বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত ফরাসি সন্ন্যাসিনী লুসিল র্যান্ডন ১১৮ বছর বয়সে মারা গেছেন। তিনি ১৯০৪ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। তাকে ইউরোপের সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তি হিসেবেও স্বীকৃতি দেয়া হয়েছিলো। ফ্রান্সের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর আলেসে তিনি একটি প্রোটেস্ট্যান্ট পরিবারে জন্মগ্রহণ করে বেড়ে ওঠেন।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানায়, মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) দক্ষিণ ফরাসি শহর টউলনের সেন্ট-ক্যাথরিন-লাবোর নার্সিং হোমে ঘুমের মধ্যে মারা যান র্যান্ডন।
ওই নার্সিং হোমের মুখপাত্র ডেভিড তাভেলা জানান, খুব কষ্ট লাগছে। তবে মৃত্যুর মধ্য দিয়ে তার মুক্তি হলো। জেরোন্টোলজি রিসার্চ গ্রুপের( জিআরবি) ওয়ার্ল্ড সুপারসেন্টেনারিয়ান র্যাঙ্কিং অনুযায়ী বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তি ছিলেন তিনি।
গত বছর ১১৯ বছর বয়সে জাপানের কেন তানাকার মৃত্যুর পরে বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক হন র্যান্ডন। ২০২২ সালের এপ্রিলে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক মানুষের স্বীকৃতি দেয়।
যে বছর নিউইয়র্ক তার প্রথম পাতাল রেল চালু করেছিলো সেই বছরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন র্যান্ডন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ সংঘটিত হতে তখনও এক দশক বাকি ছিলো।
২৬ বছর বয়সে তিনি ক্যাথলিক হিসেবে দিক্ষা গ্রহণ করেন। র্যান্ডন এ সময় সিস্টার আন্দ্রে নাম নেন। পরে ৪১ বছর বয়সে ফ্রান্সের একটি হাসপাতালে নিয়োগ পান। সেখানে তিনি ৩১ বছর ধরে কাজ করেছেন।
২০২১ সালে তিনি কোভিডে আক্রান্ত হয়েছিলেন। সাংবাদিকদের তিনি জানান, কাজ এবং মানুষকে সহযোগিতা করার মানসিকরা তাকে বেঁচে থাকতে সাহায্য করে। তিনি বলেছিলেন, লোকেরা বলে যে, কাজ মানুষের আয়ু কমিয়ে দেয়। তবে কাজ আমাকে বাঁচিয়ে রেখেছে, আমি ১০৮ বছর বয়স পর্যন্ত কাজ করেছি।
নার্সিং হোম কর্তৃপক্ষ জানায়, জীবনের শেষদিকে তিনি অন্ধ হয়ে যান। এ সময় তার হুইলচেয়ারে চলাফেরা করতে হতো তাকে। তিনি প্রায়ই তার ভাইদের কথা বলতেন এবং ভাবতেন মৃত্যুর পর তাদের সঙ্গে আবারও দেখা হবে।