ইরাক যুদ্ধে সাদ্দাম হোসেনের পতনের মাধ্যমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জয় হয়েছে সত্যি, কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের জয় আসলে শাপেবর হয়েছে আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রবল প্রতিপক্ষ ইরানের জন্য।বিশ্লেষকরা বলছেন সাদ্দাম হোসেনের পতনের পর থেকে ইরান আসলে ইরাকের ওপর বড় ধরণের প্রভাব তৈরি করেছে, যা কখনো কখনো উদ্বেগের কারণ হয়েছে পশ্চিমা নেতাদের জন্যও।ইরাক যুদ্ধে সাড়ে চার হাজারের বেশি মার্কিন সেনা আর আনুমানিক এক লাখ বিশ হাজার ইরাকি বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছিল বলে ধারণা করা হয়। বিশ বছর পার হলেও এখনো পুরোপুরি স্থিতিশীলতা আসেনি ইরাকে।এই যুদ্ধের আগে সেসময়কার ইরাকি নেতা সাদ্দাম হোসেনের কারণে দীর্ঘ যুদ্ধে জড়িয়ে ছিলো শিয়া সংখ্যাগরিষ্ঠ ইরান। ইরাকের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ শিয়া মতাবলম্বী হলেও সাদ্দাম ছিলেন সুন্নি।আবার এর মধ্যেই আঞ্চলিক প্রভাব বলয় তৈরির যে চেষ্টা ইরান করছিলো সেটি প্রসারের পেছনে একসময় বড় বাধাই ছিলেন সাদ্দাম হোসেন ।২০০৩ সালে আমেরিকান আগ্রাসনে তার পতনের পর ইরান রাতারাতি যে সুবিধা পেয়ে যায় তা কাজে লাগানোর চেষ্টা তারা তখন থেকেই অব্যাহত রেখেছে।ইরাকের ভেতরে একাধিক শিয়া মিলিশিয়া গোষ্ঠী তৈরি এবং তাদের শক্তি বৃদ্ধিতে বেশ সাফল্যও দেখিয়েছে ইরান। এমনকি এখন ইরাকি পার্লামেন্টের ভেতরেও ইরানের পক্ষে কথা বলার মত অনেকগুলো প্রভাবশালী কণ্ঠ তৈরি হয়েছে।এরপর সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ ইরানকে সেদেশে সামরিক উপস্থিতির সুযোগ তৈরি করে দেয়। তাছাড়া পাশের দেশ লেবাননে ইরান সমর্থিত শিয়া মিলিশিয়া গোষ্ঠী হেযবোল্লাহ দেশটির সবচেয়ে বড় সামরিক শক্তি।
ঢাকা
,
শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::










ইরাকে মার্কিন আগ্রাসনের পরিণামে কি লাভ হলো ইরানের?
-
জনস্বার্থে নিউজ ২৪ ডেস্ক :
- আপডেট সময় ১০:৫১:৪৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মার্চ ২০২৩
- ৬০০ বার পড়া হয়েছে
ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ