চীনের ক্রমবর্ধমান হুমকি মোকাবিলায় দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র কিনতে যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া। সামরিক খাতে ১ হাজার ২০০ কোটি মার্কিন ডলারের ব্যয়ের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে দেশটির সরকার। যা প্রতিরক্ষাখাতে বড় ধরনের পরিবর্তন হিসেবে দেখা হচ্ছে। সোমবার (২৪ এপ্রিল) অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষা কৌশলগত পর্যালোচনা প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে।
যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম বিবিসি তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এ সংক্রান্ত ১১০ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে প্রকাশ করেছে অস্ট্রেলীয় সরকার। যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর দেশটির প্রতিরক্ষা খাতে সবচেয়ে বড় পরির্তন।তাইওয়ানের সঙ্গে চীনের ক্রমবর্ধমান সামরিক উত্তেজনার মধ্যেই অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষা কৌশলগত পর্যালোচনার বিষয়টি সামনে এলো। তাইওয়ান ইস্যুতে চীনের অবস্থান ও দক্ষিণ চীন সাগরে বেইজিংয়ের আধিপত্যের কারণে অঞ্চলটিতে উত্তেজনা বাড়ছে। সেখানে নিজেদের শক্ত উপস্থিতি জানান দিয়ে আসছে চীনা সামরিক বাহিনী। কিছু জায়গা নিজেদের অংশ বলে দাবি করে থাকে। যা আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থি দেখছে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো।অস্ট্রেলিয়ার প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পর থেকে চীনের সামরিক গঠন সবচেয়ে বড় এবং উচ্চভিলাষী। এ প্রসঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবেনিজ বলেন, দীর্ঘ প্রতীক্ষিত প্রতিরক্ষা কৌশলগত পর্যালোচনা (ডিএসআর) হলো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ, যা শেষ করা হয়েছে। সুপারিশগুলো অস্ট্রেলিয়াকে আরও আত্মনির্ভরশীল, প্রস্তুত এবং নিরাপদ করে তুলবে।প্রতিরক্ষামন্ত্রী রিচার্ড মার্লেস সাংবাদিকদের বলেছেন, পর্যালোচনায় অস্ট্রেলিয়ার সশস্ত্র বাহিনী যুদ্ধাস্ত্রসহ দূরপাল্লার সক্ষমতার দিকে মনোনিবেশ করবে।তিনি আরও বলেন, ৫০০ কিলোমিটারের বেশি রেঞ্জ ক্ষেপণাস্ত্র সেনাবাহিনীর গতি ভবিষ্যতে আরও বাড়াবে।গত মার্চে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ২২০টি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দেয় মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর। যার মূল্য প্রায় ৯০ কোটি মার্কিন ডলার