ঢাকা , বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
Logo জগন্নাথপুরের ওসি মোখলেছুর রহমান আকন্দকে শিবির কর্মী বলে প্রচারণা চালানোয় জগন্নাথপুর উপজেলা জামায়াতের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ। Logo শান্তিগঞ্জের জয়সিদ্ধি-বসিউয়াখাউরী গ্রামে বিএনপির কর্মী সভা Logo জগন্নাথপুরে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত Logo জগন্নাথপুর উপজেলার ৬ নং রাণীগঞ্জ ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর কমিটি গঠন Logo পরিবেশ নষ্ট করে কোন বাঁধ নির্মাণ হবেনা – পরিবেশ উপদেষ্টা Logo হাওরের জন্য সরকারের মাস্টার প্লান আছে- উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান Logo জগন্নাথপুরে কমিউনিটি ক্লিনিক এর মাসিক সভা অনুষ্ঠিত Logo মাটিয়াইন ও টাঙুয়ার হাওর পরিদর্শন….. আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের পথ খুঁজতে হবে -স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Logo নিরাপদ অভিবাসন ও বিদেশ-ফেরতদের পুনরেকত্রীকরণ শীর্ষক ইউনিয়ন কর্মশালা Logo ২০২৫–২৬ সেশনের জন্য ২নং পাটলী ইউনিয়ন জামায়াতের কমিটি ঘোষণা।

শ্লীলতাহানির অভিযোগ শাল্লার চাকুয়া

শ্যামারচর প্রতিনিধি :
আনোয়ার হোসাইন

সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার ২নং হবিবপুর ইউনিয়নের চাকুয়া গ্রামের দুই সন্তানের জননীকে শ্লীলতাহানির চেষ্টায় একই গ্রামের বাবুল দাসের বখাটে ছেলে ইমন দাস (২৪) এর বিরুদ্ধে ওই নারী শাল্লা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। ওই নারী ৭ ফেব্রুয়ারী (বুধবার) বেলা ১২ টায় থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।

লিখিত অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, বিবাদী ইমন দাস একজন উগ্র, প্রভাবশালী ও খারাপ প্রকৃতির লোক। আমার স্বামী জীবিকা নির্বাহের জন্য শ্যামারচর বাজারে অন্যের দোকানে কাজ করে। স্বামী বাহিরে থাকার সুযোগে ইমন দাস খারাপ উদ্দেশ্যে আমার পিছনে লেগে আছে। রাস্তাঘাটে আমাকে দেখলে বিভিন্ন ধরনের অশালীন কথাবার্তা ও কুপ্রস্তাব দেয়। এমনকি প্রাতিরাতে মদ্যপান করে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় আমার বসত ঘরের সামনে এসে নাম ধরে ডাকাডাকি করে দরজা খোলার জন্য। গত ২৭ জানুয়ারী রাত প্রায় ১টা ৩০ মিনিটের সময় আমাকে আকুতি মিনতি করে বলে এক গ্লাস পানি দেওয়ার জন্য। একপর্যায়ে পানি দেওয়ার জন্য দরজা খুললে ইমন দাস ঘরের ভেতরে ডুকে পানি দেওয়ার পর চেয়ারে বসে থাকে ও আমাকে বলে তার কাছে যাওয়ার জন্য। তখন আমি তাকে ঘর থেকে বেরিয়ে যেতে বলি কিন্তু সে বাহির হতে না চাওয়ায় একপর্যায়ে ধাক্কা দিয়ে ঘর থেকে বের করে ঘরের দরজা বন্ধ করি। তখন ইমন দাস আমাকে ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে চলে যায়। ২৮ জানুয়ারী বেলা ৩ টায় ইমন দাস বিভিন্ন অশালীন কথাবার্তা বলে এবং একপর্যায়ে আমার হাত ধরে ফেলে। তখন আমার ইজ্জত রক্ষা করার জন্য চিৎকার করলে আশেপাশের মানুষ আসার সাথে সাথে ইমন দাস পালিয়ে যায়। ইমন দাসের এমন আচরণের বিষয়টি তার আত্মীয় স্বজনকে অবগত করলেও কোন প্রতিকার হয়নি।

বিগত ২ জানুয়ারী (শুক্রবার) রাত প্রায় ১১ টায় প্রতিবারের মত দরজার কাছে এসে ডাকাডাকি করে দরজা খোলার জন্য। দরজা না খোলায় বেধরক লাথি মারে। সেদিন আমার স্বামী বাড়িতে ছিল তাই দরজা খুলে আঞ্জা মেরে আটক করে। ধস্তাধস্তির পর একপর্যায়ে ইমন দাস ছুটে পালিয়ে যায়। বিবাদী ইমন দাসের জন্য ঘরে ও বাহিরে চলতে পারছেন না বলে জানান তিনি।

এব্যাপারে বিবাদী ইমন দাসের কাছে জানতে চাইলে ফোন রিসিভ করেও কেটে দেয়।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

Janasarthe 24

আপনাদের আশে পাশে ঘটে যাওয়া প্রতি মুহুর্তের খবর দিয়ে আমাদের সহযোগীতা করুন। আমরা আমাদের অনলাইনে তা প্রকাশ করে কৃতজ্ঞ হবো। আমাদের প্রতি মুহুর্তের খবর জানতে আমাদের সাথে থাকুন
জনপ্রিয় সংবাদ

জগন্নাথপুরের ওসি মোখলেছুর রহমান আকন্দকে শিবির কর্মী বলে প্রচারণা চালানোয় জগন্নাথপুর উপজেলা জামায়াতের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ।

শ্লীলতাহানির অভিযোগ শাল্লার চাকুয়া

আপডেট সময় ১০:২৪:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

শ্যামারচর প্রতিনিধি :
আনোয়ার হোসাইন

সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার ২নং হবিবপুর ইউনিয়নের চাকুয়া গ্রামের দুই সন্তানের জননীকে শ্লীলতাহানির চেষ্টায় একই গ্রামের বাবুল দাসের বখাটে ছেলে ইমন দাস (২৪) এর বিরুদ্ধে ওই নারী শাল্লা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। ওই নারী ৭ ফেব্রুয়ারী (বুধবার) বেলা ১২ টায় থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।

লিখিত অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, বিবাদী ইমন দাস একজন উগ্র, প্রভাবশালী ও খারাপ প্রকৃতির লোক। আমার স্বামী জীবিকা নির্বাহের জন্য শ্যামারচর বাজারে অন্যের দোকানে কাজ করে। স্বামী বাহিরে থাকার সুযোগে ইমন দাস খারাপ উদ্দেশ্যে আমার পিছনে লেগে আছে। রাস্তাঘাটে আমাকে দেখলে বিভিন্ন ধরনের অশালীন কথাবার্তা ও কুপ্রস্তাব দেয়। এমনকি প্রাতিরাতে মদ্যপান করে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় আমার বসত ঘরের সামনে এসে নাম ধরে ডাকাডাকি করে দরজা খোলার জন্য। গত ২৭ জানুয়ারী রাত প্রায় ১টা ৩০ মিনিটের সময় আমাকে আকুতি মিনতি করে বলে এক গ্লাস পানি দেওয়ার জন্য। একপর্যায়ে পানি দেওয়ার জন্য দরজা খুললে ইমন দাস ঘরের ভেতরে ডুকে পানি দেওয়ার পর চেয়ারে বসে থাকে ও আমাকে বলে তার কাছে যাওয়ার জন্য। তখন আমি তাকে ঘর থেকে বেরিয়ে যেতে বলি কিন্তু সে বাহির হতে না চাওয়ায় একপর্যায়ে ধাক্কা দিয়ে ঘর থেকে বের করে ঘরের দরজা বন্ধ করি। তখন ইমন দাস আমাকে ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে চলে যায়। ২৮ জানুয়ারী বেলা ৩ টায় ইমন দাস বিভিন্ন অশালীন কথাবার্তা বলে এবং একপর্যায়ে আমার হাত ধরে ফেলে। তখন আমার ইজ্জত রক্ষা করার জন্য চিৎকার করলে আশেপাশের মানুষ আসার সাথে সাথে ইমন দাস পালিয়ে যায়। ইমন দাসের এমন আচরণের বিষয়টি তার আত্মীয় স্বজনকে অবগত করলেও কোন প্রতিকার হয়নি।

বিগত ২ জানুয়ারী (শুক্রবার) রাত প্রায় ১১ টায় প্রতিবারের মত দরজার কাছে এসে ডাকাডাকি করে দরজা খোলার জন্য। দরজা না খোলায় বেধরক লাথি মারে। সেদিন আমার স্বামী বাড়িতে ছিল তাই দরজা খুলে আঞ্জা মেরে আটক করে। ধস্তাধস্তির পর একপর্যায়ে ইমন দাস ছুটে পালিয়ে যায়। বিবাদী ইমন দাসের জন্য ঘরে ও বাহিরে চলতে পারছেন না বলে জানান তিনি।

এব্যাপারে বিবাদী ইমন দাসের কাছে জানতে চাইলে ফোন রিসিভ করেও কেটে দেয়।