৫০ লাখ টাকা যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে মারধর করার অভিযোগে সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) রুবেল হককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খানের সই করা প্রজ্ঞাপনে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
এতে বলা হয়, রাজশাহী রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ের সহকারী পুলিশ সুপার এর আগে খাগড়াছড়ি এপিবিএন এবং বিশেষায়িত ট্রেনিং সেন্টারের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. রুবেল হককে বিএসআর পার্ট-১-এর বিধি ৭৩-এর নোট ২ অনুযায়ী সরকারি চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা সমীচীন মর্মে প্রতীয়মান হওয়ায় তাকে চাকরি হতে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো। তিনি বাংলাদেশ সার্ভিস রুল (বিএসআর) পার্ট-১, বিধি-৭১ মোতাবেক খোরাকি ভাতা প্রাপ্য হবেন। জনস্বার্থে জারিকৃত এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।
গত বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স থেকে তৎকালীন আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদের সই করা বদলি-সংক্রান্ত এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে নির্যাতন করা সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) রুবেল হককে টাঙ্গাইলের মহেড়া পুলিশ ট্রেনিং সেন্টার থেকে খাগড়াছড়ির মহালছড়ির ষষ্ঠ এপিবিএনে বদলি করা হলো।
২০২১ সালের ৩১ মে নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলার চকযাদু গ্রামের আফজাল হোসেনের মেয়ে সায়মা সুলতানা সিমির সঙ্গে এএসপি রুবেলের বিয়ে হয়। তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার তেররশিয়া গ্রামের জারজিস আলী মধুর ছেলে।
জানা যায়, ৫০ লাখ টাকা যৌতুকের জন্য প্রায়ই স্ত্রীকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতেন রুবেল। এ ঘটনায় তার স্ত্রী ২০২২ সালের ৬ সেপ্টেম্বর টাঙ্গাইল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে রুবেল, তার বাবা জারজিস আলী মধু, মা নাসিমা বেগম ও বোন নাসরিন খাতুনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক শুনানি শেষে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে ঘটনার তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন এবং মির্জাপুর থানাকে মামলা নেওয়ার জন্য আদেশ দেন।