ঢাকা , বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
Logo জুলাই-আগষ্টের ছাত্র-জনতার গণঅদ্ভুত্থানে আহত ও শহীদদের স্মরণে ছাতকে স্মরণ সভা Logo বালি মহালে ইজারা পদ্বতি বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন Logo ছাতকে আওয়ামিলীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার Logo পিলখানা হত্যাকান্ডের সুষ্ঠ তদন্ত ও নিরপরাধ বিডিআর সদস্যদের চাকুরিতে পুনর্বহালের দাবীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত Logo জগন্নাথপুরের ওসি মোখলেছুর রহমান আকন্দকে শিবির কর্মী বলে প্রচারণা চালানোয় জগন্নাথপুর উপজেলা জামায়াতের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ। Logo শান্তিগঞ্জের জয়সিদ্ধি-বসিউয়াখাউরী গ্রামে বিএনপির কর্মী সভা Logo জগন্নাথপুরে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত Logo জগন্নাথপুর উপজেলার ৬ নং রাণীগঞ্জ ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর কমিটি গঠন Logo পরিবেশ নষ্ট করে কোন বাঁধ নির্মাণ হবেনা – পরিবেশ উপদেষ্টা Logo হাওরের জন্য সরকারের মাস্টার প্লান আছে- উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান

তুরস্কের ভূমিকম্প ১০০ বছরের বেশি সময়ের মধ্যে সবচেয়ে বড় ছিল

তুরস্কের কাহরামানমারাস প্রদেশে এমন ভূমিকম্প ১০০ বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে সবচেয়ে বড় ছিল। সুইস সিসমোলজিস্ট স্টেফান উইমার এ মন্তব্য করেছেন।

বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সুইস সিসমোলজি সার্ভিসের পরিচালক স্টেফান উইমার জানান, তুরস্ক ও সিরিয়ার সীমান্ত অঞ্চলে চলতি সপ্তাহে যে বড় ধরনের ভূমিকম্প হয়েছে সেটি গত একশ বছরের বেশি সময়ও দেখেনি কাহরামানমারাসের মানুষ। সুইস টেলিভিশন চ্যানেল এসআরএফ, যেটি জার্মান থেকে সম্প্রচার হয় সেটিতে এক সাক্ষাৎকারে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

সোমবারের ৭ দশমিক ৭ ও ৭ দশমিক ৬ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলের ১০টি শহর। বৃহস্পতিবার, তুরস্কের ভাইস প্রেসিডেন্ট জানান, দেশটিতে এ পর্যন্ত ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ৬৭৪ জনে। আহত হয়েছেন ৭২ হাজার ৮৭৯ জন।

উইমার বলেন, এটা কোনো কাকতালীয় ঘটনা নয় যে এই দুই দেশের মধ্যে প্রায়ই শক্তিশালী ভূমিকম্প হয়। এই অঞ্চলে টেকটনিক প্লেটের ফল্ট রয়েছে। তিনি জানান, বহু বছর ধরে এই অঞ্চল ঘিরে শঙ্কা ছিল। এখানে পূর্ব আনাতোলিয়ান ফল্ট রয়েছে, যেখানে আলোড়ন শুরু হয় এবং নিষ্কাশন হয়। তিনি এটাও বলেন, এতো বড় ভূমিকম্প সত্যিই বিরল।

তিনি আরও বলেন, এ ধরনের বড় ভূমিকম্পের পর, দিন, সপ্তাহ এমনকি কয়েক মাস পরপর আবারও ভূমিকম্প হয়। উইমার বলেন, তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এগুলোর তীব্রতা সাধারণত কমে যায়।

দ্য ইকোনমিস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভূত্বকের টেকটোনিক প্লেটগুলোর নড়াচড়ার কারণে ভূমিকম্প হয়। প্লেটগুলোর আকার পরিবর্তিত হয়। দুটি টেকটোনিক প্লেটের মাঝে আছে ফল্ট লাইন। ভূমিকম্প সাধারণত এই ফল্ট লাইনের আশপাশে হয়ে থাকে। টেকটোনিক প্লেটগুলো ধীরে ধীরে সরে যায় এবং কখনও কখনও সঙ্গে লেগে থাকে আবার কখনও ফল্ট লাইনে কম্পন তৈরি করে। যখন এটি খুব বেশি বৃদ্ধি পায়, তখনই ভয়াবহ ভূ-কম্পন্ন অনুভূত হয়। যেটি তুরস্ক-সিরিয়ায় ঘটেছে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

Janasarthe 24

আপনাদের আশে পাশে ঘটে যাওয়া প্রতি মুহুর্তের খবর দিয়ে আমাদের সহযোগীতা করুন। আমরা আমাদের অনলাইনে তা প্রকাশ করে কৃতজ্ঞ হবো। আমাদের প্রতি মুহুর্তের খবর জানতে আমাদের সাথে থাকুন
জনপ্রিয় সংবাদ

জুলাই-আগষ্টের ছাত্র-জনতার গণঅদ্ভুত্থানে আহত ও শহীদদের স্মরণে ছাতকে স্মরণ সভা

তুরস্কের ভূমিকম্প ১০০ বছরের বেশি সময়ের মধ্যে সবচেয়ে বড় ছিল

আপডেট সময় ০৩:৩৭:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

তুরস্কের কাহরামানমারাস প্রদেশে এমন ভূমিকম্প ১০০ বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে সবচেয়ে বড় ছিল। সুইস সিসমোলজিস্ট স্টেফান উইমার এ মন্তব্য করেছেন।

বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সুইস সিসমোলজি সার্ভিসের পরিচালক স্টেফান উইমার জানান, তুরস্ক ও সিরিয়ার সীমান্ত অঞ্চলে চলতি সপ্তাহে যে বড় ধরনের ভূমিকম্প হয়েছে সেটি গত একশ বছরের বেশি সময়ও দেখেনি কাহরামানমারাসের মানুষ। সুইস টেলিভিশন চ্যানেল এসআরএফ, যেটি জার্মান থেকে সম্প্রচার হয় সেটিতে এক সাক্ষাৎকারে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

সোমবারের ৭ দশমিক ৭ ও ৭ দশমিক ৬ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলের ১০টি শহর। বৃহস্পতিবার, তুরস্কের ভাইস প্রেসিডেন্ট জানান, দেশটিতে এ পর্যন্ত ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ৬৭৪ জনে। আহত হয়েছেন ৭২ হাজার ৮৭৯ জন।

উইমার বলেন, এটা কোনো কাকতালীয় ঘটনা নয় যে এই দুই দেশের মধ্যে প্রায়ই শক্তিশালী ভূমিকম্প হয়। এই অঞ্চলে টেকটনিক প্লেটের ফল্ট রয়েছে। তিনি জানান, বহু বছর ধরে এই অঞ্চল ঘিরে শঙ্কা ছিল। এখানে পূর্ব আনাতোলিয়ান ফল্ট রয়েছে, যেখানে আলোড়ন শুরু হয় এবং নিষ্কাশন হয়। তিনি এটাও বলেন, এতো বড় ভূমিকম্প সত্যিই বিরল।

তিনি আরও বলেন, এ ধরনের বড় ভূমিকম্পের পর, দিন, সপ্তাহ এমনকি কয়েক মাস পরপর আবারও ভূমিকম্প হয়। উইমার বলেন, তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এগুলোর তীব্রতা সাধারণত কমে যায়।

দ্য ইকোনমিস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভূত্বকের টেকটোনিক প্লেটগুলোর নড়াচড়ার কারণে ভূমিকম্প হয়। প্লেটগুলোর আকার পরিবর্তিত হয়। দুটি টেকটোনিক প্লেটের মাঝে আছে ফল্ট লাইন। ভূমিকম্প সাধারণত এই ফল্ট লাইনের আশপাশে হয়ে থাকে। টেকটোনিক প্লেটগুলো ধীরে ধীরে সরে যায় এবং কখনও কখনও সঙ্গে লেগে থাকে আবার কখনও ফল্ট লাইনে কম্পন তৈরি করে। যখন এটি খুব বেশি বৃদ্ধি পায়, তখনই ভয়াবহ ভূ-কম্পন্ন অনুভূত হয়। যেটি তুরস্ক-সিরিয়ায় ঘটেছে।