ঢাকা , সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
Logo ল্যাব সংস্কারের টাকা আত্মসা শাল্লায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে তুলে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোব! Logo শান্তিগঞ্জে জামায়াতের উদ্যোগে সিরাত মাহফিল ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান Logo অনৈতিক প্রস্তাবে রাজি নয়, বিধবা কার্ড বাতিলের অভিযোগ Logo বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় সীমান্তিকের উদ্যাগে বিশ্ব গর্ভনিরোধ দিবস উদযাপন Logo সিলেটে পাথরবাহী ট্রাকের নিচে চাপা পড়ে ঔষধ কোম্পানীর এরিয়া ম্যানেজার নিহত Logo পাথারিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃআলী নেওয়াজের ইন্তেকাল Logo শান্তিগঞ্জে শিক্ষার মানোন্নয়নে একত্রে তিনটি বিদ্যালয়ের অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত Logo সাংবাদিক রুহুল আমিন গাজী আর নেই Logo দুর্যোগ ব্যবস্থা কমিটির সভা Logo ছিনতাই করে পালোনোর সময় সিএনজি সহ চার ছিনতাইকারী জনতার হাতে আটক

ঘরে খাবার নেই, আর্থিক সংকটে স্কুল থেকে ঝরে পড়ছে শিক্ষার্থীরা

শ্রীলঙ্কার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে একটি বস্ত্র কারখানায় কাজ করেন প্রিয়দর্শিনী। চরম অভাবে অনটনে দিন পার করতে হচ্ছে তাকে ও তার পরিবারকে।  ঘরে তার খাবার না থাকায় সন্তানদের স্কুলে পাঠাতে পারছেন না তিনি। চরম অর্থনৈতিক সংকটের মুখে তার পরিবার এখন দিনে মাত্র একবার কিছু সবজি দিয়ে ভাত খাচ্ছে। কোনো কোনো দিন তা-ও জুটছে না। বাড়িতে খাবার নেই, চাল-ডাল কেনার পয়সা নেই। এ অবস্থায় সন্তানদের কীভাবে স্কুলে পাঠাবেন তা ভেবে কুল পাচ্ছেন না এ লঙ্কান নারী। খবর ডয়েচে ভেলের।

প্রিয়দর্শিনী একাই নন, একই দশা শ্রীলঙ্কার আরও অনেকের। দেশটির বহু এলাকায় যথেষ্ট খাবার পাওয়া যাচ্ছে না। পেলেও দাম আকাশছোঁয়া। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন প্রিয়দর্শিনীর মতো গরিব মানুষেরা।

সাম্প্রতিক জরিপ বলছে, গত মাসে শ্রীলঙ্কার ৩৬ শতাংশ পরিবার নিয়মিত খাবার পায়নি। গত জুনে ইউনিসেফ জানিয়েছিল, দক্ষিণ এশিয়ার দ্বীপরাষ্ট্রটিতে অন্তত ৫৬ হাজার শিশু অপুষ্টিতে ভুগছে।

খালি পেটে পড়াশোনা হয় না। প্রিয়দর্শিনী জানান স্কুলে কিছু শিশু টিফিন বিরতিতে খাবার খাচ্ছে। কিন্তু আমার বাচ্চাদের কাছে কোনো খাবার নেই। আমি কীভাবে ওদের স্কুলে পাঠাবো?

প্রিয়দর্শিনীর ১৩ বছর বয়সী ছেলে তবু জোর করে স্কুলে যাচ্ছে। খালি পেটেই পড়াশুনা চালিয়ে যেতে চেয়েছে সে। কিন্তু ছয় বছরের মেয়ে কী করবে? অতটুকু বাচ্চা তো ক্ষুধা ভুলে পড়তে পারে না।

খাবার না পাওয়ায় কতজন শিশু স্কুলে যাচ্ছে না, সেই সংখ্যা জানায়নি শ্রীলঙ্কার সরকার। তবে গত জুন মাসে জাতিসংঘের প্রতিবেদন বলছে, যেসব স্কুলে খাবার দেওয়া হয় না, সেখানে শিশু শিক্ষার্থীরা যাচ্ছে না।

ইউনিসেফের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, কিছু এলকায় শিশুদের স্কুলে যাওয়ার হার কমে ৭৫ থেকে ৮০ শতাংশ দাঁড়িয়েছে।

শ্রীলঙ্কার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব তারা ডি মেল বলেছেন, খাবার পেলেই শিশুরা স্কুলে ফিরবে। না হলে গ্রামের দিকে বা যেসব স্কুলে গরিব শিশুরা পড়ে, তারা খালি পেটে স্কুলে যাবে না।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

Janasarthe 24

আপনাদের আশে পাশে ঘটে যাওয়া প্রতি মুহুর্তের খবর দিয়ে আমাদের সহযোগীতা করুন। আমরা আমাদের অনলাইনে তা প্রকাশ করে কৃতজ্ঞ হবো। আমাদের প্রতি মুহুর্তের খবর জানতে আমাদের সাথে থাকুন
জনপ্রিয় সংবাদ

ল্যাব সংস্কারের টাকা আত্মসা শাল্লায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে তুলে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোব!

ঘরে খাবার নেই, আর্থিক সংকটে স্কুল থেকে ঝরে পড়ছে শিক্ষার্থীরা

আপডেট সময় ০৯:৩১:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৩

শ্রীলঙ্কার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে একটি বস্ত্র কারখানায় কাজ করেন প্রিয়দর্শিনী। চরম অভাবে অনটনে দিন পার করতে হচ্ছে তাকে ও তার পরিবারকে।  ঘরে তার খাবার না থাকায় সন্তানদের স্কুলে পাঠাতে পারছেন না তিনি। চরম অর্থনৈতিক সংকটের মুখে তার পরিবার এখন দিনে মাত্র একবার কিছু সবজি দিয়ে ভাত খাচ্ছে। কোনো কোনো দিন তা-ও জুটছে না। বাড়িতে খাবার নেই, চাল-ডাল কেনার পয়সা নেই। এ অবস্থায় সন্তানদের কীভাবে স্কুলে পাঠাবেন তা ভেবে কুল পাচ্ছেন না এ লঙ্কান নারী। খবর ডয়েচে ভেলের।

প্রিয়দর্শিনী একাই নন, একই দশা শ্রীলঙ্কার আরও অনেকের। দেশটির বহু এলাকায় যথেষ্ট খাবার পাওয়া যাচ্ছে না। পেলেও দাম আকাশছোঁয়া। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন প্রিয়দর্শিনীর মতো গরিব মানুষেরা।

সাম্প্রতিক জরিপ বলছে, গত মাসে শ্রীলঙ্কার ৩৬ শতাংশ পরিবার নিয়মিত খাবার পায়নি। গত জুনে ইউনিসেফ জানিয়েছিল, দক্ষিণ এশিয়ার দ্বীপরাষ্ট্রটিতে অন্তত ৫৬ হাজার শিশু অপুষ্টিতে ভুগছে।

খালি পেটে পড়াশোনা হয় না। প্রিয়দর্শিনী জানান স্কুলে কিছু শিশু টিফিন বিরতিতে খাবার খাচ্ছে। কিন্তু আমার বাচ্চাদের কাছে কোনো খাবার নেই। আমি কীভাবে ওদের স্কুলে পাঠাবো?

প্রিয়দর্শিনীর ১৩ বছর বয়সী ছেলে তবু জোর করে স্কুলে যাচ্ছে। খালি পেটেই পড়াশুনা চালিয়ে যেতে চেয়েছে সে। কিন্তু ছয় বছরের মেয়ে কী করবে? অতটুকু বাচ্চা তো ক্ষুধা ভুলে পড়তে পারে না।

খাবার না পাওয়ায় কতজন শিশু স্কুলে যাচ্ছে না, সেই সংখ্যা জানায়নি শ্রীলঙ্কার সরকার। তবে গত জুন মাসে জাতিসংঘের প্রতিবেদন বলছে, যেসব স্কুলে খাবার দেওয়া হয় না, সেখানে শিশু শিক্ষার্থীরা যাচ্ছে না।

ইউনিসেফের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, কিছু এলকায় শিশুদের স্কুলে যাওয়ার হার কমে ৭৫ থেকে ৮০ শতাংশ দাঁড়িয়েছে।

শ্রীলঙ্কার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব তারা ডি মেল বলেছেন, খাবার পেলেই শিশুরা স্কুলে ফিরবে। না হলে গ্রামের দিকে বা যেসব স্কুলে গরিব শিশুরা পড়ে, তারা খালি পেটে স্কুলে যাবে না।