জানতো ও চিনতো। ছিলেন মুক্তি যুদ্ধের সংগঠক ও মুক্তিযোদ্ধা। ছিলেন দিরাই উপজেলা আওয়ামিলীগের কর্ণধার। আজ এ দু’জন পৃথিবীতে নেই। সবার কাছ বিস্মৃতির অন্তরালে হলেও তাদের কর্মফল দেশ থেকে মুছে ফেলা যাবে না।
বীর মুক্তিযোদ্ধা আতাউর মিয়া আমার মামা, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল করিম আমার ইমেডিয়েট বড় ভাই। তিনি ৬ ডিসেম্বর শ্যামারচর সম্মুখ যুদ্ধে বুকে গুলি খেয়েও দীর্ঘ দিন চিকিৎসার পর বেঁচে গিয়েছিলেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা নায়েক সুবাদার ফয়জুর রহমান আমার চাচাতো ভাই, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ সাদিক মিয়া মাষ্টার আমার ভাতিজা, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আবদুল কাইয়ুম আমার আরেক মামা।
নয় মাস যুদ্ধের পর আবার তাদের সাথে দেখা হবে এমন ধারণা আমাদের ছিল না। তারা সেই অসম্ভবকে জয় করে বীর বিক্রমে নিজ গৃহে ফিরে এসেছিলেন। কারণ আল্লাহ সহায় ছিলেন। যুদ্ধ ছিল অন্যায়ের বিরুদ্ধে সত্যের যুদ্ধ।
তারা যুদ্ধ করেছিলেন বঙ্গবন্ধুর ডাকে কেবল তাদের পরিবার বা গোষ্ঠীর জন্য নয়। বাংলাদেশের মানুষের স্বাধীনতার জন্য মুক্তির জন্য । এই সফলতাই তাদের জীবনের সার্থকতা।
বিজয় মাসের স্মৃতিচারণ করে জীবিত পাঁচজনকে জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা। কামনা করি দীর্ঘায়ু।
মরহুম দু’জনের আত্মার মাগফিরাত কামনা করি এবং আল্লাহ যেন তাদের কবরকে জান্নাতুল ফেরদৌসের মোকাম দান করেন, আমিন।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

Janasarthe 24

আপনাদের আশে পাশে ঘটে যাওয়া প্রতি মুহুর্তের খবর দিয়ে আমাদের সহযোগীতা করুন। আমরা আমাদের অনলাইনে তা প্রকাশ করে কৃতজ্ঞ হবো। আমাদের প্রতি মুহুর্তের খবর জানতে আমাদের সাথে থাকুন
জনপ্রিয় সংবাদ

জুলাই-আগষ্টের ছাত্র-জনতার গণঅদ্ভুত্থানে আহত ও শহীদদের স্মরণে ছাতকে স্মরণ সভা

বিজয়ের মাসের স্মৃতিচারণ- আব্দুজ জাহির

আপডেট সময় ১১:০১:১৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২২

ডিসেম্বর মাস, বিজয়ের মাস। মুক্তিযুদ্ধে আমাদের পরিবার ও আত্মীয় স্বজন যারা মুক্তি যুদ্ধে জীবন মরন লড়েছিলেন তাদের কথা না লিখে কি হয়?
মরহুম আলহাজ্ব মোঃ আব্দুল কুদ্দুস আমার মামা ও মরহুম মোঃ আবদুল আউয়াল আমার মিয়া ভাই যাদের একনামে সুনামগঞ্জ জেলার সবাই জানতো ও চিনতো। ছিলেন মুক্তি যুদ্ধের সংগঠক ও মুক্তিযোদ্ধা। ছিলেন দিরাই উপজেলা আওয়ামিলীগের কর্ণধার। আজ এ দু’জন পৃথিবীতে নেই। সবার কাছ বিস্মৃতির অন্তরালে হলেও তাদের কর্মফল দেশ থেকে মুছে ফেলা যাবে না।
বীর মুক্তিযোদ্ধা আতাউর মিয়া আমার মামা, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল করিম আমার ইমেডিয়েট বড় ভাই। তিনি ৬ ডিসেম্বর শ্যামারচর সম্মুখ যুদ্ধে বুকে গুলি খেয়েও দীর্ঘ দিন চিকিৎসার পর বেঁচে গিয়েছিলেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা নায়েক সুবাদার ফয়জুর রহমান আমার চাচাতো ভাই, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ সাদিক মিয়া মাষ্টার আমার ভাতিজা, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আবদুল কাইয়ুম আমার আরেক মামা।
নয় মাস যুদ্ধের পর আবার তাদের সাথে দেখা হবে এমন ধারণা আমাদের ছিল না। তারা সেই অসম্ভবকে জয় করে বীর বিক্রমে নিজ গৃহে ফিরে এসেছিলেন। কারণ আল্লাহ সহায় ছিলেন। যুদ্ধ ছিল অন্যায়ের বিরুদ্ধে সত্যের যুদ্ধ।
তারা যুদ্ধ করেছিলেন বঙ্গবন্ধুর ডাকে কেবল তাদের পরিবার বা গোষ্ঠীর জন্য নয়। বাংলাদেশের মানুষের স্বাধীনতার জন্য মুক্তির জন্য । এই সফলতাই তাদের জীবনের সার্থকতা।
বিজয় মাসের স্মৃতিচারণ করে জীবিত পাঁচজনকে জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা। কামনা করি দীর্ঘায়ু।
মরহুম দু’জনের আত্মার মাগফিরাত কামনা করি এবং আল্লাহ যেন তাদের কবরকে জান্নাতুল ফেরদৌসের মোকাম দান করেন, আমিন।