সুনামগঞ্জের দিরাইয়ের টংগর গ্রামের কৃতি সন্তান লন্ডন প্রবাসী শাহ আদিল কুটি মিয়া একজন বিশিষ্ট সমাজসেবক এবং শিক্ষানরাগী হিসেবে পরিচিত। শিক্ষার প্রতি উদার বিচক্ষন মনোভাবের ফলে তিনি প্রতিষ্ঠা গড়েছেন অত্র এলাকার সুনামধন্য বিদ্যাপিট আলহাজ্ব আব্দুল মতলিব উচ্চ বিদ্যালয়। এছাড়াও তিনি এলাকার যুব সমাজকে সঠিক পথ পরিচালিত করার লক্ষ্যে গড়ে তুলেছেন মাহির মাহির হোসাইন ফুটবল একাডেমি।
শিক্ষার প্রতি উদার মনোভাবের দরুন তাঁর স্বযত্নে গড়া “আলহাজ্ব আব্দুল মতলিব উচ্চ বিদ্যালয়” এর পক্ষ থেকে শাহ আদিল কুটি মিয়াকে সংবর্ধনা ও সম্মাননা স্বারক প্রদান করা করেছে।
আলহাজ্ব আব্দুল মতলিব উচ্চ বিদ্যালয় এর প্রধান শিক্ষক লুৎফুর রহমান এর সভাপতিত্বে ও আব্দুল কাদির এর সঞ্চালনায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত অতিথি হিসাবে ছিলেন- আলহাজ্ব আব্দুল মতলিব উচ্চ বিদ্যালয় এর প্রতিষ্ঠাতা বিশিষ্ট সমাজসেবক লন্ডন প্রবাসী শাহ আদিল কুটি মিয়া। প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন- দিরাই ৯নং কুলঞ্জ ইউনিয়নের জননন্দিত চেয়ারম্যান একরাব হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসাবে ছিলেন- আলহাজ্ব আব্দুল মতলিব উচ্চ বিদ্যালয় এর সভাপতি মোঃ সুজন মিয়া, উপদেষ্ঠা কমিঠির মোঃ চুনু মিয়া, গোলাম রব্বানী, ২নং ওয়ার্ডের জনপ্রিয় ইউপি মেম্বার আব্দুল ওয়াদুদ খান, ইউপি মেম্বার জুয়েল চৌধুরী প্রমুখ।
বক্তারা বলেন- বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা আলহাজ্ব মাসুক মিয়া ছিলেন এক মহতি ব্যক্তি। বিগত ২০০০ সালের ১ জানুয়ারী বিদ্যালয়টি স্থাপিত হয়। সূচনালগ্নসহ বর্তমানে সমাজসেবক ও শিক্ষানুরাগী যুক্তরাজ্য প্রবাসী শাহ আদিল কুটি মিয়া সকল ব্যায় চালিয়ে যাচ্ছেন। আজ তাকে বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা ও সম্মাননা স্বারক প্রদান করায় আয়োজক কমিঠিকে ধন্যবাদ। এ ব্যপারে জানতে চাইলে আলহাজ্ব আব্দুল মতলিব উচ্চ বিদ্যালয় এর প্রতিষ্ঠাতা বিশিষ্ট সমাজসেবক লন্ডন প্রবাসী শাহ আদিল কুটি মিয়া বলেন- ২০০০ সাল থেকে ২০২৩খ্রি. পর্যন্ত আমার ও আমার ছেলে-মেয়ের লন্ডনে পরিশ্রম করে জমানো অর্থ দিয়ে বিদ্যালয়ের খরচ বহন করছি। আমার মৃত্যুরপর আমার পুত্র মোঃ মাহির হোসেন বিদ্যালয়ের সকল খরচ বহন করবে ইনশাআল্লাহ। আমি প্রত্যাশা রাখি, এই বিদ্যালয় সুনামগঞ্জ জেলার মধ্যে শ্রেষ্ঠত্বের স্বীকৃতি পাবে। শিক্ষার্থীরা এ বিদ্যালয়ের সুনাম অতীতে যেমন অর্জন করেছে, ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত রাখবে। অনুষ্ঠান শেষে অতিথিবৃন্দরা সম্মানানা স্বারক তুলে দেন।