গত ১৪ জানুয়ারি দানিপ্রোর একটি আবাসিক ভবনে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ঘটনা ঘটে। ইউক্রেনে দাবি করে রাশিয়া এ হামলা চালিয়েছে। তবে রাশিয়া দাবি করে, তাদের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র ঠেকাতে পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে ইউক্রেন। যেটির আঘাতে রুশ ক্ষেপণাস্ত্রটি আবাসিক ভবনের ওপর গিয়ে পড়ে। ওই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪৪ জন নিহত হয়েছেন। নিখোঁজ আছেন আরও ২০ জন। এ বিষয়ে জেলেনস্কির উপদেষ্টা অলেক্সি আরেস্তোভিচ বলেছিলেন, ইউক্রেনের সেনাদের কারণেই হয়তো ওই আবাসিক ভবনে ক্ষেপণাস্ত্র পড়েছে। তার এ মন্তব্যকে ভিত্তি করে রাশিয়ায় পরবর্তীতে এ ঘটনার জন্য ইউক্রেনকে পুরোপুরি দায়ী করে প্রচারণা চালানো হয়।
ওলেক্সি আরেস্তোভিচ যুদ্ধ শুরুর পর ইউক্রেন এবং রাশিয়া দুই দেশেই বেশ পরিচিত হয়ে ওঠেছেন। কারণ ইউটিউবে যুদ্ধ নিয়ে নিয়মিত আপডেট দেন তিনি।
সাধারণ মানুষের রোষানলে পড়ার পর আরেস্তোভিচ একটি বিবৃতিতে নিজের পদত্যাগ করার কথা জানান। বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, ‘আমি ভিকটিম ও তাদের পরিবার, দানিপ্রোর বাসিন্দা এবং বাকি সবার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি, যারা দানিপ্রোর আবাসিক ভবনে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা নিয়ে আমার ভুল তথ্যের কারণে কষ্ট পেয়েছেন।’
ওলেক্সি আরেস্তোভিচের পদত্যাগ নিয়ে এখন পর্যন্ত মুখ খোলেননি প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তবে ইউক্রেনের অন্যান্য রাজনীতিবীদরা তার সমালোচনা করে পদত্যাগ দাবি করেছিলেন।