দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মরদেহ তার নিজ জেলা পিরোজপুরে দাফন করা হবে। সাঈদী ফাউন্ডেশনের মসজিদের পাশে তাকে কবর দেওয়া হবে।
এদিকে সাঈদীর লাশ দাফনকে কেন্দ্র করে যেকোন অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে পিরোজপুরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে পুলিশ।
স্থানীয় জামায়াতের দলীয় সূত্রে জানা যায়, জোহরের নামাজ শেষে জানাজা সম্পন্ন করে বড় ছেলে রাফিক বিন সাঈদীর কবরের পাশে সাঈদীকে দাফন করা হবে। এ উপলক্ষে মঙ্গলবার সকালেই সাঈদী ফাউন্ডেশনের মসজিদের পাশে তার কবর খোঁড়া হয়।
এদিকে পিরোজপুরে আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী প্রতিষ্ঠিত সাঈদী ফাউন্ডেশন প্রাঙ্গণে সকাল থেকেই জড়ো হচ্ছে তার ভক্তসহ সাধারণ মানুষ। সকলেই তার জানাজার জন্য এসেছেন বলে জানিয়েছেন।
পিরোজপুর জেলা জামায়াতের সহ-সেক্রেটারি মো. জহিরুল হক বলেন, সাঈদীর মরদেহ নিয়ে ইতিমধ্যে লাশবাহী ফ্রিজিং গাড়ি পিরোজপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে। সাধারণ মানুষসহ বিভিন্ন এলাকার ভক্তবৃন্দ ইতোমধ্যেই সাঈদী ফাউন্ডেশন প্রাঙ্গণে ভিড় করছেন। আমরা জানাজার অপেক্ষায় আছি।
এদিকে সাঈদীর মৃত্যুর খবরে সোমবার রাত থেকেই পিরোজপুরের ইন্দুরকানিতে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে রাতেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করে পুলিশ। উপজেলার চন্ডিপুর, বালিপাড়াসহ বিভিন্ন পয়েন্টে বিপুল পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
ইন্দুরকানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আল মামুন জানান, দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুর পর যাতে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তার জন্য বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ মোতায়েনসহ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
সোমবার (১৪ আগস্ট) রাত ৮টা ৪০ মিনিটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান জামায়াত নেতা সাঈদী। তার মৃত্যুর খবর পেয়ে রাত সাড়ে ১১টার পর থেকে শাহবাগ এলাকায় জামায়াতে ইসলামীর নেতা–কর্মীরা জড়ো হন। শাহবাগ মোড় থেকে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের (সাবেক শেরাটন হোটেল) মোড় পর্যন্ত সড়কে অবস্থান নেন তাঁরা। তাঁদের অবস্থানের কারণে সড়কের একপাশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
এর আগে জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হলে গত রোববার বিকেলে কারাগার থেকে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে ওই রাতেই উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে বিএসএমএমইউতে নেওয়া হয়।