স্বেচ্ছায় স্বামীর সাথে স্ত্রী না যাওয়াতে রাগে ক্ষোভে গলায় ওড়না পেছিয়ে শ্বাস রোধ করে স্ত্রীকে হত্যা করেন পাশন্ড স্বামী। মৌলভীবাজারের রাজনগরে কামারচাক ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
১৩ আগস্ট স্ত্রী শারমিন আক্তারকে (২২) তার বাবার বাড়ি থেকে নিজের বাড়িতে আনতে যান স্বামী শাকিল মিয়া। স্ত্রী না যাওয়ায় গলায় ওড়না পেছিয়ে মারধরের এক পর্যায়ে শারমিন মারা যান। এ ঘটনায় শাকিলকে আটক করেছে পুলিশ।
জানা যায়, উপজেলার কামারচাক ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামের ফারুক মিয়ার ছেলে শাকিলের সঙ্গে ৩ বছর আগে বিয়ে হয় একই ইউনিয়নের পশ্চিম কালাইকুনা গ্রামরে মৃত কলিম মিয়ার মেয়ে শারমিন আক্তারের। তাদের ২ বছরের এক সন্তান রয়েছে। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বেশ কিছুদিন থেকে বনিবনা হচ্ছিল না। এ নিয়ে শারমিন ঈদের আগে থেইে বাবার বাড়ি অবস্থান করছিলে।
ঘটনার দিন রবিবার সকালে শাকিল মিয়া স্ত্রীকে আনতে শ্বশুর বাড়ি যান। কিন্তু স্ত্রী না আসায় তাকে মারধর শুরু করেন। এসময় গলায় ওড়না পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে পালিয়ে যান শাকিল মিয়া। এসময় নিহতের মা বাড়িতে ছিলেন না। দুপুর ১টার সময় তিনি খবর পেয়ে বাড়িতে এসে তার মেয়েকে মৃত দেখতে পান। খবর পেয়ে রাজনগর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যার হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
ঐ দিন রাজনগর থানার পুলিশের এসআই শওকত মাসুদ ভূইয়ার নেতৃত্বে একদল পুলিশ অভিযান চালিয়ে ঘাতক স্বামী শাকিলকে উপজেলার সৈয়দনগর এলাকা থেকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। রবিবার বিকাল পর্যন্ত থানায় কোনো মামলা হয়নি।
রাজনগর থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) বিনয় ভূষণ রায় জানান, তিন বছর পূর্বে তাদের বিয়ে হয়েছিল। মেয়েটি বাবার বাড়িতেই থাকতো। তাকে শ্বাসরোধ কওে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ আসামিকে আটক করেছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।