ভারতের পশ্চিমবঙ্গের একটি সীমান্তবর্তী গ্রামের নারী ও শিশুদের ওপরে বিএসএফ সদস্যরা লাঠিচার্জ করেছেন, এই অভিযোগের সরেজমিন তদন্তে শনিবার একটি মানবাধিকার সংগঠন সেখানে গিয়েছিল।গত আট ফেব্রুয়ারি বিএসএফ যন্ত্রপাতি নিয়ে এসে বেড়ার কাজ শুরু করলে বিক্ষোভ দেখান দুশো নারী ও শিশু।মানবাধিকার সংগঠন এপিডিআর বলছে মলুয়াপাড়া নামের ওই গ্রামটির মানুষ বেশ কিছুদিন ধরেই নতুন করে সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার বিরোধিতা করছিলেন।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ ওই বিক্ষোভের ওপরেই লাঠি চালায় বিএসএফের পুরুষ সদস্যরা। ওই ঘটনায় জখম হয়েছেন গ্রামের ১১ জন নারী।বিএসএফ অবশ্য গ্রামবাসীদের তোলা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তারা বলছে সেদিন কোনও লাঠিচার্জই হয় নি। গ্রামবাসীরা সরকারি যন্ত্রপাতি ভাঙ্গতে উদ্যত হলে তারা লাঠি উঁচিয়ে তাদের সরিয়ে দিয়েছে মাত্র।মলুয়াপাড়ার বাসিন্দা জরিনা বিশ্বাস টেলিফোনে বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন, “গত আট তারিখ ছিল হাটবার, তাই পুরুষরা কেউ বাড়ি ছিল না। সেই সুযোগে বিকেল তিনটের দিকে রাস্তার রোলার সহ যন্ত্রপাতি নিয়ে এসে তারকাটার বেড়া দেওয়ার কাজ শুরু করে বিএসএফ। আমরা যখন বাধা দিতে যাই, আমাকেই প্রথমে লাঠি দিয়ে মারে তারা। বিএসএফের কোনও নারী কনস্টেবল ছিল না, সবাই পুরুষমানুষ।“আমার পিঠে লাঠি দিয়ে মারে আর সঙ্গে হিন্দিতে অশ্রাব্য গালিগালাজ করছিল ওরা। একটা বিএসএফ আমার বাঁ হাত ধরে রেখেছিল আর গালিগালাজ করে মারছিল। আবার পাথরও ছুঁড়ছিল। এমনকি বাচ্চা ছেলে মেয়েরা, যারা মোবাইলে ভিডিও করছিল, তাদের তাড়া করে মোবাইল কেড়ে নিয়েছে,” বলছিলেন জরিনা বিশ্বাস।