বাঁশ আমাদের জাতীয় জীবনে একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ প্রাকৃতিক সম্পদও। অনেকেই খুব আগ্রহ করে সবজি হিসেবে খান এই বাঁশ।কারো ‘বাঁশ খাওয়ার’ কথা শুনলেই মনে হয়, বিপদের আর বাকি নেই কিছু। সর্বনাশ হয়েছে তার! অথচ এই বাঁশই হতে পারে প্রতিদিনের খাবারের তালিকার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। বিশেষ করে কচি বাঁশ খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনই এর স্বাস্থ্যগুণও প্রচুর। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো থেকে ওজন ঝরার ক্ষেত্রে- এই সবজির জুড়ি মেলা ভার। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার লিখেছে বাঁশ খাওয়ার কিছু উপকারিতা।
হজমে সাহায্য করে
হজমের সমস্যায় ভোগেন অনেকেই। এই সমস্যা দূর করতে নানা রকম ওষুধ খেতে হয় বইকি! তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তাতে কাজ হয় না।প্রতিদিন খাবার তালিকায় কচি বাঁশ রাখলে হজমের সমস্যা দূর হয়। এ ছাড়া ফ্যাট দূর হয়, পেটে সংক্রমণের ঝুঁকিও কমে।
হৃদযন্ত্র ভাল রাখে ,কচি বাঁশে ভরপুর মাত্রায় ফাইটোস্টেরল থাকে। এই যৌগ রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। ফলে শরীরে রক্ত চলাচলে ভাল হয়, হৃদযন্ত্র ভালো থাকে।
হাড় ভাল থাকে
কচি বাঁশে ভালো মাত্রায় ম্যাঙ্গানিজ ও ক্যালসিয়াম থাকে। এই দুই উপাদান হাড় ভালো রাখে। এ ছাড়াও এতে ভিটামিন সি বেশ ভালো পরিমাণে থাকে। এই ভিটামিন সি হাড়ে বিভিন্ন ধরনের খনিজ পদার্থ শোষণ করতে সাহায্য করে।
ওজন কমাতে সাহায্য করে
কচি বাঁশে ক্যালোরির মাত্রা খুবই কম এবং ফাইবারের মাত্রা বেশি। খাবারে এই সবজি রাখলে পেট অনেক ক্ষণ ভরা থাকে। ফলে ভাজাভুজি, রাস্তার খাবার খাওয়ার ইচ্ছা কমে। তাই ওজন ঝরার প্রক্রিয়াও তরান্বিত হয়।
ত্বকের উজ্বলতা বাড়ায়
কচি বাঁশে সিলিকা নামে যোগ থাকে। এই যৌগ শরীরে কোলাজেন উৎপাদন বাড়াতে সাহায্য করে। কোলাজেন উৎপাদন বাড়লে ত্বকের উজ্বলতাও বাড়ে।