বরিশালের উজিরপুর মডেল থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মেহেদী হাসান মিলন বলেন, যখন মামলাটি হয়েছিল তখন ফিরোজ যুবক ছিলেন। তার স্ত্রী সন্তানও ছিল, তবে তাদের ফেলে আত্মগোপনে চলে যান ফিরোজ।
গ্রেপ্তার ফিরোজ বরিশালের উজিরপুর উপজেলার বামরাইল ইউনিয়নের কালিহাতা গ্রামের আবদুল মজিদ মল্লিকের ছেলে।
পুলিশের ভাষ্য, চুরির ঘটনায় ১৯৯৩ সালে মামলা হয় ফিরোজের বিরুদ্ধে। মামলার পরপরই তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়। এরপর সাক্ষ্য প্রমানের মধ্য দিয়ে বিচারিক কাজ শেষে ফিরোজকে ৩ বছরের কারাদণ্ড দেয় আদালত। আর ওই সাজা এড়াতে ছদ্মবেশে নাম পরিবর্তন করে দীর্ঘ প্রায় ৩০ বছর তিনি দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পালিয়ে বেড়ান। এমনকি পুলিশের হাতে ধরা পড়ার ভয়ে মোবাইল ফোনও ব্যবহার করতেন না ফিরোজ।
বরিশালের উজিরপুর মডেল থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মেহেদী হাসান মিলন বলেন, ‘যখন মামলাটি হয়েছিল তখন ফিরোজ যুবক ছিলেন। তার স্ত্রী সন্তানও ছিল, তবে তাদের ফেলে আত্মগোপনে চলে যান ফিরোজ। সবশেষ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বরিশালের গৌরনদী থানাধীন একটি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।’
উজিরপুর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তৌহিদুজ্জামান বলেন, ‘ মামলায় সাজা হওয়ার পর পলাতক থাকায় ফিরোজের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়, তবে তিনি তখন থেকেই পালিয়ে ছিলেন। অবশেষে ৩০ বছর পর তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।