সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের মাটিয়ান হাওরে ঝড়ের কবলে পরে নৌকা ডুবে নিখোঁজ দুজনের মধ্যে শাহ আলমের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টায় ২০মিনিটে মাটিয়ান হাওরের( বড় বিল হাওরে) মৃত দেহ ভেষে উঠলে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল,পুলিশসহ নিখোঁজদের আত্নীয় স্বজনরা উদ্ধার করে। তিনি উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের চিলাইন তাহিরপুর গ্রামের মৃত মছরফ আলীর ছেলে মোঃ শাহ আলম(৫০)।
এখনও নিখোঁজ রয়েছে একেই গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে আবুল ফয়েজ (৪৮)। তাকে উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল কাজ করছে বলে জানান চিলাইন তাহিরপুর গ্রামের বাসিন্দা ও জয়পুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাদিউজ্জামান।
গত রবিবার (২৭ আগষ্ট) বিকেল সাড়ে ৪টা সময় উপজেলার মাটিয়ান হাওরে নৌকা ডুবে শাহ আলম ও আবুল ফয়েজ দুজন নিখোঁজ হয়।
নিখোঁজ শাহ আলমের চাচাত ভাই চিলাইন তাহিরপুর গ্রামের আব্দুল হালিম জানান,ঘটনার পর থেকে পুলিশসহ সবাই মিলে তাদের খোঁজ করে আজ একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনায় নিখোঁজের পরিবারে শোকের মাতম চলছে ও এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুপ্রভাত চাকমা জানান,পুলিশ সহ স্থানীয়দের সহযোগিতা নিয়ে উদ্ধার তৎপরতা চলছে। আজ একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে নিখোঁজদের স্বজনরা জানান, শাহ আলমের বড় ছেলে আকাশ মিয়া(১৫)কে ঢাকা পাঠানোর জন্য তাহিরপুর দুপুরে আসে শাহ আলম ও আবুল ফয়েজ। পরে ছেলেকে সুনামগঞ্জের গাড়িতে (সিএনজি) তুলে দিয়ে তারা দুজন বিকেলে উপজেলা উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের টাংগুয়ার হাওর পাড়ের চিলাইন তাহিরপুর গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার উদ্দেশ্য নিজেদের ইঞ্জিন চালিত ছোট নৌকা নিয়ে রওনা হয়। পথিমধ্যে মাটিয়ান হাওর পাড়ি দিয়ে যাওয়ার সময় প্রচন্ড ঝড়ের কবলে পরে নৌকা ডুবে তারা দুজন নিখোঁজ রয়েছে। তাদের পাশাপাশি আরও দুটি নৌকা ছিল তারা এই ঝড়ের সময় নিজেদের নিরাপদ আশ্রয়ে যায়। পরে তাদের কাছ থেকে জেনে ঝড়ের পর কয়েকটি নৌকা নিয়ে হাওরে তল্লাশি করলেও নৌকা ও তাদের দুজনকে পাওয়া যায়নি।