ঢাকা , সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
Logo দিরাইয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নাম ব্যবহার করে কোন অনিয়ম দালালির সাথে জড়িতদের কঠোর হস্তে দমন করা হবে Logo ল্যাব সংস্কারের টাকা আত্মসা শাল্লায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে তুলে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোব! Logo শান্তিগঞ্জে জামায়াতের উদ্যোগে সিরাত মাহফিল ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান Logo অনৈতিক প্রস্তাবে রাজি নয়, বিধবা কার্ড বাতিলের অভিযোগ Logo বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় সীমান্তিকের উদ্যাগে বিশ্ব গর্ভনিরোধ দিবস উদযাপন Logo সিলেটে পাথরবাহী ট্রাকের নিচে চাপা পড়ে ঔষধ কোম্পানীর এরিয়া ম্যানেজার নিহত Logo পাথারিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃআলী নেওয়াজের ইন্তেকাল Logo শান্তিগঞ্জে শিক্ষার মানোন্নয়নে একত্রে তিনটি বিদ্যালয়ের অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত Logo সাংবাদিক রুহুল আমিন গাজী আর নেই Logo দুর্যোগ ব্যবস্থা কমিটির সভা

মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ সিরিয়ায় ভয়াবহ হামলার ঘটনা

সিরিয়ায় ভয়াবহ হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ৫৩ জন বেসামরিক লোক নিহত হয়েছেন। এছাড়া এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন। সিরিয়ার মধ্যাঞ্চলীয় মরুময় প্রদেশ হোমসে এই হামলা ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম এই তথ্য সামনে আনে। একইসঙ্গে এই হামলার জন্য জিহাদি জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটকে দায়ী করেছে রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম। শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামলায় নিহত বেসামরিক লোকদের মরদেহ পালমিরা প্রাদেশিক হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। হাসপাতালের প্রধানকে উদ্ধৃত করে সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থা সানা জানিয়েছে, পালমিরা প্রাদেশিক হাসপাতালে নেওয়া নিহতদের মৃতদেহের সবগুলোরই মাথায় গুলির ক্ষত রয়েছে।সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, নিহত ওই ব্যক্তিরা মরুভূমিতে ট্রাফল (মাটির নিচে জন্মায় এবং রান্নার কাজে ব্যবহৃত হয় এমন ছত্রাক বা ছাতা) সংগ্রহ করার সময় তাদের ওপর হামলা চালানো হয়। যদিও হোমস প্রদেশ সিরীয় সরকার ও তার মিত্রদের নিয়ন্ত্রিত অঞ্চল বলে পরিচিত।রয়টার্স বলছে, হামলায় আহত পাঁচজনকে অন্য হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। এছাড়া হামলায় বেঁচে যাওয়া একজন সানাকে বলেছেন, আইএস তাদের গাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে।অবশ্য হামলার জন্য তাৎক্ষণিকভাবে কেউ এখনও দায় স্বীকার করেনি।এদিকে বার্তাসংস্থা  প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মরুভূমিতে ট্রাফল সংগ্রহের সময় হোমস প্রদেশের আল-সোখনা শহরের দক্ষিণ-পশ্চিমে আইএসআইএসের সন্ত্রাসীদের আক্রমণে ৫৩ জন নিহত হয়েছেন বলে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন জানিয়েছে।পালমিরা হাসপাতালের পরিচালক ওয়ালিদ অডি জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে ৪৬ জন বেসামরিক নাগরিক এবং সাতজন সেনা সদস্য।সিরিয়ার সরকারপন্থি রেডিও স্টেশন শাম এফএমকে অডি বলেছেন, কয়েক ডজন মানুষকে লক্ষ্য করে চালানো এই হামলায় নিহতদের মৃতদেহ ‘হাসপাতালে আনা হয়েছে।’ব্রিটেন-ভিত্তিক সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটসও শুক্রবার হামলার কথা জানিয়েছে। সংবাদমাধ্যম আল আরাবিয়ার প্রতিবেদন অনুযায়ী, সংস্থাটি বলেছে- ‘শুক্রবার পালমিরা অঞ্চলের সোখনায় ট্রাফল সংগ্রহের সময় আইএসআইএস ৩৬ জনকে হত্যা করেছে।’তবে অন্যরা হামলার শিকার হওয়া থেকে পালাতে সক্ষম হয়েছে বলে অবজারভেটরি জানিয়েছে।সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সিরিয়ার মধ্য, উত্তর-পূর্ব এবং পূর্বাঞ্চলে ট্রাফল সংগ্রহের সময় নারী ও শিশুসহ অনেক লোককে হামলার লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে।সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস বলেছে, গত শনিবার একই এলাকায় চোরাচালানকারীদের লক্ষ্য করে চালানো একই ধরনের হামলায় ১৬ জন নিহত হয়েছিল। নিহতদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক।এছাড়া ওই হামলায় আরও কয়েক ডজন মানুষকে অপহরণ করা হয় উল্লেখ করে অবজারভেটরি বলেছে, তাদের মধ্যে ২৫ জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে তবে অন্যদের ভাগ্যে ঠিক কী ঘটেছে তা এখনও অজানা।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

Janasarthe 24

আপনাদের আশে পাশে ঘটে যাওয়া প্রতি মুহুর্তের খবর দিয়ে আমাদের সহযোগীতা করুন। আমরা আমাদের অনলাইনে তা প্রকাশ করে কৃতজ্ঞ হবো। আমাদের প্রতি মুহুর্তের খবর জানতে আমাদের সাথে থাকুন
জনপ্রিয় সংবাদ

দিরাইয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নাম ব্যবহার করে কোন অনিয়ম দালালির সাথে জড়িতদের কঠোর হস্তে দমন করা হবে

মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ সিরিয়ায় ভয়াবহ হামলার ঘটনা

আপডেট সময় ০৬:২৯:১৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

সিরিয়ায় ভয়াবহ হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ৫৩ জন বেসামরিক লোক নিহত হয়েছেন। এছাড়া এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন। সিরিয়ার মধ্যাঞ্চলীয় মরুময় প্রদেশ হোমসে এই হামলা ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম এই তথ্য সামনে আনে। একইসঙ্গে এই হামলার জন্য জিহাদি জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটকে দায়ী করেছে রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম। শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামলায় নিহত বেসামরিক লোকদের মরদেহ পালমিরা প্রাদেশিক হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। হাসপাতালের প্রধানকে উদ্ধৃত করে সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থা সানা জানিয়েছে, পালমিরা প্রাদেশিক হাসপাতালে নেওয়া নিহতদের মৃতদেহের সবগুলোরই মাথায় গুলির ক্ষত রয়েছে।সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, নিহত ওই ব্যক্তিরা মরুভূমিতে ট্রাফল (মাটির নিচে জন্মায় এবং রান্নার কাজে ব্যবহৃত হয় এমন ছত্রাক বা ছাতা) সংগ্রহ করার সময় তাদের ওপর হামলা চালানো হয়। যদিও হোমস প্রদেশ সিরীয় সরকার ও তার মিত্রদের নিয়ন্ত্রিত অঞ্চল বলে পরিচিত।রয়টার্স বলছে, হামলায় আহত পাঁচজনকে অন্য হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। এছাড়া হামলায় বেঁচে যাওয়া একজন সানাকে বলেছেন, আইএস তাদের গাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে।অবশ্য হামলার জন্য তাৎক্ষণিকভাবে কেউ এখনও দায় স্বীকার করেনি।এদিকে বার্তাসংস্থা  প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মরুভূমিতে ট্রাফল সংগ্রহের সময় হোমস প্রদেশের আল-সোখনা শহরের দক্ষিণ-পশ্চিমে আইএসআইএসের সন্ত্রাসীদের আক্রমণে ৫৩ জন নিহত হয়েছেন বলে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন জানিয়েছে।পালমিরা হাসপাতালের পরিচালক ওয়ালিদ অডি জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে ৪৬ জন বেসামরিক নাগরিক এবং সাতজন সেনা সদস্য।সিরিয়ার সরকারপন্থি রেডিও স্টেশন শাম এফএমকে অডি বলেছেন, কয়েক ডজন মানুষকে লক্ষ্য করে চালানো এই হামলায় নিহতদের মৃতদেহ ‘হাসপাতালে আনা হয়েছে।’ব্রিটেন-ভিত্তিক সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটসও শুক্রবার হামলার কথা জানিয়েছে। সংবাদমাধ্যম আল আরাবিয়ার প্রতিবেদন অনুযায়ী, সংস্থাটি বলেছে- ‘শুক্রবার পালমিরা অঞ্চলের সোখনায় ট্রাফল সংগ্রহের সময় আইএসআইএস ৩৬ জনকে হত্যা করেছে।’তবে অন্যরা হামলার শিকার হওয়া থেকে পালাতে সক্ষম হয়েছে বলে অবজারভেটরি জানিয়েছে।সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সিরিয়ার মধ্য, উত্তর-পূর্ব এবং পূর্বাঞ্চলে ট্রাফল সংগ্রহের সময় নারী ও শিশুসহ অনেক লোককে হামলার লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে।সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস বলেছে, গত শনিবার একই এলাকায় চোরাচালানকারীদের লক্ষ্য করে চালানো একই ধরনের হামলায় ১৬ জন নিহত হয়েছিল। নিহতদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক।এছাড়া ওই হামলায় আরও কয়েক ডজন মানুষকে অপহরণ করা হয় উল্লেখ করে অবজারভেটরি বলেছে, তাদের মধ্যে ২৫ জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে তবে অন্যদের ভাগ্যে ঠিক কী ঘটেছে তা এখনও অজানা।