ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের ফরিদাবাদ শহরে কৃষকের মহিষ চুরি হয়ে যাওয়ায় কৃষক থানার এক পুলিশ কর্মকর্তার সাহায্য প্রার্থনা করেন যাতে মহিষটিকে উদ্বার করা যায়। এতে করে পুলিশ কর্মকর্তা মহিষ ও চোরকে ধরতে ১০ হাজার রুপি ঘুষ চান ওই কৃষকের নিকট। কৃষক এতে রাজি হন এবং প্রথম দফায় ছয় হাজার রুপি দেন পুলিশ কর্মকর্তাকে। পরে আবার দ্বিতীয় দফায় ঘুষের অর্থ নিতে যান তিনি। তবে এবার আর পার পাননি। হাতেনাতে ধরা পড়েন দুর্নীতি দমন কর্মকর্তাদের কাছে। শেষমেশ পিঠ বাঁচাতে ওই অর্থ গিলে খাওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। তবে সফল হননি।
সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ঘটনাটি ঘটেছে হরিয়ানা রাজ্যের ফরিদাবাদ শহরে। ওই পুলিশ কর্মকর্তার নাম মাহেন্দ্র উলা। তিনি একজন উপপরিদর্শক। মাহেন্দ্রর অর্থ গিলে খাওয়ার চেষ্টার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
ভিডিওটিতে দেখা যায়, ধরা পড়ার পর নিমেষেই ঘুষের অর্থ মুখের ভেতরে পুরে ফেলেন মাহেন্দ্র। পরে তাঁর মুখ থেকে ওই অর্থ বের করতে ধস্তাধস্তি শুরু করেন দুর্নীতি দমন কর্মকর্তারা। একপর্যায়ে তাঁকে মাটিতে ফেলে মুখের ভেতরে আঙুল ঢুকিয়ে ঘুষ বের করারও চেষ্টা করা হয়। তবে নাছোড়বান্দা মাহেন্দ্র, কিছুতেই বের করতে দেবেন না ওই অর্থ। শেষমেশ তাঁকে গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।
দুর্নীতি দমন কর্মকর্তারা বলছেন, কয়েক দিন আগে শুভনাথ নামের এক কৃষকের মহিষ চুরি হয়েছিল। চোর ধরতে শুভনাথের কাছে ১০ হাজার রুপি ঘুষ চান মাহেন্দ্র। প্রথম ধাপে ছয় হাজার রুপি নিয়েছিলেন। তবে বাকি অর্থ দেওয়ার আগে বিষয়টি দুর্নীতি দমন কর্মকর্তাদের জানান শুভনাথ। এরপরই পাতা হয় ফাঁদ। পরিকল্পনা অনুযায়ী উপপরিদর্শক মাহেন্দ্রকে ঘুষের বাকি চার হাজার রুপি দিতে যান শুভনাথ। ওই অর্থ নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মাহেন্দ্রকে পাকড়াও করেন দুর্নীতি দমন কর্মকর্তারা। অন্যদিকে সংবাদ লিখা পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছে কৃষকের সেই মহিষ।