জামালপুরের বকশীগঞ্জে সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিম হত্যার মূল অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুকে আওয়ামী লীগ থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
শনিবার (১৭ জুন) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করে বকশীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহিনা বেগম বলেন, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে মাহমুদুল আলম বাবুকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে দল থেকে সাময়িক বহিষ্কারের পাশাপাশি কেন স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে না, তা জানাতে ৭ দিন সময় দেয়া হয়েছে।
এর আগে শুক্রবার (১৬ জুন) গভীর রাতে বকশীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহিনা বেগম ও সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন বাবুল তালুকদার স্বাক্ষরিত চিঠিতে বহিষ্কারের বিষয়টি জানানো হয়।
চেয়ারম্যান বাবু’র উদ্দেশ্যে চিঠিতে লেখা হয়েছে, উক্ত ন্যাক্কারজনক ঘটনায় প্রশাসন ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে আপনার সংশ্লিষ্টতা জোড়ালোভাবে উল্লেখিত হওয়ায় দলীয় ভাবমূর্তি প্রচণ্ডভাবে ক্ষুণ্ন হয়েছে। ইতোপূর্বেও বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে আপনার অসাংগঠনিক কার্যক্রম এবং অসদাচরণ প্রকাশ পাওয়ায় আপনাকে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে আওয়ামী লীগ, সাধুরপাড়া ইউনিয়ন শাখা’র সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হলো এবং সংগঠন থেকে সামরিক বহিষ্কার করা হলো।
চিঠিতে আরও বলা হয়, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে আপনাকে কেন স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না এই মর্মে চিঠি পাওয়ার সাত কর্ম দিবসের মধ্যে আওয়ামী লীগ, বকশীগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি/সাধারণ সম্পাদকের বরাবর জবাব দাখিলের নির্দেশ দেয়া হলো।
নিহত সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিম বাংলানিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের জেলা প্রতিনিধি ও একাত্তর টেলিভিশনের স্থানীয় সংবাদদাতা হিসেবে কাজ করতেন। তিনি জেলা অনলাইন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতির দায়িত্বও পালন করছিলেন।
গত বুধবার রাত ১০টার দিকে নাদিমের ওপর হামলা হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। নাদিমের ওপর হামলার একটি সিসিটিভি ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
এ ঘটনায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা ও সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বাবুকে দায়ী করে সাংবাদিকের পরিবার। এ ঘটনার পর দ্রুত সময়ের মধ্যে পুলিশ চারজনকে আটক করে। এরপর আরও দুজনকে আটক করা হলেও ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে যান বাবু।