ইউক্রেনজুড়ে নতুন করে ব্যাপক মিসাইল হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এতে পূর্বাঞ্চলীয় শহর ডিনিপ্রোতে কমপক্ষে ১২ জন নিহত হয়েছেন। মূলত ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় এই শহরটির একটি অ্যাপার্টমেন্ট ব্লকে রুশ মিসাইল আঘাত হানলে প্রাণহানির এই ঘটনা ঘটে।
দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় শহর দানিপ্রোর একটি অ্যাপার্টমেন্ট ব্লকে এই হামলার ঘটনা ঘটে। এছাড়া কিয়েভ, খারকিভ ও ওডেসা শহরেও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে। শহরগুলোর বিদ্যুৎ স্থাপনায় ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানায় ইউক্রেনের বেশিরভাগ এলাকা এখন জরুরি ব্ল্যাকআউট বা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে।
এর আগে যুক্তরাজ্য জানিয়েছিল, ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা জোরালো করতে তারা দেশটিকে ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর অন্যতম শক্তিশালী যুদ্ধাস্ত্র চ্যালেঞ্জার-২ ট্যাঙ্ক সরবরাহ করবে।
এ বিষয়ে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক বলেছেন, এসব ট্যাঙ্ক রাশিয়ান বাহিনীকে ইউক্রেন থেকে সরাতে সহায়তা করবে।
তবে এর পাল্টা জবাবে রাশিয়া বলেছে, ইউক্রেনকে আরও অস্ত্র দেওয়া হলে তা রাশিয়ার অভিযানকে আরও ব্যাপক করে তুলবে। তাতে অনেক বেশি সাধারণ মানুষ হতাহত হবে।
শনিবার রাতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদামির জেলেনস্কি বলেছেন, পশ্চিমা দেশগুলো যদি প্রয়োজনীয় অস্ত্রশস্ত্র সরবরাহ করে, তাহলে বেসামরিক লক্ষ্যবস্তুতে রাশিয়ার হামলা ঠেকানো সম্ভব।
ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার বিষয়ে তিনি জানিয়েছেন, ইউক্রেনের বাহিনী ২০ থেকে ৩০টি ক্ষেপণাস্ত্র আকাশেই ধ্বংস করে দিয়েছে।
এই ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় সবচেয়ে বেশি হতাহতের ঘটনা ঘটেছে দানিপ্রো শহরে। সেখানকার একটি নয় তলা ভবনের প্রবেশমুখে ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত করলে বেশ কয়েকটি তলা ধূলিসাৎ হয়ে যায়।
ইউক্রেনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ওই আঘাতে অন্তত ৭৩ জন আহত হয়েছে যাদের মধ্যে ১৪টি শিশুও রয়েছে। গত কয়েক মাসের মধ্যে এটাই সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা।