মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন জানিয়েছেন, সুদানে ৭২ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে সেনা ও বেসামরিক বাহিনী। ২৪ এপ্রিল মধ্যরাত থেকে তা কার্যকর হয়েছে।
চলতি মাস থেকে দেশটির সেনা ও বেসামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সের (আরএসএফ) মধ্যে লড়াই শুরু হয়েছে। এর আগেও যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হলেও কোনও পক্ষই তা মানেনি।এ প্রসঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিঙ্কেন আরও বলেন, সেনাবাহিনী ও আরএসএফের মধ্যে ৪৮ ঘণ্টার নিবিড় আলোচনা শেষে একটি চুক্তি পৌঁছায় তারা। উভয়পক্ষ যুদ্ধবিরতি মেনে চলারও ঘোষণা দিয়েছে।গত ১৫ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া সংঘাতে অন্তত ৪০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। আহত হন সাড়ে তিন হাজারের বেশি। এ পরিস্থিতিতে সতর্ক করে জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনি গুতেরেস বলেন, সুদানে সংঘাত বন্ধ না হলেও আরও বিপর্যয় সৃষ্টি হবে। তাতে পুরো অঞ্চল ও বাইরেও ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা রয়েছে। চলতি মাসে ভয়াবহ লড়াইয়ের কারণে রাজধানী খার্তুম থেকে পালিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে আশ্রয় নিয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। খার্তুমসহ আরও কয়েকটি অঞ্চলে খাবার, পানি ও জরুরি ওষুধ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মজুত ফুরিয়ে আসছে। এতে পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে।পানি সরবরাহের লাইন, গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোতে বোমা হামলার ঘটনা ঘটছে। অনেকে বাধ্য হয়ে নীল নদ থেকে বাধ্য হয়ে পানি সবরাহ করছেন।লড়াইটা বেশি হচ্ছে রাজধানী খার্তুমে। যুদ্ধবিরতিতে বেসামরিক নাগরিকদের রাজধানী ছেড়ে যেতে সহজ হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। রাজধানী থেকে বিদেশি কূটনীতিক ও নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়ারও সুযোগ পাবে। যুক্তরাষ্ট্র, সৌদি আরব, পাকিস্তান, ভারতসহ কয়েকটি দেশ নিজেদের নাগরিক ও কূটনীতিকদের সরিয়ে নিয়েছে।